হাতে খাপখোলা কলম নিয়ে বসে থাকি,
লেখার প্যাডের শুভ্র অনাঘ্রাত জমিন তেমনি থাকে,
বুক পকেটে ঝক ঝকে স্বাধীনতা স্ট্যাম্প,
চিঠি তুই লিখবি কাকে?
বারুদের পোড়া গন্ধ, উত্তপ্ত ব্যারেল,
বুক ফুটো হয়ে বয়ে যাওয়া চট চটে রক্তধারা,
আর স্বাধীনতা চাওয়া মৃত মুক্তিযোদ্ধার আকাশের দিকে
তাকিয়ে থাকা খোলাচোখ, সহযোদ্ধার অশ্রুধারা
দেখেছিস কখন?
কিভাবে সবুজ চীরে লাল সুর্য ওঠে,
কত রক্তের রঙ ফিকে হয়ে মাটি হয়ে যায় খয়েরি,
শরনার্থি শিবিরে একহাতা খিচুড়ির দীর্ঘ লাইনে
একদঙ্গল ছিন্নভিন্ন বৃদ্ধ,নারী আর শিশুদের আহাজারি,
লোভী চোখের নিষ্ঠুরতা, খাকি উর্দির নির্দয়তা,
সম্ভ্রম হারানো স্খলিত পায়ের নারী কিংবা কিশোরী,
অথবা প্রাপ্য সনদ ন'হাজার টাকায় কিনে আনা
অপমানিত মুক্তিযোদ্ধার মায়ের সাথে হঠকারী
দেখেছিস কখোন?
তাপানুকুল ঘরের মায়াবী আলোতে
বিদেশি সিগারেটে দম নিতে নিতে
কিংবা বিদেশী মদিরা চুমুকে
স্বাধীনতা ধরে রাখা কোন মাসে বা কিছু দিবসে,
তুই চিঠি লিখবি কাকে,
স্বাধিনতার স্ট্যাম্প লাগিয়ে সবুজ খামে?
তাঁদের? যারা কখোন বোঝেনি
এ স্বাধীনতা কিনেছি কত দামে?