somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখে এলাম সাল্লু্ মিয়ার সুলতান । মুভি রিভিউ

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ছবিতে এক দিশাহীন প্রাণবন্ত যুবক সুলতান আচমকাই প্রেমে পড়ে যান আরফার। আরফা এলাকার একজন নামী কুস্তি প্রশিক্ষকের মেয়ে। আরফা নিজে কুস্তিতে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। তাই কুস্তিগীর যুবতীর প্রেমে পাগল সুলতান কুস্তির দুনিয়ায় পা রাখলেন আরফার মন জয়ের আশায়। আরফার পাশাপাশি কুস্তিকেও ভালবেসে ফেললেন। সবাইকে চমকে দিয়ে সুলতান হয়ে গেলেন রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। অর্থাত্, ছবির সেই দিশাহীন যুবক শুধু রাজকন্যাই পেলেন না, জিতলেন গোটা রাজ্য।
এর পর শুরু সুলতান-আরফার দেশ ও বিশ্বজয়ের যুগ্ম অভিযান। এখানেও অনায়াসে জয় পেলেন দু’জন। এর পর অলিম্পিকেও মনোনীত হলেন সুলতান-আরফা। কিন্তু সন্তানসম্ভবা আরফা ছিটকে গেলেন অলিম্পিকের পদক জয়ের দৌড় থেকে। সুলতান কিন্তু থেমে থাকেননি। এ বারেও অনায়াসেই অলিম্পিকে সোনা জিতলেন তিনি। সাফল্যের সঙ্গে বাড়তে থাকল অহঙ্কার। গ্রামের সরল, সাদামাটা সুলতানের তেজে তখন সকলেই ফিকে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা ধাক্কা সব কিছুকে ওলট পালট করে দিল। রক্তাল্পতায় ১৮ ঘণ্টার বেশি বাঁচল না সুলতান-আরফার সন্তান। আর তাতেই কুস্তির জগত থেকে সরে এলেন সুলতান।
এলাকায় ব্লাড ব্যাঙ্কের অভাবে তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। তাই কুস্তি থেকে সন্যাস নিয়ে এলাকায় একটা ব্লাড ব্যাঙ্ক খোলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে নেতা মন্ত্রীদের দরজায় দরজায় ঘুরতে থাকেন তিনি।
এরই মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতায় উঠে আসে সুলতানের নাম। কিন্তু ততদিনে পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। কুস্তি-শরীরচর্চা ছেড়ে চেহারা অনেক ভারি হয়ে গিয়েছে তাঁর। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ফ্রি স্টাইল রেসলিং এক কথায় অসম্ভব। প্রতিযোগিতার বেশির ভাগ কর্মকর্তারা যখন প্রায় হাল ছেড়েই দিয়েছেন। তখন মিলল সমাধানের পথ। সুলতানকে প্রশিক্ষণ দিতে রাজি হলেন দিল্লির এক কোচ। এর পর কঠিন পরিশ্রম, আর সাংঘাতিক জেদ তৈরি করল আর এক নতুন সুলতানকে। এই সুলতান আগের চেয়েও দুর্ধর্ষ এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি বিনয়ী। এ বারেও সবাইকে অবাক করে দিশি ‘ধোবি পাছাড়’-এ আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতা জিতে নিলেন তিনি। ছবির গল্প মোটামুটি এই রকমই। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে ।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×