ক্লান্ত টুপাই শ্রান্ত হলেও হাত থেমে নেই,
এক মনে ভেঙ্গে যায় পাথরের বড় বড় চাই,
টুকরো পাথরে বড় বড় দালান হবে,
সুবেশী মানুষেরা সেই দালানে থাকবে,
দুহাত দূরে গাছের তলা গড়াগড়ি দেয় দুধের শিশু ময়না
ক্ষুধায় কাঁদে, একা একা হাসে, টুপাইর ফুরসত হয়না,
একমনে পাথর ভেঙ্গে চলে আর মনে মনে ভাবে
মাগোওওও বড় ক্ষিদে এই ভবে।
যেন একশ অজগর কুন্ডুলী ছেড়ে আড়মোড়া ভাঙ্গে,
জীবনের সব ভাবনা হারিয়ে যায় অজানা তরঙ্গে।
যে হাতে বড় বড় নোখ ছিলো, ঢাকা থাকতো আলতা বা নেল পালিশে,
সে হাত আজ টুটা ফাটা, ভাঙ্গা নোখ আর চামড়া কুঁচকানো ফ্যাকাশে,
যে হাত বুনতো পরম মমতায় নকশীকাথা,
আজ সে আঙ্গুলের গাঁটে গাঁটে ব্যাথা,
মাগোওওও বড় ক্ষিদে, টুপাই একমনে ভাবে
এ ক্ষিদের শেষ যে হবে কবে।
কখোন ফুরসত পেলে দুধের বাচ্চাটার মুখে পুরে দেয় শুকনো স্তন
দুধহীন স্তনে দুধের শিশু ময়নার নিষ্ফল সন্তরন।
ক্ষিধের জালাতে কোমল হাতে পাথর ভেঙ্গে চলে এক মনে
মাগোওওও বড় ক্ষিদে এই জনমে।