কয়েকবার কামরুজ্জামান শিমুলের ফোন। গাধাটা ওয়েটিং দেখে ও বার বার ফোন দিচ্ছে। কি আর করার ফোনটা রিসিভ করেই আন্দাগুন্দা একটা ডায়লগ মাইরা দিলাম,
আমিঃ কি রে আঙ্কেল আন্টি কি তোরে জোর কইরা বিয়া দিতাছে?
শিমুলঃ হঁ দোস্ত, তুই যে কেমনে আগে থেইকাই বুইঝা যাছ? যাই হোক এইবারের মত বাঁচা আমারে। কবিতাটা বেশ মনে পড়ল " মরিতে চাহি না আমি এই সুন্দর ভুবণে".............
আমি বললাম। আগের বারই তো অনেক কষ্টে আঙ্কলে আন্টি কে বইলা তোর বিয়েটা আটকাইছিলাম। এই বার মনে হয় আর আটকাইতে পারমু নারে দোস্ত। তুই বরং আমার চেয়ে আরো বড় হুজুরের কাছে যা...........
শিমুল: দোস্ত তুই শত্রুর মত আচরণ করতাছস কেন? আমারে আর কয়ডা দিন রিলাক্সে থাকতে দে না। দোস্ত না আমার ভাল।
আমিঃ ঐ ব্যাটা আমি আবার খারাপ ছিলাম কবে?
যাইহোক চেষ্টা করলাম। কিন্তু ব্যার্থ হ্ওয়া ছাড়া উপায় রহিল না।
আন্টির ফোনঃ তোমারে কিন্তু শিমুলের বিয়াতে থাইকা সব কিছু করতে হইব। বুধবারেই অফিস থেইকা ছুটি নিয়ে আমগর বিড়িতে চইলা আইসো।
আমিঃ জি আন্টি চেষ্টা করমুনে...
বুকের ভিতরটা কেমন যেন চিন চিন করতাছে....বেশ কষ্ট পাইলাম, যেন মনের ভিতর দিয়া সিডর বইয়া গেল। শিমুল ও পর হইয়া যাইতাছে..........
আমাদের বন্ধুগ্রুপের ৫ জনের মধ্যে ৩ জন বিয়ে করেছে গত বছর। বিয়ে করার সময় কত কথাঃ বিয়ে করা মানেই পর হয়ে যাওয়া নয়, আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে কাচের মতই সচ্ছ, অমুক তমুক। কিন্তু কোথায় কি?? বিয়ের পর একবছরে মনে হয় ফোনে কথা হয়েছে ৫ থেকে ১০ বার। দেখা হয়েছে ১ থেকে ২ বার..........অথচ ইউনিভার্সিটিতে থাকার সময় ১-২ দিন দেখা না হলে মনে হত দিনটা এত বড় কেন.....
এখন আমার উপলব্ধি "হায়রে বিয়া তুই পরকে করিস আপন আর আপন কে করিস পর.......এইডা কিছু হইল............( এখন একটা পেপসি মদ মনে কইরা খাইতাছি, যদি তাতে কষ্টটা একটু কমে....সিনেমায় তো এরকমই দেখা যায়
উৎস্বর্গঃ আমার জিগিরি দোস্ত শিমুলকে। যে আর কয়েকদিন পরই বিয়ের পিড়িতে বসতে যাচ্ছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


