বিল গেটস বলেছিলো বিটকয়েন ডুমড, এইটা একটা ছলনা। এরথেকে টাকা আশাকরা বোকামি। মানে এতে ইনভেস্ট করা বোকামি।
অন্যদিকে মাস্ক টেসলা থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে দিল বিটকয়েনে। অলরেডি খাতা কলমে বিটকয়েন থেকে টেসলার প্রফিট ১.৫ বিলিয়ন ডলার।
আপনার কি মনে হয় বিটকয়েন যখন প্রথম আবিষ্কার হইলো তখন লাখ লাখ মানুষ এর ফিউচার বুঝতে পেরে দৌড়াইয়া গিয়া সেইটা কিনে ফেলছে ?
জ্বি নাহ ভাই !
তখন সাল ২০০৯ চলছে। খুব সাধারণ না হইলেও মোটামুটি মানের কম্পিউটারেও মাইন করা যেত। প্রতি ব্লকে ৫০ টা বিটকয়েন আর্ন হইতো। সারাদিন মাইন করলে ১-৫ ডলার পর্যন্ত হইতো মেবি। বিদ্যুৎ খরচতো আছেই। ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে যারা আগ্রহী ছিল তারা শখের বসে কাজটা করতো। নিতান্তই শখ। আর কিচ্ছু নাহ। ওদের ভাল্লাগতো। তাই করতো।
এরপর এই বিটকয়েন দিয়ে তারা পিজ্জা খাইতো।
১০ হাজার বিটকয়েনে একটা পিজ্জা।
দিনে দিনে বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকলো। মানুষ কিনা শুরু করলো লাভের আশায়। মাইনিং তখন আস্তে আস্তে কঠিন হইতে থাকলো। একসময় আইসা মাইনিং হয়ে গেল মিলিয়ন ডলার বিজনেস সেটাপ। আর ২-৩ বছর পরতো বিটকয়েন আর মাইন করা যাবেনা তবে অন্যান্য কারেন্সি মাইনিং চলতেছে ধুমায়ে।
১২ বছরে অনেক কিছু বদলাইছে। সেই ৫০ টা বিটকয়েনের দাম আজকের বাজারে ৫০ গুনন ৫০ লক্ষ টাকা সমান সমান ২৫ কোটি টাকা। নিতান্তই একটা শখ ১২ বছর পর এত দাম হবে ভাবতেই অবাক লাগে।
এদিকে আমি আপনি ইলন মাস্ক বা বিল গেটস না।
টাকা দিয়ে বিটকয়েন কিনে রিস্ক ও নিতে পারিনা, আর বিটকয়েনকে ডুমড বা ছলনাও বলতে পারিনা।
আপনার মনে আছে যখন নকিয়া ফোনে স্নেক গেম খেলতেন ?
তখন সেইটারে স্বপ্ন মনে হইতোনা? আপনার সেই স্বপ্ন ছিল একটা যুগের সূচনা। বর্তমানে মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করেন।
বিটকয়েনো ছিল ক্রিপ্টো কারেন্সির সূচনা।
বিটকয়েন, ইথিরিয়াম, বিএনবি, লাইট কয়েন ইত্যাদি ইত্যাদি মার্কেটে সেইই চলতেছে এখন। আরো হাজার হাজার আছে।
এখন আপনার আমার কি দরকার ?
এখন আমাদের দরকার আরেকটা সুযোগের। সেই ২০০৯ সালের একটা সুযোগ। যখন নিছক আনন্দের জন্য বিটকয়েন মাইনিং করতো ওরা। কম্পিউটারটারে ওরা কাজে লাগাইতো।
এখন আপনিও করতে পারেন। ইনভেস্ট হলো আপনার ফোন।
মোবাইল যেইটা আছে সেইটাকে কাজে লাগান। pi এপ থেকে pi কয়েন মাইন করেন। pi একটিভ করে দিবেন আর সারাদিন পর ৩-৪ টা কয়েন আপনার। কোনো চার্জ খাবেনা, র্যাম খাবেনা, নেট লাগবেনা। শুধু ২৪ ঘন্টা পর আবার মাইনিং চালু করে দিবেন।
আপনারকি এতে লস হবে?
pi থেকে টাকা না পাইলে না খেয়ে মারা যাবেন? অবশ্যই না। কিন্তু একবার এর সম্ভাবনার কথাটা চিন্তা করেন, হিউজ প্রজেক্ট। অলরেডি ১৪ মিলিয়নের কমিউনিটি এইটার। pi বলছে তারা নিজস্ব মার্কেট প্লেস বানাবে pi এর জন্য। বুঝেন অবস্থা।
তাহলে এখন pi এপ নামান।
নামানোর পর নাম্বার দিবেন যেইটা আপনার কাছে অলয়েজ থাকবে।
নাম দিবেন যেইটা আপনার আইডি কার্ডে আছে।
পাস দিবেন যেইটা আপনার মনে থাকবে।
ইনভাইটেশন কোড চাইবে।
অন্য কারোটা না জানলে আমার ahadryhan টা ব্যাবহার করেন। আর কিছু জানতে চাইলে আমাকে পার্সোনালি মেসেজ করেন। pi এপের চ্যাট বক্সে আমার থেকে প্রতিনিয়ত pi সম্পর্কে আপডেট পাবেন। তাই চ্যাট বক্স চেক করবেন অবশ্যই।
আর আপনারা যাদের অনেক টাকা আছে তারা অপেক্ষা করেন। আপনাদের মাইনিং করার দরকার নাই। আগামী বছরের শুরুতে এক্সচেঞ্জে লঞ্চ হবার পর আমার কাছ থেকে pi কিনে নিতে পারবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫০