২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া নৃশংস খুনগুলো যে বিচ্ছিন্ন কোন হামলা ছিলনা তা আজ ২০১৬ সালে পরিস্কার। ব্লগার, বিশ্ববিদ্যঅলয়ের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ খুন হয়েছে আর প্রতিবার তার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে যাদের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে সরকার। জামাতের প্রথম সারির সব নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে, বিএনপির প্রথম সারির নেতারা হয় নিস্ক্রিয় না হয় কারান্ত্ররীন।তবুাো তাদেরকে দোষারপ করতে সরকার পিছু হটেনি। বরং কয়েকশত সাধারন মানুষকে হত্যা করে, হাজার হাজারকে আহত আর কারাগারে নিক্ষেপ করে, জঙ্গীবাদের ধুয়া তুলে সরকার ক্ষমতা পাকা করেছে।অধিকারহীন মানুষের কাছে সরকার পরিবর্তনের সহজ রাস্তা- নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে সরকারের লুটেরা চরিত্রের জন্য। তাই পরিবর্তনের উপায় হিসেবে জঙ্গীরা সমাজে বিস্তারের সুযোগ পেয়েছ। এই পরিবর্তন হয়তো নতুন সমস্যা তৈরী করবে কিন্তু তাতে কী? জগদ্ধল পা্থরতো সরলো।
আরেকটি বিষয়, হাতে গোানা ২০০-৩০০ বাম, যারা নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দিতে বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, যতই ধর্মনিরপেক্ষতার ম্যাৎকার করুক আর সুশীল সমাজ যতই বলুক রাজনীতি, সমাজে ইসলামের প্রভাব নাই, থাকা উচিৎ নয়.......
জগৎ জীবনের সমস্যা মোকাবিলয় ইসলামের শক্তিশালী আবেদন আছে, ছিল এবং থাকবে। তাই জীবনের জন্য ইসলাম অধ্যয়ন গুরুত্বপূর্ন্
আমি বিশ্বাস করি, গুলশানে জঙ্গী হামলায় বৈশ্বিক শক্তি জড়িত, কিন্তু তা সত্বেও, ব্রাক-নর্থসাউথ, স্কলাস্টিকাতে ইসলাম শিখার সুযোগ থাকলে এবং
ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের অনুশাসন যদি পিতা-মাতা বা পারিবারিক পরিমন্ডল থেকে পেত, তবে এই ছেলেদের কাছে ইসলামের এই বিকৃত রুপ সহজে ধরা পড়ত। কুরঅান-হাদীস কি বলছে তা জানা অধিক জরুরী। অক্সফোর্ড, হার্বাড়, বা মোনাসের প্রফেসর লাইফ স্টাইলের কথা যত জোর দিয়ে শিখাক, কুরআনের শিক্ষাতা থেকে বহুগুনে শক্তিশালী। তরুনদের বিপথগামীতা রুখতে কুরআন, হাদীস আর রসুলের সীরাত জানতে হবে।
অন্য একটি বিষয়
সামপ্রতিক সময়ে দেশের এবং আন্তর্জাতিব মানবাধিকার সংস্থাসমূহের রিপোার্ট থেকে জানা যায় দেশে গুম হওয়া মানুষগুলোর গুম হওয়া পিছনে রেব, পুলিশ জড়িত। তার প্রমানও আমরা পাই। গুম হওয়া মানুষগুলোকে পুলিশ বা র্রাব কয়েক সপ্তাহ পরে মিডিয়ার সামনে হাজির করে বলে অমুক অমুক খুনের আসামী, শুধু ক্রস ফায়ার নামক রাস্ট্রয় নৃশংসতায় ২০১৫ সালে ১৯২ জনকে হত্যা করা হয়েছে । যেহেতু গুলশানের জঙ্গীরা দীর্ঘদিন গুম ছিল সুতরাং গুম করতে যারা সিদ্ধহস্ত অভিযোগের আঙ্গুল তাদের দিকেই তোলা যায়।
জঙ্গী ধরার নামে যে ১৬০০০ নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হলো, বা্য়োমেট্রিক দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্তিত করা হল, প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হল, চাইবার নিরাপত্তা আইনে অনেককে আটাক করা হল ---- এত সব আযোজনের মধ্যে জঙ্গীরা নিরাপদে প্রস্তুুত নিয়ে হামলা করলো, সরকার কিছই করতে পারলোনা।মিতু হত্যা কান্ডের মতো, সবটাই কী নাটক?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩০