বদরুলদের বন্ধ করতে সমাজকেও শুদ্ধ হতে হবে
প্রথমেই বলে রাখি, বদরুলের ঘটনাকে অনেকেই রাজনৈতিক দিকে মোড় নেয়ার সুযোগ খুজছে, কিন্তু আমি মোটেও বদরুলের দোষের সাথে রাজনৈতিক যোগসাজস পাইনি, তাই বদরুল-খাদিজা ইস্যুকে আমি রাজনৈতিক দিকে ঘুড়াতে চাই না, এতে আমাদের মূলশিক্ষা অন্যদিকে টার্ন নেবে।
বদরুল যখন খাদিজাকে কোপাচ্ছিলো তখন তার কোপানির দৃশ্য দেখে আমার কাছে বদরুলকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসী গোছের কিছু মনে হয়নি, বরং বোঝা যাচ্ছিলো বদরুল মারাত্মক মানসিক বিকারগ্রন্থ এবং প্রচণ্ড জিদ ও রাগ থেকেই সে খাদিজাকে আঘাত করছে। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম- বদরুল ও খাদিজার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো এবং সেখানে ভাঙ্গন ধরাতেই বদরুল খাদিজার উপর ক্ষেপে যায় এবং এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে।
সাম্প্রতিককালে এ ধরনের ঘটনা বেশ বেড়ে যাচ্ছে, যদিও সবগুলো বদরুলের মত এত মিডিয়া হাইলাইট হয় নাই। কিন্তু কেন এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ? কেন বদরুলের এত মানসিক বিকারগ্রস্থতা?
আসলে বদরুল এ সমাজের অনেক পুরুষের প্রতিচ্ছবি আর খাদিজা এ সমাজের অনেক মেয়ের প্রতিচ্ছবি। ঐ টাইপের মেয়েগুলো বদরুল টাইপের ছেলেদের সাথে বহুদিন প্রেম প্রেম খেলা খেলে, ছেলেগুলোকে নাকে রশি দিয়ে ঘুড়ায়। আর সময় হলেই (বিয়ের সময়) ঐ পুরাতনগুলোকে ছুড়ে ফেলে নতুনের ঘরে পাড়ি জমায় (নারীবাদীরা রাগ করবেন না)। এ সময় বদরুলরা সারধাণত তিন ধরনের রিয়্যাক্ট করে।-
এক, মেয়েটিকে হয় ভুলে যায়, সেও নতুনভাবে জীবন শুরু করে।
অথবা দুই, মেয়েটির দুঃখে নিজেকে শেষ করে দেয়। নেশা করে কিংবা আত্মহত্যা করে।
অথবা তিন, বদরুল যা করেছে তাই করে, মানে মেয়েটির ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি বিয়ের করার আগে নারী-পুরুষের প্রেম ভালোবাসার বিরুদ্ধ। আমাদের এ সমাজ বদরুল খাদিজাকে প্রেম করার সুযোগ দেয় কিন্তু বিয়ে করার সুযোগ দেয় না। ঐ এলাকাবাসী সবাই জানে বদরুল-খাদিজার মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু খাদিজা অবস্থাসম্পন্ন ঘরের সন্তান আর বদরুল দরিদ্র ঘরের সন্তান। সিনেমায় বস্তির ছেলের সাথে চৌধুরী সাহেবের মেয়ের বিয়ে হয়, কিন্তু বাস্তব জীবনে হয় না।
আমার মনে হয়, সমাজে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য প্রথম প্রয়োজন প্রেম প্রেম খেলা বন্ধ করা। এবং সে জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটা ছেলে-মেয়ের যখন থেকেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি চাহিদা তৈরী হয়, সেটা ১০ বছর হোক আর ১২ বছর হোক, তখনই আইনীভাবে বিয়েকে বৈধ করে দেয়া। আপনি ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করতে গেলে ম্যাজিট্রেট-ইউএনও-পুলিশ দিয়ে বিয়ে আটকাবেন, কিন্তু খাদিজাকে কুপানো দেখবেন না, তা কিন্তু হবে না। আপনি যে সমাজে আইন করে বিয়েকে আটকে রাখবেন, সে সমাজে অবৈধ প্রেম প্রেম খেলার উদ্ভব ঘটবে । আর যে সমাজে অবৈধ প্রেম প্রেম খেলার উদ্ভব ঘটবে সে সমাজে অসামঞ্জস্য সম্পর্কের উদ্ভব ঘটবে। আর সে সমাজে অসামঞ্জস্য সম্পর্কের উদ্ভব ঘটবে সেখানে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপানোর ঘটনাও ঘটবে।
