বুঝলাম, আপিল করা, না করা, প্রান ভিক্ষা চাওয়া না চাওয়া এগুলো নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। যতদূর বয়স হয়েছে আমি দেখিনি সংবাদ মিডিয়াতে ঘোষণা দিয়ে ফাঁসি দেয়া, আবার তা তুলে নেয়া। এরশাদ শিকদার, বঙ্গবন্ধুর খুনি, বাংলা ভাই, জঙ্গি ছাড়াও অনেকের ফাঁসি হয়েছে, সেটাতো মিডিয়াতে আগে থেকে প্রকাশ পায়নি। প্রাকাশ হয়েছে রায় কার্যকর হওয়ার পর।
ঠিক আছে যদি আপিল করা না যায়, ঘুম থকে উঠে সকালে নিউজ পেপারে দেখব রাজাকারে ফাঁসি কার্যকর। বাহ। সুন্দর। যদি আপিল করা যায়, তা হলে এতো নাটক বা ঘটানার দরকার কি? সাধারন জনগণের মধ্যে কি এখন বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট, সরকার, সত্য মিথ্যা এবং সব কিছুর জন্য একটা প্রশ্ন উঠে না?
দেশের এই অরাজকতা পরিস্তিতিতে, ঘোষণা দিয়ে ফাঁসি দেওয়া জিনিসটা আমার মাথায় ভাল ঠেকল না। জামাত আগে থেকে এটার সুযোগ নেবে। এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের আগে সবাই চাইবে নিজেদের শক্তি দেখাক, কিন্তু এই শক্তি দেখাতে গিয়ে যদি দেশের বা দেশের মানুষের ক্ষতি হয়, তা কি কাম্য? যারা দেশের ভাল যারা চায়নি, দেশের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছে তাদের ফাঁসি শুধু চাই না ফাঁসি দিতে হবেই। কিন্তু এগুলো যেন ক্ষমতার সিঁড়ি বা অন্যকে টপকানোর জন্য না হয়।
বাংলাদেশিরা ধর্মান্ধ না ধর্মভীরু। দুটোর মধ্যে অনেক তফাত। আমাদের অনেক নিজের ভুলের মাশুল নিজেদের দিতে হবে। যদি এমন কিছু থাকে যা আমরা নিজেদের ঘায়েল করার জন্য এসব করছি, তা হলে অনেকেই সেই সুযোগ নেবে, আমার মনে হয় নিচ্ছে। দেশটা আমাদের, সুন্দর করে সাজাতে হবে আমাদের। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া ওরাই কিন্তু জঙ্গিবাদ দূর করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, আবার ওদের দেশেই কিন্তু বড় বড় অস্ত্র কারখান গুলো ভালই ব্যাবসা করেছে।
বলব না আমি আমি অনেক কিছু বুঝি, বলব না আমি অনেক কিছু জানি। হয়ত আপনাদের থেকেও আমার বয়স অনেক কম। তারপরও অনেক কিছু মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়।
কিন্তু একটা কথা আমাদের রাজনীতিবীদরা হয়ত ভুলে যাচ্ছে, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে আপনাদের সংখ্যা কত? ১০ লাখ ২০ লাখ ? মনে রাখুন যদি আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের দাড়াতে হয় চিন্তা করেন আপনাদের খাঁজেও পাওয়া যাবে না।