somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় দু্ই পরিবারকে নিয়ে কিছু কথা

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গায়ে অনেক জ্বর, মাত্রা ছারিয়ে গেছে অনেক আগেই তাই কিছু প্রলাপ বকতে ইচ্ছে হল। কিন্তু কার কাছে বলব, কে শুনবে এই অসুস্থ জনগনের কথা। একমাত্র মা, আমার দেশ মাতা, তুমিই আছ, তোমার কাছেই মন খুলে বলতে পারি।মাগো তোমার বুকে যে বড় দুটি পরিবার তাদের সম্পর্কে আর কিছু না বলে থাকতে পারলাম না।
যার পরিবার সবচেয়ে বড় সে পবিচালকের আসনে বসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিচালকদের পরিবারের সকল সদস্যের হাতে বড় বড় মিষ্টির খালি পাতিল, ওরা শুধু নিজ পাতিলে মিষ্টি ভরতে ব্যস্ত।
যে পরিবার পরিচালনায় নেই, তার সে কি কথা, পরিচালনায় থাকলে এইটা করতাম ওইটা করতাম। সামনের বার পরিচালনায় আসলে এইটা করব ওইটা করব ইত্যাদি।
ঠিক একই রকম কথা বলেছিল এখন যারা পরিচালনায় আছে..!
জ্বরের মাঝে বমি চলে আসে যদি সরকারি চাকরি নামক সেই সোনার হরিনের কথা মনে হয়।
আগে জানতাম একটি চাকরি মানে একটি পরিবারের মুক্তি, আর এখন যা বুঝি তা হল একটি চাকরি মানে একজন সুপারিশ দাতার রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হবার দশা। সুপারিশ ছারা চাকরি, তা হবে না, তা হবে না । মাগো ছোট একটা উদাহরন তোরে না দিলেই নয় ! একজন প্রাথমিক শিক্ষক যদি সুপারিসের মাধ্যমে নিয়োগ হয় তাহলে মাগো তোর বাকি জীবনের কথা আর নাই বা বল্লাম। সুপারিস তা আবার অন্য পরিবারের জন্য নয়, শুধু নিজ পরিবারের জন্য। কি আর বলব আমাদের পরিচালকদের ! নিজ পরিবারের সদস্যকে চাকরি দিতে হবে, না হলে ফায়দা হবে না।
আমরা কিছু করতে গেলে সে যে কি অবস্থা, এই ষাড়ের সই ওই ষাড়ের সিলমহর ইত্যাদি আবার ফাইলের পা রয়েছে, বকসিস ছারা ফাইল, হাটতে পারে না।
যদিও কিছু করি, তা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সে যে কি ধকল যে করে সেই জানে, এই হরতাল এই অবরোধ এই চাঁদা এই তোলা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর কত, বল মা, আর কত।
আর কত অপেক্ষা ।
তুই হয়ত বলবি এই আর অল্প কয় দিন ।
এখন আর আমাদের পিঠেও সয় না, পেটেও সয় না ।
কবে আইব সেই দিন ?
কবে আইব ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না আর একটি বড় পরিবারের জন্ম দিতে ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না ভেঙ্গে দিতে সকল দুর্নীতি জাল ?
তোর দামাল ছেলেরা কি পারে না ?

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×