সকাল কবে নাগাদ আমাকে দেখেছিল কিংবা আমি সকালকে
মনে নেই
ঘুমচোখ খুলে ভোর দেখিনা যেন কত সহস্র বছর
অনিমেষ,
যার বালিশের তল থেকে সিগারেট নিয়ে বাসিমুখে স্বীয়মুখাগ্নি করতাম
সে বেঈমানটাও একদিন পাজরে ছুরি বসিয়ে উড়াল দিল ভিনদেশের মাটিতে
যাবার বেলায় এয়ারপোর্টের বাইরে একটা গোল্ডলীফ ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল-নে টান!
সেই প্রথম আমার গলা দিয়ে ধোঁয়া যায়নি...
বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে বকুলের বিয়ে হয়ে গেল
তার কিছুদিন পর দত্ত বাবু যেন আমার অবস্থান জেনেই গাইলো-বেলা বোস তুমি পাচ্ছো কি শুনতে?
নিয়ম করে আটটা-পাঁচটার কাঁটায় জীবন আটকে গেল
গলির চায়ের দোকানে বসে কতশত স্বপ্নের দাফন করেছি তারপর...
বকুলের মতো শাড়ি পরা একজনকে দেখে কি ভয়টাই না ধরেছিল কলিজায়
পাশ দিয়ে যেতেই দেখি-আমি ভুল!
আসলাম ঠিকই বলতো-আবার ফিরে পাওয়ার মতো ভালবাসা এ জগতে নেই।
গতরাতে তরুণকে দেখলাম ঘুমঘোরে
এখনো যেন সেই ফর্সা লিকলিকে শরীর আর মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া চুলেই দিব্যি আছে ও!
কত অল্প বয়সে কাউকে কিছু জানান না দিয়েই মরে গেল হঠাৎ পাগলটা।
এমনকি পারুলকেও কিছু জানায়নি
অথচ সেদিন বিকেলেই আমরা-
আমি,তরুণ,পারুল,সীমা দি,হোসনেআরা,জেসমিন,মুকুল...ক্যাম্পাসে কতকিছু নিয়ে কথা বলছিলাম...
অবাক করা বিষয় হলো,তরুণের মা কে একবারের জন্যও কাঁদতে দেখিনি
হোসনেআরা বিয়ে করে পুরোদস্তুর সংসারী হয়ে গেল,জেসমিন কোথায় হারিয়ে গেছে জানিনা,মুকুল নীল জল ছোঁবে বলে জাহাজী হয়ে গেল...
মা কে বলেছিলাম,আপনাকে একজোড়া দামী স্যান্ডেল কিনে দেব।
মা মুচকি হেসে বলেছিলেন,দিস!
একদিন বাড়ি থেকে আসা চিঠিতে জানলাম,মা-র পা ভেঙে গেছে।
পুরান ঘরের পাশের কড়ই গাছটা কাটার সময় তার একটা বড় ডাল পড়েছিল পায়ের উপর।
তবুও আমি নির্বিকার ছিলাম!
অনিমেষ,তোকে খুব মনে পড়ে ইদানিং।কেন জানিনা!
তোর মনে আছে,তুই যে ২৭০টাকা দিয়ে একটা ধূসর রঙের শাড়ি কিনে দিয়েছিলি আমার মাকে?
বলেছিলি-তুই তোর মাকে দেখিসনি!
শোন!আমি তোর জন্য এক প্যাকেট সিগারেট আর একটা লাইটার কিনেছি নিউমার্কেট থেকে।তুই আসলে একসাথে আবার হবে সুখটান।কবে ফিরবি তুই?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০