যখন সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাব্লিক স্কুল এন্ড কলেজে ক্লাস নাইনে উঠলাম তখন আমাদের স্কুলের ইংলিশ টিচার আইরিন ম্যাডাম জয়েন করেন। বিপদজনক সুন্দরী। একজন সেনা কর্ম কর্তার বিবাহিত স্ত্রী। বিভিন্ন কারনে আইরিন ম্যাডামেরে সবাই ভয় পায়-আমিও ভয় পাই। ম্যাডামের শালীও আমাদের ক্লাসমেট-তার দিকেও আমরা তাকাইনা ডরে। একবার কোনো এক সিনিয়র ছাত্র একটি চিঠি ছুড়ে মেরেছিল-তারপর সেই ছাত্রকে ওর ভাই চরম প্যাদানী দিয়ে স্কুল থেকে বহিস্কার করায়। দুস্টু পোলাপাইন ম্যাডামেরে খেতাব দিয়েছে “রাস্ট্রদূত”-বিষয়টা ম্যাডামের কানেও যায় তার শালীর মাধ্যমে। নাম করনের কারন স্বার্থকতা প্রমানিত...। ম্যাডাম ক্লাসে আসার আগে কোনো এক দুস্ট বালক ব্লাক বোর্ডে বড় করে লিখে রাখে- “রাস্ট্রদূত" ”।
রাস্ট্রদূত ম্যাডাম ক্লাসে ঢুকেই প্রশ্ন করে- কে লিখেছে?
সবাই বোবা হয়ে আছি। বোবা হলেইতো শেষ রক্ষা হয়না! আমাদের স্কুলে প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে একজন স্টুডেন্টের বিভিন্ন গুনাবলী বিবেচনায় “বেস্ট স্টুডেন্ট” ডিকলার করাহোত। সেই বেস্ট স্টুডেন্ট আমি হয়েছিলাম পরপর দুইবার। একই সংগে আমি ক্লাস ক্যাপ্টেন-দ্বায় দ্বায়িত্ব সব আমার উপড় পরে। ব্লাক বোর্ডের লেখককে ধরতে নাপেরে পুরা ক্লাস টাইম আমাকেই বেঞ্চের উপড় কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে।
আমাদের ক্লাশ রুমগুলো U টাইপ।ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি বসতাম একদম স্যারদের পাশের সীটে। যখনই আমি বেঞ্চীর উপড় দাড়াই আমার চোখ পরে আইরিন ম্যাডামের বুকের উপর! ব্লাউজ ভেদ করে তার শরিরের অতিশয় সেন্সেটিভ অংশের অনেকখানি বেরিয়ে আসা দৃশ্যটি আমাকে এতই অভিভূত করলো যে মনেমনে বললাম-ইয়া পরওয়ারদিগার এই দাঁড়িয়ে থাকা যেনো কোনো দিন শেষ নাহয়। কিন্তু ৫০ মিনিট সময় যেনো পলকেই শেষ হয়ে গেল!
