মেয়ে- কেমন আছ "বিল্লি"?
ছেলে- তোমাকে ছাড়া যেমন থাকার কথা..! থাক আমার কথা.. তুমি ভালোতো..?
মেয়ে- যতটা ভাল না থাকলে বাঁচা যায় না ঠিক ততটাই।
ছেলে- কতদিন পর ওই নামে ডাকলে তুমি..।
মেয়ে- তুমি ভাল থাক না কেন?
ছেলে- আমার যে ভালো থাকতে নেই..তাই।
মেয়ে- কে বলে তোমায় এসব?
ছেলে- তুমি সাথে নেইতো..তাই যে যা বলে..তাই শুনি..।
মেয়ে- বোকা বোকা কথা বলবে না। আমি নেই মানে কি? আমি কি মরে গেছি? নাকি গায়ে লেপ্টে থাকি না বলে বলছ আমি নেই? যেটাই হোক, কথাটা কিন্তু ভুল ই।
ছেলে- গায়ে লেপ্টে থাকনা বলে বলছি..
মেয়ে- তা কি হয়? বল? তুমি কি অবুঝ?
ছেলে- বুঝি..এবং বুঝিনা.. অবুঝ এবং অবুঝ না।
মেয়ে- কি বললে এসব? আমার কাছে অন্তত সত্যি সত্যি টা বল। এত দ্বিধার এর কি আছে ?
ছেলে- হা..হাহ..হা..
মেয়ে- হাসির কি বললাম আমি?!!!!!!!!!!
ছেলে- জানিস..তুই বড় হয়ে গেছিস.. আর আমি ছোট হয়ে গেছি.. তাই ভেবে হাসি পেলো.. আমি ভালো করেই জানি.. ওই কথাটার মানে তুই বুঝবি।
মেয়ে- আমি খুব বেহায়া, মুখ ফুটে সত্যি কথা বলতে পারি। আমার এত ঘোমটা লাগে না। শব্দের আড়াল লাগে না। সমস্যা হল আমি দুর্বল। আর খুব অসহায়।
ছেলে- এবং সুবিধে হলো..সেটা আমিও জানি..।
মেয়ে- ঘোড়ার ডিম জানো।
ছেলে- আচ্ছা শুন.. কই শুনলিনাতো..!
মেয়ে- শুনছি তো..বল.।
ছেলে- Love u.
মেয়ে- যা জানো তা খুব সহজ, যেটুকু জানোনা সেটুকু আমার অসহ্য । সেটুকু সামলে নেবার ক্ষমতা আমার নেই।
ছেলে- ওরে ব্বাপ..অনেক কঠিন কথা..তবে এর মানে কিন্তু দুটো.. আমি দুটো আলাদা perspective থেকেই এর জবাব দেই তোমাকে..।
মেয়ে- দাও
ছেলে- যা আমার অজানা..সেটা হয় আমার ব্যার্থতা, নতুবা তোমার চোখের আড়াল হয়ে যাবার শেষ বিভাজনের আগাম পূর্বভাস.. না হয় তুই-ই আমাকে জানা এবার আমার আজানাটুকু। আর অন্যদিক থেকে ভাবলে বলতে হয়.. যেটা তুই-আমি দুজনেই জানি..এবং বুঝি বলেই হয়তো ব্যাপারটাকে আমরা সযত্নে এড়িয়ে চলি.. শুরু থেকে আজ অব্দি..তাইনা..?
মেয়ে- জানা টুকু ঠিক। কিন্তু যেটুকু জানোনা সেটুকু আমার প্রকাশ অক্ষমতা।
ছেলে- যদি বলি, যেটা জানিনা বলছিস সেটাও আমি জানি.. তবে কি বলবি..?
মেয়ে- কি করে জানবে? আমি তো কাউকেই কিছু বলিনি।
ছেলে- Everything is not to b said.
মেয়ে- আমি যে একটা ছেলে কে প্রচন্ড ভালবাসি সেটা জানো?
ছেলে- সরল স্বীকারোক্তি জানতে চাস নাকি আগের মতো......চাস.. কোনটা..?
মেয়ে- সরল সোজা
ছেলে- জানি.. শুরু থেকেই জানতাম।
মেয়ে- কেমন করে কতটা ভালবাসি জানো? কি করে জানতে? সে কি তোমায় কিছু বলেছিল কোনদিন?
ছেলে- Very wise pattern of question.. Like illusion. U really grown up dear.
মেয়ে- and you were always.
ছেলে- নাহ্ .. কেউ আমাকে কিছু বলেনি.. আমিতো সবসময়ই একটু বেশিই বুঝি।
মেয়ে- সবার মধ্যে গলা ছেড়ে তাকে নাম ধরে ডাকতে ইচ্ছে করত খুব। করে এখনো। জানতে এটাও?
ছেলে- সবসময় গায়ের সাথে লেপ্টে থাকতে ইচ্ছে করতো.. এটাও জানতাম.. কিন্তু যদিও সে অথবা তুই.. কেউ-ই তাকে অথবা আমাকে কিছু বলেনি..।
মেয়ে- যাকে এত ভালবাসি সে বলেছিল কখনো?
ছেলে- Everything is not to b said..mam.
মেয়ে- কিন্তু বলতে ইচ্ছে করছে যে খুব!!
ছেলে- শুধু মুখ ফুটে বললেই কি, বলার সাধ এবং স্বর্ত পুরন হয়ে যায়..?
