একুশ এসেছে অথচ শহীদ মিনার যাইনি -এমন কখনও ভাবতেও পারতাম না। কিন্তু এখন তাই হয় - যাইনা ।
যখন থেকে রাত বারটায় সরকারি ভাবে পালন শুরু হলো,সব প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামুলক হলো একুশের প্রভাত ফেরী আর পুষ্পার্ঘ অর্পণ, ফুল হাতে দীর্ঘপথ হেঁটে ফুল দিতে গিয়ে শহীদ মিনারে দাঁড়াতেই দেবে না । লক্ষ মানুষের ভীড়ে কিছু অনুভব করার আগেই সরে যেতে হয় ,নয় মুহূর্তেই প্রায় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেবে -শ্রদ্ধা জানান নয়,যেন আত্ম প্রদর্শণ- শপথ নয়,প্রথা পালন- চেতনা নয় কেবল দর্শণ ।
একুশ এখন কেবল প্রথা পালন, প্রায় উৎসবে পরিণত। নেই সেই প্রতিবাদী চরিত্র,বাঙালি জাতীর অধিকার আদায়ের শপথ, সংগ্রামের দৃপ্ত স্লোগান ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নেই ভাষাকে ভালবাসার প্রকাশ- এখন আমরা সবাই কেউ পশ্চিমা ধারার আধুনিকতায় নিমজ্জিত কেউ বা প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় গোঁড়ামীতে -
একটি ভিডিও স্ট্যাটাস দেখলাম ঢাকার রোটারিয়ানদের। তারা এই শহীদ দিবসের ছুটির দিনে এক রিসর্টে গিয়ে পিকনিক করছেন । সবাই বুটিক শপগুলো থেকে একুশের সাদা কালো ফ্যাশনেবল ড্রেস পরে সুন্দর করে সেজেছে । একজন অভিভাবক ছোটদের কাছে একুশে'র ছবি আঁকার প্রতিযোগীতার তাৎপর্য ব্যখ্যা করছেনএক খিচুড়ী ভাষায়-
-' তোমরা কি জানো আজ কি ? আজকের দিনটা ভাষার জন্য যারা 'জান' দিয়েছেন,তাদের মেমরির জন্য, মানে তাদের রিমেমবার করা হয় সারাদিন-- এদিন আমরা 'ব্লাক এন্ড হোয়াইট' ড্রেস পরি- কারন এটা শোকের কালার। একেক দেশ একেক কালারের ড্রেস পরে, কেউ নীল ড্রেস পরে, কেউ হলুদ । আমরা সবাই পরি সাদা কালো , ব্লাক এন্ড হোয়াইট। আর শহীদ মিনার হচ্ছে যেখানে তোমাদের গ্র্যান্ড ড্যাডীরা আন্দোলন করেছিল---
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৪