somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুড়িয়ে পাওয়া কবিতা গুচ্ছ

২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুরোন ড্রয়ার ঘেটে কয়েকটা কবিতার দেখা মিললো... (সময়কাল ১৯৯৫-২০০০)
ভাবলাম তুলে রাখি ব্লগের পাতায়।

ফেরারী

স্মৃতি থেকে কিছু কথা তোমাকে দিলাম,
অবহেলা করে ফেলে দিও, ঘৃণাভরে
তবু আমাকে ফিরিও না
কেননা আমাকে ফেরালে আরতো পাবেনা
তখন স্মৃতির কথাগুলোই তোমার
একমাত্র ঠিকানা হবে
আমাকে খুঁজে পাবার।
অবশ্য তার আগেই
ঠিকানা বদলাবো আমি।

ভুল

যদি একবার সময় পেতাম
তোমার দুচোখে আমি নিজেকে
দেখে, শুদ্ধ করে...
তারপর-তারপর হারাতাম তোমার
চোখের অরণ্যে
নোনা জলগুলো পান করে তৃষ্ণা মিটিয়ে
চোখের তারায় হাসি ছড়িয়ে
সেই অভয়ারণ্যে কেবল স্বপ্ন এঁকে দিতাম
নিষ্ঠুর হাতে দলে দিতাম সব হতাশা আর দুঃস্বপ্ন

এখন ভাবি একবার সুযোগ পেলে
ঐ দুচোখেই আমি কান্না ঝরাবো
বইয়ে দেবো নোনা জলের ঝর্না
অভিশপ্ত দুপাপড়ি এক করতে দেবোনা।
আগে সময় পেয়ে যা করতে পারিনি
এবার সুযোগ পেলে তা আমি করবোই

ভালোবাসায় বারবার ভুল করতে নেই।।

অনুভব

বৃষ্টির ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা লজ্বাবতী
সূর্যমূখী, সূর্য যার জীবনসন্গী
সমুদ্র থেকে পথ চলতে শেখা নদী
তার ঢেউয়ে বেসামাল জোছনা
ফল, বীজ থেকে ধীরে ধীরে যে বৃক্ষ
তারই ছায়া পরিশ্রান্ত এক পথিক
লাজুক নববধূ, আঁচলে পরম নির্ভরতা
নাকফুলের শিহরণ, হঠাৎ ব্যাকুলতা
কাজলকালো চোখ বেয়ে নেমে আসা
সুখ আর দুঃখ, উৎস গন্তব্য অবিকল এক
হাতের আণ্গুল, আন্দোলনে যে সুর
হৃদপিন্ড, মস্তিস্ক হয়ে বহুদুর
আপন দুটি হাত আপন অনুভবে।

দুর্ভিক্ষের দিনগুলো

প্রচন্ড দূর্বিসহ ক্ষুধা
অস্হির উন্মাদনায় চারদিক ভারী
তবু কেউ এগিয়ে আসেনি
নিজেই চেষ্টা করলাম প্রতিরোধের
হলোনা তাও
পাগলের মতো খুঁজে ফিরি একটু আহার্য্য বস্তু
হোক তা নর্দমার উচ্ছিষ্ট
তাই আমার অসামান্য প্রয়োজন
কিন্তু কেউ বোঝেনি, কিংবা ভাবেনি কেউ
তখন না মরলেও এখন মরছি আমি
ধুঁকে ধুঁকে
যা শুধু ধ্বংসই করেনা, করে তোলপাড়
যা থেকে কখনই বেরিয়ে আসা যায়না
এলোমেলো পদচারণায় পৃথিবীকে করেছি
কালো মেঘেরে মতো থমথমে
তবু আমি জয় করেছি সেই দিন, সেই ক্ষণ
ভালোবেসে কাছে টেনেছি বিষাক্ত সময়কে

এখন আমার সবথেকে প্রিয়
সেই দুর্ভিক্ষের দিনগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×