এক অদ্ভুত খেলায় মেতে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে তারা সরাসরি শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের গড়া দলটির বর্তমান কর্মকাণ্ড অত্যন্ত বিতর্কিত। যুক্তির পথ ছেড়ে তারা ভোটের রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ তার কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এসে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদির রায়ের পর জামাত-শিবির সারা দেশে ভয়ানক তাণ্ডব চালালেও বেগম জিয়া সে সম্পর্কে কিছু বলেন নি। রায় সম্পর্কে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নীরব। তাণ্ডব পরবর্তী ঘটনা নিয়ে তিনি আজ তার বানী দিলেন এবং সেখানে ছিল মিথ্যার জয় জয়কার। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যারা বিশৃঙ্খলা বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় তাদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ১৭০ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে তিনি বললেন ‘গনহত্যা’। অথচ জামায়াত-শিবিরের হাতে মারা যাওয়াদের নিয়ে তিনি টু শব্দটি করেন নি। তার মানে দাঁড়াচ্ছে দেশের পুলিশ ও সাধারণ মানুষের জীবনের চেয়ে বেগম জিয়ার কাছে জামাত-শিবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
রায় ঘোষণার পর সংখ্যা লঘুদের মন্দির ও বাড়ি ঘরে কারা আগুন লাগিয়েছে তা সবাই জানলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন জানেন না। সিঙ্গাপুর থেকে এসে এ সম্পর্কে তিনি বিন্দুমাত্র দুঃখ প্রকাশ করেন নি। তবে আজ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘এর দায় সরকারকে বহন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন খবর রাখছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সব রকম সহায়তা দেওয়া হবে।’ যারা সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে আগুন দিল মন্দির উড়িয়ে দিল তাদেরকে সংগে নিয়ে কিভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে এটা কেবল মাত্র বেগম জিয়াই ভালো বলতে পারবেন।
শাহবাগের প্রতি হঠাৎ করে বিএনপি কেন এত ক্ষেপে গেল তা কারোরই বোধগম্য নয়। তবে ধারণা করা যায় যে এখানে জামায়াতের চাপ থাকতে পারে। কারণ কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার সময় সারা দেশে একটা থমথমে ভাব বিরাজ করলেও সাঈদীর বিচারের সময় তা ছিল না। সাঈদীর বিচারের দিন দেশে ডাকা হরতালেও জামাত-শিবিরের কর্মীরা ভয়ে রাস্তায় ছিল না। এজন্য শতভাগ ধন্যবাদ পাবে শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চ। তাদের আন্দোলনের ফসল হচ্ছে সাঈদীর ফাঁসি। এ ঘটনায় যারপরনাই জামায়াত নাখোশ। অসংখ্য মিথ্যাচার, গুজব, খুন, ভয়ভীতি দেখিয়েও শাহবাগকে থামাতে পারে নি জামাত। শেষমেশ তারা বিএনপির শরনাপন্য হল এবং এখানেই তারা সফল হল।
সরাসরি শাহবাগের নাম উচ্চারণ না করলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছেন খালেদা জিয়া। সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না। একদিকে আমাদের মিছিলে গুলি করছে, সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে নাস্তিকদের পাহারা দিয়ে, খাওয়া-দাওয়া দিয়ে লালন করছে।’ মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে এটি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অত্যন্ত লজ্জার বিষয় বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধান মন্ত্রী জামায়াত-শিবিরের গলায় কথা বলছেন। উচ্চ শিক্ষিত উদার মনের ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের তিনি বলছেন নাস্তিক। হায় সেলুকাস! এমন নেতা কি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে?
