সকাল থেকেই মেজাজ টা গরম হয়ে আছে ।মিরপুরে গ্যাস নেই রান্না বন্ধ , সকালের নাস্তা কলা পাউরুটি দিয়ে সেরেছি দুপুরে কোথায় খাবো এই চিন্তার মাঝে হটাৎ মোবাইল এ শায়লার রিং , যাক মনটা একটু ভালো হলো । শায়লা হলো আমার কুড়িয়ে পাওয়া গার্লফ্রেন্ড , কুড়িয়ে পাওয়া বললাম এইজন্য একদিন একটা হটাৎ রাতবারোটাই একটা মিসকল এলো কল ব্যাক করতেই মিষ্টি অদূরে গলা সরি আপনাকে ভুল করে মিসকল দিয়ে ফেলেছি । এইভাবেই ভুল থেকে শুরু তার পর মহাভারতের মতো রঙে রসে ভরা দুইটা বছর।আমরা চুমুটুমু পর্যন্ত গিয়েছি দুজনার ই ইচ্ছা বিয়ে না করা পর্যন্ত এর বেশি না । শায়লার তো বাসর রাত নিয়ে অনেক ভয় ।শায়লাকে আমি প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি সে আমার সারাক্ষনের ধ্যান, একদিন ফোনে কথা না হলে মনে হয় জিবনটা একদম পানসে । অদূরে গলায় শায়লা বললো কি করছো জানু , আমি গ্যাসের দুঃখ ভুলে গেলাম আহহ কি মিষ্টি গলা বললাম যমুনা ফিউচার পার্কে যাবো আসবে নাকি? না গো সোনা আজ আসবো না বড় ফুফু এসেছেন নাটোর থেকে খুব ব্যাস্ত বাসা থেকে বেরুলে আম্মু আব্বু বকাদেবেন ।
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সিদ্ধান্ত নিলাম আর না এইবার আগামী মাসে শায়লাকে বিয়ে করে ফেলবো । ফোন দিলাম রেদওয়ান কে দোস্ত কোথায় আছিস রেদওয়ান যেন আমার ফোনের অপেক্ষায় ছিল এইভাবে বললো দোস্ত তারা তারি আমার বাসায় চলে আয়।ঘড়িতে একটা বাজে ওর বাসায় গেলে দুপুরের খাওয়া টা হয়ে যাবে এই চিন্তা করে না করলাম না । রেদওয়ান কে বেশ উৎফুল্ল মনে হলো বললো দোস্ত খেয়ে নে তোকে নিয়ে একটু বনানী যাবো। আমি বললাম বনানী কেন দোস্ত ? ও কিছু না বলে মুচকি হাসলো। সন্ধ্যার একটু আগে দুই বন্ধু বনানী পৌছুলাম আমি শুধু রেদওয়ান কে ফলো করছি । ৭৩ নো রোড এ একটা সুন্দর পাঁচতলা বিল্ডিং এর সামনে যেয়ে রেজওয়ান বললো দোস্ত একটু মৌজ করতে এলাম এখানে কলেজ ভার্সিটির জিনিস পাওয়া যায় ।আমি একটু থতমত খেয়ে গেলেও অজানা আগ্রহে রেদওয়ানের সাথে ভিতরে গেলাম। ভিতরে খুব সুন্দর রিসেপশন রুম একটা সুন্দরী মেয়ে বিশাল ডেস্কের ওপাশে কম্পিউটার নিয়ে বসে আছে । পিছনের দেয়ালে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সিডনি অপেরা হাউসের ফটো একটা বিদেশী বিদেশী আমেজ এনে দিয়েছে । মেয়েটা মনে হয় রেদওয়ান কে ভালো ভাবেই চিনে মুচকি হাসি দিয়ে বললো স্যার দুজন কি একসাথেই যাবেন ? রেদওয়ান বললো না আমি আগে যাবো পরে আমার বন্ধু ।আমি কোনো কথা বলবো ঠিক বুঝতে না পেরে চুপ করে থাকলাম ।রেদওয়ান মানিব্যাগ থেকে বেশ কিছু টাকা বেরকরে রিসেপশন এ বসা স্মার্ট মেয়েটার হাতে দিলো।টাকা গুলো ড্রয়ারে রেখে মেয়েটা মুচকি হেসে বললো রুম নং ২০২ এ যাবেন স্যার । আমাকে সোফায় বসতে বলে রেদওয়ান গুনগুন করতে করতে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো । আমি রিসেপশন এর বিশাল টেলিভিশনে হিন্দি চ্যানেলের নাচগান দেখতে থাকলাম রিসেপশন এর মেয়েটা আমার দিকে মাঝে মাঝে এক সেকন্ডের ভাব্লেশবিহীন নির্লিপ্ত চাহনি দিচ্ছে । প্রায় একঘন্টা পরে রেদওয়ান এলো রিসেপশন এর মেয়েটাকে বললো এটাকে তো আগেও নিয়েছি তবে ভালো সার্ভিস দেয়। রিসেপশনিস্ট মুচকি হেসে বললো স্যার কাস্টমার দের রিকোয়েস্ট এ দুইমাস পরে আবার শিফট দিয়েছি ----- [কলেজে পড়ে[।রেদওয়ান আমাকে বললো দোস্ত এইবার তুমি যাও আমি পেমেন্ট করে দিয়েছি । মানে মনে ফাউ রোমাঞ্চের প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও মুখে একটু নেকামো দেখলাম বললাম না দোস্ত আমার লাগবে না ।রেদওয়ান বললো ফালতু কথা বাদ দে তারতারি যা, জিনিস কড়া বেশিক্ষন থাকবে না, বললো বাসায় নাকি কোন আত্মীয় বেড়াতে এসেছে , আমি যেন ইচ্ছা নেই এমন একটা নকল ভাব দেখিয়ে দোতলার সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম । সিঁড়ির ঠিক পাশেই ২০২ নম্বর রুম , দরজা নক করতে ভিতর থেকে বললো খোলা আছে । ভিতরে ঢুকতেই মিষ্টি পারফিউমের কড়া গন্ধ নাকে এসে লাগলো , ভিতরে অন্ধকার আবছা আলোতে সাদা বিছানার উপর বসা একটা মেয়ে বললো প্যান্ট খুলে আসেন , কণ্ঠটা একটু কেমন যেন চেনা চেনা মনে হলেও পাত্তা দিলাম না ।প্যান্টখুলে সাদা বিছানায় আবছা একটা নারীর শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম ।ছোটোখাটো পাতলা গোছের একটা মেয়ে । বেশ কিছুক্ষণ লুটোপুটি শেষে ক্লান্ত শরীরে উঠে বসলাম । মেয়েটা অন্ধকারে দ্রুত বাথরুমে ঢুকে গেলো আমি মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সুইচ টিপে ঘরের লাইট জ্বালিয়ে প্যান্ট পড়লাম । প্রায় দশ মিনিট পরে মেয়েটা দরজা খুলে বের হয়ে এলো । ওকে আলোতে দেখার ইচ্ছাই খুব আগ্রহ নিয়ে তাকালাম , কিন্তু আমি কি ঠিক দেখছি না ভুল বুঝতে পারছি না আমার সামনে অবাক বিস্ময় আর হতবাক দৃষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার স্বপ্ন শায়লা !!!!!!!!
সমাপ্ত
পাদটীকা : এটি শুধুই একটি গল্প বাস্তব নয়
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৮