ছবিতে এক দিশাহীন প্রাণবন্ত যুবক সুলতান আচমকাই প্রেমে পড়ে যান আরফার। আরফা এলাকার একজন নামী কুস্তি প্রশিক্ষকের মেয়ে। আরফা নিজে কুস্তিতে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। তাই কুস্তিগীর যুবতীর প্রেমে পাগল সুলতান কুস্তির দুনিয়ায় পা রাখলেন আরফার মন জয়ের আশায়। আরফার পাশাপাশি কুস্তিকেও ভালবেসে ফেললেন। সবাইকে চমকে দিয়ে সুলতান হয়ে গেলেন রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। অর্থাত্, ছবির সেই দিশাহীন যুবক শুধু রাজকন্যাই পেলেন না, জিতলেন গোটা রাজ্য।
এর পর শুরু সুলতান-আরফার দেশ ও বিশ্বজয়ের যুগ্ম অভিযান। এখানেও অনায়াসে জয় পেলেন দু’জন। এর পর অলিম্পিকেও মনোনীত হলেন সুলতান-আরফা। কিন্তু সন্তানসম্ভবা আরফা ছিটকে গেলেন অলিম্পিকের পদক জয়ের দৌড় থেকে। সুলতান কিন্তু থেমে থাকেননি। এ বারেও অনায়াসেই অলিম্পিকে সোনা জিতলেন তিনি। সাফল্যের সঙ্গে বাড়তে থাকল অহঙ্কার। গ্রামের সরল, সাদামাটা সুলতানের তেজে তখন সকলেই ফিকে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা ধাক্কা সব কিছুকে ওলট পালট করে দিল। রক্তাল্পতায় ১৮ ঘণ্টার বেশি বাঁচল না সুলতান-আরফার সন্তান। আর তাতেই কুস্তির জগত থেকে সরে এলেন সুলতান।
এলাকায় ব্লাড ব্যাঙ্কের অভাবে তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। তাই কুস্তি থেকে সন্যাস নিয়ে এলাকায় একটা ব্লাড ব্যাঙ্ক খোলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে নেতা মন্ত্রীদের দরজায় দরজায় ঘুরতে থাকেন তিনি।
এরই মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতায় উঠে আসে সুলতানের নাম। কিন্তু ততদিনে পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। কুস্তি-শরীরচর্চা ছেড়ে চেহারা অনেক ভারি হয়ে গিয়েছে তাঁর। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ফ্রি স্টাইল রেসলিং এক কথায় অসম্ভব। প্রতিযোগিতার বেশির ভাগ কর্মকর্তারা যখন প্রায় হাল ছেড়েই দিয়েছেন। তখন মিলল সমাধানের পথ। সুলতানকে প্রশিক্ষণ দিতে রাজি হলেন দিল্লির এক কোচ। এর পর কঠিন পরিশ্রম, আর সাংঘাতিক জেদ তৈরি করল আর এক নতুন সুলতানকে। এই সুলতান আগের চেয়েও দুর্ধর্ষ এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি বিনয়ী। এ বারেও সবাইকে অবাক করে দিশি ‘ধোবি পাছাড়’-এ আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতা জিতে নিলেন তিনি। ছবির গল্প মোটামুটি এই রকমই। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৬