আজকের পত্রপত্রিকায় কিশোর রাজন হত্যাকান্দের সুত্র ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির নানা অপরাধ আর তাতে জড়িতদের শাস্তি না হবার কাহিনী লেখা হয়েছে। এর সব কিছুই আমাদের চোখের সামনে ঘটছে, পত্র পত্রিকায় আসছে কিন্তু কদিন পরে নিত্যনতুন ইস্যুর চাপে সব চাপা পড়ে যাচ্ছে বা চাপা দেয়া হচ্ছে। অপরাধী মানুষেরা আবার তাঁদের কাজে যোগ দিচ্ছে। দেখুন আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা মানুষ তাই তাঁদের মাঝে সাভাবিক ভাবেই অপরাধ প্রবনতা থাকবে। সব মানুষের কাছেই কম বেশী আছে। আমরা এর থেকে দূরে থাকি শিক্ষা ও সমাজলব্ধ ন্যায়নীতির জ্ঞ্যানের উপর নির্ভর করে। এ নিয়ে অনেক প্যাচাল করা যাবে। কিন্তু মূল কথা হোল অপরাধী যেই হোক তাঁর জন্য শাস্তিটা নিশ্চিত করতে হবে। উদাহরন সৃষ্টি করতে হবে যাতে মানুষ অপরাধের পরিনতি সম্বন্ধে জানে। একেক শ্রেনীর মানুষের জন্য একেক আইন বা আইনের প্রয়োগ অথবা সুবিধা প্রদান সমাজে অপরাধ প্রবনতাকে উতসাহ দেয়।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হোল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ অপরাধ করলে সেই বাহিনী নিজেই তা তদন্ত করে, সাধারনত এধরনের অন্য বাহিনীর হাতে দেয়া হয়না দায়িত্ব। আপনা মাংসে হরিনা বৈরী তো হবেই। পক্ষপাতিত্ব বা সুবিধা প্রদানের সুযোগ তাহলে তো থাকবেই। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে গন্য না করলে সাধারন মানুষের সুবিচার পাবার আশা সুদুর পরাহত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