মেয়ে- না হয়না, কিছুতেই কিছু হয়ে উঠছে না আমার।
ছেলে- যতদুর বুঝি.. সেতো সবসময়ই বলে.. কই.. কেউ কি শুনতে পায়..?
মেয়ে- থাক সে কথা.। আমি এখন কেমন থাকি জানো?
ছেলে- কেমন..?
মেয়ে- মৃত মানুষের মত।
ছেলে- মাইর খাবার খুব শখ হয়েছে না..?
মেয়ে- তুমি সত্যিই মারবে আমায়?
ছেলে- সবসময়ই যে মারি.. সেটা জানোনা..?
মেয়ে- জানতে ভয় হয়। সন্দেহ হয় মাঝে মাঝে।
ছেলে- মন্দ নয়.. কারণ সেটাও ভালোবাসারই উপাদান-উপকরণ।
মেয়ে- সেও কি আমায় ভালবাসে কিনা তুমি কিছু জানো?
ছেলে- যতদুর জানি.. yes...more than himself.
মেয়ে- সে তোমায় আমার গল্প বলার সময় পায়? তার ঘর তো আলোয় ভরা।
ছেলে- এ কথাটাও মিথ্যে নয়.. তবে.. আলেয়ার আলো আর জোনাকপোকার আলোর ব্যাবধানটা জীবন থেকেই জেনেছে সে।
মেয়ে- আমি যেদিন মরে যাব সেদিন সে কি কাঁদবে?
ছেলে- একদিন তোমাকে প্রত্যাখ্যান করায় সে নিজে প্রতিদিন কাঁদে আর তুইতো তাকে প্রতিদিন মারার কথা ভাবছিস দেখিরে.. কি হলো কি তোর..?
মেয়ে- সে বেঁচে থাক হাজার বছর, তার আলেয়া- তার ভেতর বাহির আলোয় ভরিয়ে রাখুক। জোনাকিরা মাকড়শার জালে জড়িয়ে যায় সহজেই, আর মরে যায় ভুগতে ভুগতে।
ছেলে- এটা একটা ভীষণ ভুল কথা বললি.. তোর কাছ থেকে এমন অযেৌক্তিক ধারণা একদমই আশা করিনি.. শুনো, জোনাকি কখনোই মাকড়সার জালে আাঁটকে পড়েনা..।
মেয়ে- আমি নিজেও অযৌক্তিক নিজের কাছে। নিজের অস্তিত্বের পেছনেই কোন যুক্তি নেই আমার।
ছেলে- আর তাছাড়া সেই-বা কেন এভাবে ভাবছে..? তার ঘরের কথারাওতো সিলিং পর্যন্ত পেৌছে গেছে কবেই..!
মেয়ে- কথা গুলো কিভাবে সিলিং এ যায় জানো? জানো ও না, তুমি ভাবতেও পারবে না।
ছেলে- ভাবতে চাইনা.. জানতে চাই..। জানানোর দায়িত্বটা স্ববিশ্বাসে অর্পণ করলাম..।
মেয়ে- বাদ দাও ওসব। আমি ভাল আছি। খুব ভাল।
ছেলে- সেইতো পুরণো ফরমুলা..দিনশেষে..। তোমাতে-আমাতে..দুজনারই তাই..।
মেয়ে- তুমি নিশ্চয়ই ভাল আছ? সত্যি সত্যি বলবে।
ছেলে- ফরমুলা অনুযায়ী.. বেশ ভালো আছি..। এর বেশি ভালো থাকা যায়না..।
মেয়ে- হাহ্ । আর ফরমুলা ছাড়া?
ছেলে- ফরমুলা ছাড়া..? আয়নায় চোখ রাখো.. চোখে চোখ রেখে প্রশ্নটা করো.. তারপর চোখ বন্ধ করো.. আমার উত্তর শুনতে পাবে..।
মেয়ে- বউ রেঁধে দিচ্ছে মাঝে মাঝে?
ছেলে- এতোটাই ভালো রাঁধছে ইদানিং যে.. খাবার লোভে সন্ধ্যায় অফিস শেষ হয়ে যাবার পরও কোথাও যাবার জায়গা খুঁজে না পেয়ে এখনও অভুক্ত অবস্থায় বসে বসে বিলাপ করছি..। আহ্ ..। কি স্বাদ..। নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না যে আমি এখনও অফিসে বসে আছি..। কই গেলে..? তুমি ব্যাস্ত হয়ে গেলে..ইদানিং বেশ অভিমান হয়..।
মেয়ে- আমি সারাদিন খুব ব্যাস্ত থাকি, ব্যাস্ত থাকার এই একটা সুবিধে, রাতে ঘুমাচ্ছি প্রায় প্রতিদিন ই।
---------- পরে কখনও_ _
মেয়ে- বাহ সুন্দর রঙ। আজ বুঝি অফিসে না? বাসায় এসেছ আজ?
ছেলে- বাসায়তো ফিরেছিলাম সেই ধলপহরে। তারপর যথারিতী নিদ্রাদেবীর সাথে নিভ্রেজাল সঙ্গম।ভরদুপুরে দেবীর মাদকীয় আলিঙ্গন ছেড়ে রুটির ওপর থেকে অমঙ্গলের ছায়া তাড়ানোর আশংকায় ছুটতে ছুটতে আবারও যথারিতী রুজির স্থলে সুবেশী ভদ্র বাবুর মত হাজির। এইতো আমার রোজকার অগোছালো জীবনের একমাত্র গোছানো রুটিন।