গত সোমবারে বিএনপি কার্যালয়ে অত্যন্ত বিতর্কিত পুলিশি অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। সংগত কারণেই সবাই এর বিপক্ষে। এটাকে এড়িয়ে যেতে পারলেই মঙ্গল হত। ১৫৮ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করাটা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কেউ ভাবে নি যে পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে হানা দিবে। তবে মিডিয়ার শত শত ক্যামেরার সামনে পুলিশি অভিযানে বিএনপি কার্যালয়ে ১০ টি কক্টেল ও হাত বোমা পাওয়ার ঘটনায় সকলে হতভম্ভ হয়ে গেছে। একটি বৃহৎ দলের কার্যালয়ে মরণ ঘাতি অস্ত্র থাকাটা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। বিএনপির চেয়ারপার্সন সোমবারের ঘটনাকে সরকারের পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, বোমাবাজি করি না।’ কিন্তু এখানে একটু ভাববার বিষয় আছে। শত শত ক্যামেরার সামনে পুলিশ কোন ফাঁকে বিএনপি কার্যালয়ে বোমা নিয়ে আসল। নাকি আগে থেকেই পুলিশ শত শত বিএনপির নেতা কর্মীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বোমা এনে রেখেছিল? সহস্র প্রশ্নে এটাই উত্তর হতে পারে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ কখনও ঢুকবে এটা জেনেই সেখানে বোমা রাখা হয়েছিল।
বিএনপির উচিত রাজাকারদের শাস্তির সাথে রাজনীতিকে গুলিয়ে না ফেলা। জামাত-শিবিরের বর্তমান তাণ্ডবের কড়া সমালোচনা করাটা তাদের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জামাতকে ত্যাগ না করতে পারলে বিএনপিকে একদিন ইতিহাসের দায় নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
দেশের বর্তমান অবস্থাকে অনেকেই সঙ্কট বলে উল্লেখ করেছেন। যদি সঙ্কট শুরু হয় তবে তা হবে বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য জনক। কারণ বিগত কয়েক বছর বা কয়েক দশকে আমরা অনেক এগিয়েছি। সরকার জামাত-শিবির ছাড়া সকলের সাথে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে দেশে প্রশান্তি বজায় রাখুক এটাই সবার কাম্য।
এক অদ্ভুত খেলায় মেতে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে তারা সরাসরি শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের গড়া দলটির বর্তমান কর্মকাণ্ড অত্যন্ত বিতর্কিত। যুক্তির পথ ছেড়ে তারা ভোটের রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ তার কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এসে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদির রায়ের পর জামাত-শিবির সারা দেশে ভয়ানক তাণ্ডব চালালেও বেগম জিয়া সে সম্পর্কে কিছু বলেন নি। রায় সম্পর্কে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নীরব। তাণ্ডব পরবর্তী ঘটনা নিয়ে তিনি আজ তার বানী দিলেন এবং সেখানে ছিল মিথ্যার জয় জয়কার। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যারা বিশৃঙ্খলা বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় তাদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ১৭০ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে তিনি বললেন ‘গনহত্যা’। অথচ জামায়াত-শিবিরের হাতে মারা যাওয়াদের নিয়ে তিনি টু শব্দটি করেন নি। তার মানে দাঁড়াচ্ছে দেশের পুলিশ ও সাধারণ মানুষের জীবনের চেয়ে বেগম জিয়ার কাছে জামাত-শিবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
রায় ঘোষণার পর সংখ্যা লঘুদের মন্দির ও বাড়ি ঘরে কারা আগুন লাগিয়েছে তা সবাই জানলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন জানেন না। সিঙ্গাপুর থেকে এসে এ সম্পর্কে তিনি বিন্দুমাত্র দুঃখ প্রকাশ করেন নি। তবে আজ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘এর দায় সরকারকে বহন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন খবর রাখছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সব রকম সহায়তা দেওয়া হবে।’ যারা সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে আগুন দিল মন্দির উড়িয়ে দিল তাদেরকে সংগে নিয়ে কিভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে এটা কেবল মাত্র বেগম জিয়াই ভালো বলতে পারবেন।
