যেখানে ৫.০০ এর আধিক্যে থাকা যাচ্ছে না,সেখানে আমার ৪.০০ কিছুই না। আমি বাসায় গিয়ে কিভাবে বাবা মা ভাই বোন এদেরকে আমার রেসাল্ট জানাবো? বলতে বলতে কেঁদে ফেল্ল ঐশী। তারপর ও কিছু ভাল বন্ধুর অনুপ্রেরনা পেয়ে বাসায় ফিরে আসলেন। বাসায় এসেই কান্না বিজরিত হয়ে তার ফলাফলের কথা জানালো। কিন্তু ঠিক যা ভেবেছিল তাই হলো। বাবা মায়ের বকুনি, রাতে খাবার সময় অপমান আর ঘৃণা সম্পন্ন কথা যেন স্বাভাবিক হয়ে গেল। বাবা মা আর বড় ভাইটার মুখের দিকে যেন তাকানো যাচ্ছিলো না। সে কোন রকমে হাসি মুখে খেয়ে উঠে নিজের ঘরে চলে গেল। তারপর ও যেন ভেসে আসলো তার প্রতি ছুরে দেয়া সমাজ ও পরিবারের কথা গুলো।
সকাল হয়ে গেল। ঐশী ঘুমাচ্ছে। পরিবার থেকে আবারো কথা শুরু হয়ে গেল।
-লজ্জা শরম নাই, এহন ...ও ঘুমায়।
দ্বিপ্রহর হয়ে গেল ঐশী এখনও ঘুমাচ্ছে। এখন আর পরিবারের কারও মুখে কোন কথা নেই। কথা নেই সমাজের কারও মুখে।
-সেতো গতকাল রাতে সবাইকে ছেড়ে চলে গেসে রে। সেত সইতে পারলো না এ অপমান আর ঘৃণা।
#আজ পঁচিশ বছর বাদে অরণি কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বল্ল-
বাবা আমি জি পি এ ৪.০০ পেয়েছি। আঁতকে উঠল অর্ক। কারন এমনি এক দিনে একই রকম ফলাফলের জন্য চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল তার আদরের লক্ষ্মী বোনটি। না এবার আর সে এ ভুল করেনি। এবার সে তার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে লাঞ্চে, ঘুরাতে..................সেলিব্রেট করেছে বাবা মেয়ে এক সাথে।
তোদেরকেও আজ সেলিব্রেট করলামরে আমার আদরের ভাই ও বোনেরা। তোদের সবার প্রতি অনেক দোয়া রইল।
“হেভ এ বেটার ফিউচার উইথ বেস্ট এক্টিভিটি”। লাভ ইউ অল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