ছাত্ররা ভয় পেয়ে কেউ ম্যাডাম সম্পর্কে আর কিছু বলেনা। এবার আমিই শুরু করি দুই নম্বরী। নিজেই ক্লাসে ঢুকে সবার অগোচরে ২/১টা অশ্লীল শব্দ লিখি। যথারিতী আমিই শাস্তি ভোগ করি-আর মজা করে ম্যাডামের উন্মুক্ত অংশদেখি। আমি কৌশল করে এমন ভাবে কান ধরে দাড়াই যাতে অন্য কেউ না দেখে-আমি কী সৌন্দর্য্য উপভোগ করি! শুধু ঐ নিষিদ্ধ জিনিষ দেখার জন্য আমি ম্যাডামের দেয়া হোমওয়ার্ক মিস করা শুরু করলাম। যথারিতী শাস্তি সরুপ আমাকে কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ। আমি শুধু অপেক্ষা করতাম-কখন আমাকে শাস্তি দেবে। মাঝে মাঝে ম্যাডামের শাড়ির আঁচল আরো একটু নেমেগেলে আমি আরো একটু বেশী দেখে শিহরিত হতাম। নিষিদ্ধ সৌন্দর্য ভক্ষণ একাকী উপভোগ করে মজা নেই-তাই বিশয়টা ২/১ জন ইয়ার দোস্তদের সাথে শেয়ারও করি। বন্ধুরা আমাকে “ব্রেস্ট স্টুডেন্ট” নামে ডাকা শুরু করে। বিভিন্ন উসিলায় এখন আমি নিয়মিত শাস্তি নেই আর মনে মনে ভাবি-এটাই আমার স্বর্গ! কিন্তু স্বর্গে থাকা বেশী দিন স্থায়ী হলোনা। ম্যাডাম টের পেলেন বিষয়টা-এমনকি আমার ‘ব্রেস্ট স্টুডেন্ট’ নামকরনও! ক্যান্ট পাব্লিক স্কুল-কলেজ জীবনের পরের কাহিনী আর নাবলি।
জাবি’তে ভর্তি হলে আমার সহপাঠীদের মাধ্যমে আমার ‘ব্রেস্ট স্টুডেন্ট’ টাইটেল চাউর হয়ে যায়! ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি কোনো মেয়ে বন্ধু যোগার করতে পারিনি। কেউ কাছাকাছি এলেই আমার টাইটেল সম্পর্কে জেনে সবাই কেটে পরে।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবার আগে আগে একজনের সাথে কিছুটা ঘনিষ্ট হয়েছিলাম-তিনিও মাশাআল্লাহ আইরিন ম্যাডামের মতই। সেই মেয়েটাকে সবাই “পাকনা কাডাল” টাইটেল দিয়েছিল। হয়ত তাকে কেউ পছন্দ করতোনা অথচ বয়সের ভারে পেকে কাঠাল হয়েগিয়েছিল। ঐ পাকনা কাডাল’ টাইটেলের জন্যই আমিও সবার সামনে তার সাথে মিশতামনা।
চাকরী জীবনে ডেনমার্কের দুইজন লেডি বায়ারের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়। ওদের দেখেই অনূমান করতে পারি ডেনমার্কের গরু/দূধের জন্য কেন বিখ্যাত! যেনো আমার সামনেই ডেনমার্কের বিখ্যাত দুটি গাই......।
প্রেম থেমে থাকেনা-চলে বহতা নদির মত। আবার একজনকে মনে ধরে।দুজনেই দুজনকে পছন্দ করি।তাকে নিয়ে ২/১বার ব্লগ আড্ডায়ও যোগ দিয়েছি-অনেকেই ভাল বলেছে। আমার ভাগ্য এবারো আমাকে বঞ্চিত করেনি-তিনিও ডেনমার্ক সাইজ! কিন্তু বিধিবাম-তাঁর একটাই কথা, বিয়েরপর সে আমাদের সাভারের বাড়িতে আমার মা-ভাই-বোনদের সাথে থাকবেনা। বিষয়টা আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে আল বিদা!
আমার বিয়ের জন্য মা সব সময়ই উদ্ববিগ্ন। শেষ পর্যন্ত মায়ের পছন্দে এক কণে দেখতে রাজী হই। মা, ভাই-বোন এবং আমার এক বন্ধুকে নিয়ে বিজয় দিবসের রাতে রেডিও কলোনীর এক বাসায় কণে দেখতে যাই। কনে দেখে সবাই পছন্দ করেছে। আমারও অপছন্দের নয় কিন্তু আমার মনের ভিতর একটা পয়েন্ট খোঁচাচ্ছে...কি করে বারবার আমার ভাগ্যেই ফিরে আসে......।
বন্ধুটি কানে কানে বলে-পল্টু তোর ব্রেস্ট ভাগ্য চিরদিনের......! কণে সম্পর্কে বন্ধুটি আরো একটা কথা বলেছে-যা কাউকে বলা যাবেনা......
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৫৯