শাহবাগের প্রতি হঠাৎ করে বিএনপি কেন এত ক্ষেপে গেল তা কারোরই বোধগম্য নয়। তবে ধারণা করা যায় যে এখানে জামায়াতের চাপ থাকতে পারে। কারণ কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার সময় সারা দেশে একটা থমথমে ভাব বিরাজ করলেও সাঈদীর বিচারের সময় তা ছিল না। সাঈদীর বিচারের দিন দেশে ডাকা হরতালেও জামাত-শিবিরের কর্মীরা ভয়ে রাস্তায় ছিল না। এজন্য শতভাগ ধন্যবাদ পাবে শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চ। তাদের আন্দোলনের ফসল হচ্ছে সাঈদীর ফাঁসি। এ ঘটনায় যারপরনাই জামায়াত নাখোশ। অসংখ্য মিথ্যাচার, গুজব, খুন, ভয়ভীতি দেখিয়েও শাহবাগকে থামাতে পারে নি জামাত। শেষমেশ তারা বিএনপির শরনাপন্য হল এবং এখানেই তারা সফল হল।
সরাসরি শাহবাগের নাম উচ্চারণ না করলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছেন খালেদা জিয়া। সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না। একদিকে আমাদের মিছিলে গুলি করছে, সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে নাস্তিকদের পাহারা দিয়ে, খাওয়া-দাওয়া দিয়ে লালন করছে।’ মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে এটি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অত্যন্ত লজ্জার বিষয় বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধান মন্ত্রী জামায়াত-শিবিরের গলায় কথা বলছেন। উচ্চ শিক্ষিত উদার মনের ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের তিনি বলছেন নাস্তিক। হায় সেলুকাস! এমন নেতা কি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে?
গত সোমবারে বিএনপি কার্যালয়ে অত্যন্ত বিতর্কিত পুলিশি অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। সংগত কারণেই সবাই এর বিপক্ষে। এটাকে এড়িয়ে যেতে পারলেই মঙ্গল হত। ১৫৮ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করাটা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কেউ ভাবে নি যে পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে হানা দিবে। তবে মিডিয়ার শত শত ক্যামেরার সামনে পুলিশি অভিযানে বিএনপি কার্যালয়ে ১০ টি কক্টেল ও হাত বোমা পাওয়ার ঘটনায় সকলে হতভম্ভ হয়ে গেছে। একটি বৃহৎ দলের কার্যালয়ে মরণ ঘাতি অস্ত্র থাকাটা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। বিএনপির চেয়ারপার্সন সোমবারের ঘটনাকে সরকারের পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, বোমাবাজি করি না।’ কিন্তু এখানে একটু ভাববার বিষয় আছে। শত শত ক্যামেরার সামনে পুলিশ কোন ফাঁকে বিএনপি কার্যালয়ে বোমা নিয়ে আসল। নাকি আগে থেকেই পুলিশ শত শত বিএনপির নেতা কর্মীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বোমা এনে রেখেছিল? সহস্র প্রশ্নে এটাই উত্তর হতে পারে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ কখনও ঢুকবে এটা জেনেই সেখানে বোমা রাখা হয়েছিল।
বিএনপির উচিত রাজাকারদের শাস্তির সাথে রাজনীতিকে গুলিয়ে না ফেলা। জামাত-শিবিরের বর্তমান তাণ্ডবের কড়া সমালোচনা করাটা তাদের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জামাতকে ত্যাগ না করতে পারলে বিএনপিকে একদিন ইতিহাসের দায় নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
দেশের বর্তমান অবস্থাকে অনেকেই সঙ্কট বলে উল্লেখ করেছেন। যদি সঙ্কট শুরু হয় তবে তা হবে বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য জনক। কারণ বিগত কয়েক বছর বা কয়েক দশকে আমরা অনেক এগিয়েছি। সরকার জামাত-শিবির ছাড়া সকলের সাথে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে দেশে প্রশান্তি বজায় রাখুক এটাই সবার কাম্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৩