সাভারের খাগান এলাকাটা একটি আধূনিক গ্রাম।এই গ্রামেই আমার চৌদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি। আমাদের গ্রামে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। একটা হলো ‘সিটি ইউনিভার্সিটি’ অন্যটা ‘ব্রাক ইউনিভার্সিটি’। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে আমাদের ছোট্ট বাড়িটা। বাড়ির কাছেই মসজিদ। মা সবসময় নামাজের জন্য বকে। পার্লে মারেও- তবুও সুযোগ পাইলেই আমি নামাজ কামাই করি নানান অজুহাতে।
আমার আবার শীত বেশী। তাই অযু করার ভয়ে শীতকালে আমি ফজরের নামাজ কোনো দিন টাইম্লী পড়িনা। গত রাতে মা আমাকে বলে-প্লটু, এহন বিয়া শাদী কর্বি, হউর বাড়ি যাবি-নামাজ কালাম নাপর্লে মান্সে কইবে কি? আমি বলি-মা, আগে বিয়া ঠিক কর-তারপর রেগুলার নামাজ পর্মু।এরপর মা আমারে তওবা করাইছে-‘জীবনে মিথ্যা কথা বল্বিনা, নামাজ কামাই করবিনা’।
অভ্যাসমত দেরীতে ঘুম থেকে উঠেই মসজিদে যেয়ে দেখি-ইমাম সাহেব কয়েকটা ছোট বাচ্চাদের কানে ধরে দাড় করিয়ে রেখেছে- ওরা নামাজ পড়েনাই সেই জন্য। বাচ্চাগুলা সকালে ছেপাড়া পড়ে মসজিদের ইমাম সাবের কাছে। ৫/৬ বছরের একটা পোলারে ইমাম সাব জিগাইতাছে-“ঐ খালিক্কা, তুই নামায পরোস্নাই ক্যা”?
খালিক্কা(খালেক) কয়-“হুজুর মোর পিন্দনের কাপুরে মুত লাগজে-মুত লাগ্লে নামাজ অয়না, এই দ্যাহেন য়্যাহোনো মোর কাপুর ভিজা”।
হুজুরে কয়-“হারামজাদা, তুই মিছা কতা কস, তুই পানিদ্যা কাপুড় ভিজাইয়া কস-মূত লাগজে, আইজ তরে পিডাইয়া পিডের খাল উডাইয়া হালামু"”।
খালিক্কা অনেক কাকুতি মিণতি কর্তাসে-সত্যই অর কাপড়ে মুত লাগছে বইল্যা। কিন্তু ইমাম সাব খালিক্কার কথা বিশ্বাস যায়না।
এবার ইমাম সাব খালিক্কারে কয়-"তর কাপুড় খুইল্যা কাপুড়ের কোণা কামড়া"।
খালিক্কা জিগায়-"ক্যান হুজুর কাপুর কামরামু ক্যা"?
ইমামে কয়-"আমি কইতাচি তুই কামড়া"।
খালিক্কা নিজের কাপড়ের কোণ কামড়ায়.........
ইমাম সাব জিগায়-"ক ক্যামন লাগে?"
খালিক্কা বোঝেনা। ইমাম সাব আবার জিগায়-"ক ক্যামন লাগে?"
ইমাম সাব কয়-"তোর কাপুড় কি নোনতা লাগে?"
খালিক্কা উত্তর দেয়-"হয় নুন নুন লাগে।"
ইমামে কয়-"যা বাইত যাইয়া কাপুর খৈচ্চা ধুবি, হুকাইলে কাপুর পিন্দা কাজা নামাজ পর্বি।"
আমি ইমাম সাবের জিগাই-"হুজুর বোজলেন ক্যাম্মে-খালিক্কার কাপুড়ে মুত লাগজে?"
ইমাম সাবে কয়-"বাবারে অবিজ্ঞতা, মূত নালাগ্লে কাপুর নোনতা লাগতোনা...।"
এবার খালিক্কা জিগায়-"হুজুর আম্নে কি আগে মূত খাইছেন?"