আমি জলপাইয়ের পাতা চিবাইতেছি।কারণ কেউ একজন আমারে ছাগল কইছে।তাই আমি ছাগলের মতো পাতা চিবাইতেছি আর গান গাইতেছি,কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিলো না...কথা দিলো না...বিনি সুতার মালাখানি গাঁথা হইলো না...গাঁথা হইলো না...
ছাগল জলপাইয়ের পাতা খায় কি না আমার কোনদিন জানা হয় নাই।ছাগল যদি গান গাইতে পারতো তবে সে লবণ দিয়া জলপাইয়ের পাতা খাওয়ার সময় কোন গান গাইতো তাও আমার জানা নাই।
কোথা থেইকা মীনা আইসা দাঁড়াইছে আমার পেছনে।এই জলপাই গাছটা নীরব,এইখানে লোকজন কমই আসে।যারা আসে তারা ছাগল হওয়ার বাসনা নিয়া আসে বইলা মনে করি না।
রতন ভাই কি করেন বইলাই মীনা একচোট হাসলো।আমি একটা কচি জলপাইয়ের পাতায় লবণ মাখতে মাখতে কইলাম,তর চোখে কি ছানি পড়ছে?দেহস না পাতা খাইতাছি!
-পাতা খাও ক্যান?ভাবী বাইত্তে ভাত রান্দে নাই?
:হ রানছে।আমার ভাত খাইতে মনে লয় নাই দেইখাই পাতা খাইতাছি।তর কি কাম এইখানে?
:সুমনাগো বাড়ি যাইতাছিলাম।তোমার গান শুইনা খাড়ায় গেলাম।এইডাতো মাইয়া মাইনষের গান!
:গানের আবার পোলা মাইয়া কি রে!গান তো গানই।
-না গো রতন ভাই!পোলা আর মাইয়াগো গান আলাদা আলাদা।
:কি জানি!আমি এতশত জানি না।এহন যা এইহান থেইকা।
মীনা যাওয়ার সময় মুখ ব্যাকাইয়া ভেংচি কাটার মতো কিছু একটা করলো।আমি গা করলাম না ততোটা।এই মাইয়াডার ভাবগতি বালা না,খালি লছম লছম করে।
আইজকা সাবিনা আমার লগে খুব খারাপ ব্যবহার করছে।আমারে ছাগল কইছে।খালি ছাগল কইলেও পারতো।তা না কইয়া সে আমারে কইছে রামছাগল।আমি রামছাগলের মতো কি করছি বুঝতাছি না।
গতকাইল রাইতে সাবিনা খুব সাজগোজ করতাছিল দেইখা আমি কইলাম কিগো বউ আইজ আচমকা সাজতাছো কি মনে কইরা?
ওর মনে হয় রাগ ধরলো!চোখ দুইটা গোল কইরা কইলো-আইজকা তোমার লগে তামশা করমু তাইয়ে।
এই কথাডা যে ও রাগ কইরা কইছিলো আমি বুঝছিলাম।আর জিগাই নাই কাহিনী কি!তারপর সারা রাইত আমারে জড়ায় ধইরা শুইয়া আছিলো।নিজেও ঘুমায় নাই,আমারেও ঘুমাইতে দেয় নাই।কি একটা কইতে যাইয়াও জানি কইতে পারে নাই সাবিনা।বারবার শরম পাইতাছিল।
দুপুরবেলা ওরে আমি বমি করতে দেখছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