তবে এখানেই শেষ নয়, কয়েকদিন আগে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের ক্লাস-৮ এর মেয়ে রিসাকে ছুরি মেরে হত্যা করে দর্জি ওবায়দুল। ওবায়দুলরা রিসার দিকে আকৃষ্ট হতেই পারে, আপনি তো আর ওবায়দুলদের মনকে শিকল দিয়ে বেধে রাখতে পারবেন না। কিন্তু আপনার জন্য যেটা সম্ভব সেটা হলো রিশাদের বাহ্যিক আবরণ সৃষ্টি করা, মানে ধর্মীয় পোষাক বাধ্যতামূলক করা। এতে বহুগুনে ওবায়দুলদের কুদৃষ্টি ঠেকানো যাবে।
অর্থাৎ সোজাভাষায়,
-নারী-পুরুষের ধর্মীয় পোষাক বাধ্যতামূলক করা,
-নারী-পুরুষেকে বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষক দ্বারা পড়ানো বন্ধ করা (বদরুল ছিলো লজিং মাস্টার) এবং
-অবৈধ প্রেম-পিরিত বন্ধে ১০-১২ বছর বয়সে বিয়ের ব্যবস্থা করা।
তবে উপরের কাজগুলো করার ক্ষেত্রে বাবা-মাকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে। তারাই সন্তাকে বিষয়গুলো শিক্ষা দেবে। আজকাল মা-বাবাই মেয়েদের বোরকা পড়তে নিষেধ করে। নিজ মেয়েকে সাজিয়ে-গুজিয়ে রাস্তার বখাটেদের প্রদর্শন করিয়ে বেড়ায়। ঘরের মধ্যে পুরুষ ঢুকিয়ে সুন্দরি মেয়েকে প্রাইভেট টিউটর নামক যুবক ছেলে দিয়ে প্রেম করার সুযোগ করে দেয়।
সবাই সচেতন হলেই সমাজের এ দুরাবস্থা অনেকাংশে বন্ধ করা সম্ভব। নয়ত এ সমাজ বদরুল-ওবায়দুল আর রিশা-খাদিজারদের জন্ম দিতেই থাকবে।
প্রথমেই বলে রাখি, বদরুলের ঘটনাকে অনেকেই রাজনৈতিক দিকে মোড় নেয়ার সুযোগ খুজছে, কিন্তু আমি মোটেও বদরুলের দোষের সাথে রাজনৈতিক যোগসাজস পাইনি, তাই বদরুল-খাদিজা ইস্যুকে আমি রাজনৈতিক দিকে ঘুড়াতে চাই না, এতে আমাদের মূলশিক্ষা অন্যদিকে টার্ন নেবে।
বদরুল যখন খাদিজাকে কোপাচ্ছিলো তখন তার কোপানির দৃশ্য দেখে আমার কাছে বদরুলকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসী গোছের কিছু মনে হয়নি, বরং বোঝা যাচ্ছিলো বদরুল মারাত্মক মানসিক বিকারগ্রন্থ এবং প্রচণ্ড জিদ ও রাগ থেকেই সে খাদিজাকে আঘাত করছে। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম- বদরুল ও খাদিজার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো এবং সেখানে ভাঙ্গন ধরাতেই বদরুল খাদিজার উপর ক্ষেপে যায় এবং এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে।
সাম্প্রতিককালে এ ধরনের ঘটনা বেশ বেড়ে যাচ্ছে, যদিও সবগুলো বদরুলের মত এত মিডিয়া হাইলাইট হয় নাই। কিন্তু কেন এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ? কেন বদরুলের এত মানসিক বিকারগ্রস্থতা?
