যখন তখন মাথা গোঁজার জন্য দেয়াল ছাদ সমেত বুক চেয়েছো।শুধু চুমুতে খিদে মেটেনা বলে ভাত-মাছ-ডাল চেয়েছো।বাজারের ব্যাগ পুরতে একটা স্বাবলম্বী পকেট চেয়েছো।শোয়ার জন্য শুধুই আমাকে চাওনি,চেয়েছো বিছানা-চাদর।মাসে অন্তত একবারের জন্য করেছো ঝাল ভর্তি ফুচকা বাটির বায়না।পোলাওয়ের জন্য চেয়েছো কুচি কুচি করে কাটা শশা-টমেটো-কাঁচামরিচ।উৎসবে চেয়েছো শাড়ি-ব্রা-ব্লাউজ-পেটিকোট।বছরে একবার ছুটি কাটাতে কক্সবাজারই না হয় চেয়েছো!
আমার আকাশ সমান সুবিশাল বুক আছে,নিকোটিনে পুড়ে যাওয়া দুফালি ঠোঁট আছে,বাজার করার জন্য চটের ব্যাগের বদলে আছে সস্তা পলিথিন,আছে নীল সে পলিথিন ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়।১৮০ টাকার বটি আছে কিন্তু শশা,টমেটো,কাঁচামরিচ বাজারেই মজুদ।পকেট ভর্তি টাকার স্বপ্ন আমার পকেটেই।
এক পুরুষের গড়া ধন আরেক পুরুষ এসে খেয়ে গেছে।আমি তৃতীয় পুরুষ।শেষ পুরুষকেও তো খাওয়াতে হবে,যেখানে আমারই খাওয়ার কিছু নাই।না আছে ভিটা না আছে ঘর না বাড়ি।অসুখ হলে না পারবো ওষুধ দিতে।
গাছ তলাতে শান্তি আছে,মানি।গাছ তলাও মালিকানাধীন সম্পত্তি।ফুটপাতেও এদেশে কঠোর রাজনীতি।মাথার নিচে ইট-বালিশের দামও একটা লাল ছোট নোট।
এত এত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জ ইচ্ছার তাড়নায় যে ভুল স্বপ্ন দেখে অপরাধ করে বাঁচি,তার দায়ভার কেন অন্য কেউ নেবে হাসিমুখে?
-ভালবাসি।
:মানি।সহ্যক্ষমতা কতকালের?
-অনন্তকালের।
:মুখেই শুধু বুলি।এক কেজি পেঁয়াজের দাম জানো?লজ্জা ঢাকার সুতার দাম জানো?জানোনা।
-বিশ্বাস করছোনা?
:বিশ্বাস-ভালবাসা-আর সুকঠিন বাস্তবতা এক কথা নয়।
এতটা বছর পরে এসেও যদি না তোমার মাথা খোলে তবে অবাধ্যতা পূঁজি করে তুমি কেবল এটাই জেনে এসো "আমি তোমাকে চলে যেতেই বলেছিলাম।"
ভালবাসাবাসি করতে শুধু মন লাগলেও,সংসার করতে পাশাপাশি ধন লাগে।প্রেমিক পুরুষটা যখন স্বামী হওয়ার পরও ছোট্ট নাকফুলের আবদার মেটাতে পারবে না,তখন ভালবাসার ভাত ভাতারের ঘরে রান্না হবে।পরিচিত পুরুষটার গায়ের ঘামের যে গন্ধে তোমার আদিম নেশা জাগতো,সে শরীর থেকে কাঁচা গুয়ের বিশ্রী গন্ধ পাবে তুমি।ঘৃণায় নাকে আঁচল চেপে ধরবে।অথচ বিয়ের প্রথম রাতে এ আঁচলটাই চেপে ধরতে লজ্জা থেকে বাঁচতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