মানুষের ভেতরকার একটা স্বভাবসুলব বিষয় থাকে সেটা হচ্ছে ফেলেস্কসিবিলিটি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এইটা যে এত বেশী যা অন্য কোন দেশের মানুষের মধ্যে বোধহয় নেই। আসলে এটা একটু অন্যভাবে বল্লে ভালো হয় সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ হুজুগে। এ যেন স্ত্রী সহবাসের মতো বা স্বামী সহবাসের মতো। ঐ একটিমাত্র মুহুর্তের অপেক্ষা তারপর অন্য জগতে চলে যাওয়া।
উপমাটা দিলাম আসলে ক্ষোভের সাথে। এই জন্যে যে বাংলাদেশের মানুষ কোন দিন কি উৎসব এইটা নিয়ে ব্যস্ত। সেই বিষয়ের গুঢ়ার্থ কি বা মৌলিকত্ব কি তা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। যদি থাকত তাহলে ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছরেও বা স্বাধীনতার ৪০ বছরেও কেন সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি,বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনের জন্য কেন কেবলমাত্র সভা সেমিনার , সিম্পোজিয়াম- এর কোন বাস্তবতা কেন মানুষের চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের চার দেয়ালে এমনকি মনের চৌহদ্দিতে হিন্দি সিরিয়াল, হিন্দি গান, হিন্দি নাচ এবং হিন্দি সিনেমা বসবাস করছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারী মাত্র কদিন আগে তা দেশের মানুষ লক্ষ্য করেছে বিপিএলের উদ্বোধনী আসরে। তো যাইহোক একুশের জম জমাট আসর কাল শেষ হলো এবার আবার শুরু হতে পারে সামনে অনাগত স্বাধীনাতা নিয়ে মাতামাতি। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার কতটুকু মানুষ ভোগ করছে, স্বাধীনতার কতটুকু সফলতা ৪০ বছরে দেশের চিত্রে ফুটে উটেছে তা নিয়ে কি আজ প্রশ্ন উঠতে পারে না ।
এটাও কি কেবল উৎসব নাকি এর অন্য অর্থ রয়েছে। আসলে কি দেশের মানুষ কোন দিন তার স্বাধীনতার অর্থটা উপলব্ধি করতে পারবে না। নাকি কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই স্বাধীনতা। কেবল স্মুতি সৌধে তোপক ধ্বনি আর কামান দাগার নাম স্বাধীনতা।
আজ জাতির সামনে এসব বিষয় নিয়ে পোস্টমর্টেম করার সময় এসেছে ।