আসলে বদরুল এ সমাজের অনেক পুরুষের প্রতিচ্ছবি আর খাদিজা এ সমাজের অনেক মেয়ের প্রতিচ্ছবি। ঐ টাইপের মেয়েগুলো বদরুল টাইপের ছেলেদের সাথে বহুদিন প্রেম প্রেম খেলা খেলে, ছেলেগুলোকে নাকে রশি দিয়ে ঘুড়ায়। আর সময় হলেই (বিয়ের সময়) ঐ পুরাতনগুলোকে ছুড়ে ফেলে নতুনের ঘরে পাড়ি জমায় (নারীবাদীরা রাগ করবেন না)। এ সময় বদরুলরা সারধাণত তিন ধরনের রিয়্যাক্ট করে।-
এক, মেয়েটিকে হয় ভুলে যায়, সেও নতুনভাবে জীবন শুরু করে।
অথবা দুই, মেয়েটির দুঃখে নিজেকে শেষ করে দেয়। নেশা করে কিংবা আত্মহত্যা করে।
অথবা তিন, বদরুল যা করেছে তাই করে, মানে মেয়েটির ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি বিয়ের করার আগে নারী-পুরুষের প্রেম ভালোবাসার বিরুদ্ধ। আমাদের এ সমাজ বদরুল খাদিজাকে প্রেম করার সুযোগ দেয় কিন্তু বিয়ে করার সুযোগ দেয় না। ঐ এলাকাবাসী সবাই জানে বদরুল-খাদিজার মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু খাদিজা অবস্থাসম্পন্ন ঘরের সন্তান আর বদরুল দরিদ্র ঘরের সন্তান। সিনেমায় বস্তির ছেলের সাথে চৌধুরী সাহেবের মেয়ের বিয়ে হয়, কিন্তু বাস্তব জীবনে হয় না।
আমার মনে হয়, সমাজে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য প্রথম প্রয়োজন প্রেম প্রেম খেলা বন্ধ করা। এবং সে জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটা ছেলে-মেয়ের যখন থেকেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি চাহিদা তৈরী হয়, সেটা ১০ বছর হোক আর ১২ বছর হোক, তখনই আইনীভাবে বিয়েকে বৈধ করে দেয়া। আপনি ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করতে গেলে ম্যাজিট্রেট-ইউএনও-পুলিশ দিয়ে বিয়ে আটকাবেন, কিন্তু খাদিজাকে কুপানো দেখবেন না, তা কিন্তু হবে না। আপনি যে সমাজে আইন করে বিয়েকে আটকে রাখবেন, সে সমাজে অবৈধ প্রেম প্রেম খেলার উদ্ভব ঘটবে । আর যে সমাজে অবৈধ প্রেম প্রেম খেলার উদ্ভব ঘটবে সে সমাজে অসামঞ্জস্য সম্পর্কের উদ্ভব ঘটবে। আর সে সমাজে অসামঞ্জস্য সম্পর্কের উদ্ভব ঘটবে সেখানে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপানোর ঘটনাও ঘটবে।
তবে এখানেই শেষ নয়, কয়েকদিন আগে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের ক্লাস-৮ এর মেয়ে রিসাকে ছুরি মেরে হত্যা করে দর্জি ওবায়দুল। ওবায়দুলরা রিসার দিকে আকৃষ্ট হতেই পারে, আপনি তো আর ওবায়দুলদের মনকে শিকল দিয়ে বেধে রাখতে পারবেন না। কিন্তু আপনার জন্য যেটা সম্ভব সেটা হলো রিশাদের বাহ্যিক আবরণ সৃষ্টি করা, মানে ধর্মীয় পোষাক বাধ্যতামূলক করা। এতে বহুগুনে ওবায়দুলদের কুদৃষ্টি ঠেকানো যাবে।
অর্থাৎ সোজাভাষায়,
-নারী-পুরুষের ধর্মীয় পোষাক বাধ্যতামূলক করা,
-নারী-পুরুষেকে বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষক দ্বারা পড়ানো বন্ধ করা (বদরুল ছিলো লজিং মাস্টার) এবং
-অবৈধ প্রেম-পিরিত বন্ধে ১০-১২ বছর বয়সে বিয়ের ব্যবস্থা করা।
তবে উপরের কাজগুলো করার ক্ষেত্রে বাবা-মাকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে। তারাই সন্তাকে বিষয়গুলো শিক্ষা দেবে। আজকাল মা-বাবাই মেয়েদের বোরকা পড়তে নিষেধ করে। নিজ মেয়েকে সাজিয়ে-গুজিয়ে রাস্তার বখাটেদের প্রদর্শন করিয়ে বেড়ায়। ঘরের মধ্যে পুরুষ ঢুকিয়ে সুন্দরি মেয়েকে প্রাইভেট টিউটর নামক যুবক ছেলে দিয়ে প্রেম করার সুযোগ করে দেয়।
সবাই সচেতন হলেই সমাজের এ দুরাবস্থা অনেকাংশে বন্ধ করা সম্ভব। নয়ত এ সমাজ বদরুল-ওবায়দুল আর রিশা-খাদিজারদের জন্ম দিতেই থাকবে।
✎✎✎✎✎নয়ন
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