somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিধ্বংসী বঙ্গরাষ্ট্র পরিকল্পনা, সাথে আসিফ মহিউদ্দীন এবং আরো অনেকে

১২ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন কমিউনিজম মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, তখন ইউরোপে মার্ক্সীয় তথা মস্কোপন্থী কমিউনিজম এবং এশিয়ায় মাওপন্থী তথা পিকিংপন্থী (বর্তমানে বেইজিং) সমাজতন্ত্র প্রচার লাভ করে। মার্ক্সপন্থী এবং পিকিংপন্থীদের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য তাদের কর্মকৌশলে। পিকিংপন্থীদের একটি মূলমন্ত্র তাদের গুরু মাওয়ের কথা, বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস।

চরমপন্থার মাধ্যমে এরা এদের লক্ষ্যে পৌঁছতে চায়। এর জন্য চরম নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনেও এরা পিছপা হয় না। আমাদের দেশে সর্বহারারা হল পিকিংপন্থী বা মাওপন্থী। কম্বোডিয়ায় মাওপন্থী খেমাররুজ শাসনের সময় রাজধানী নমপেনের মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে জোর করে গ্রামের কৃষিক্ষেত্রে পাঠানো হয়, কিন্তু তারা তো কৃষিকাজে অভিজ্ঞ ছিল না। ফলে যা হবার তাই হয়, তারা না খেয়ে মরে। দেশটি পুরো ধ্বংস হয়ে যায়।

শ্রেণীশত্রুকে হত্যা করাটা হল তাদের একটি অন্যতম নীতি।

আমাদের দেশে পিকিংপন্থীরা ছিল স্বাধীনতার শত্রু। কারণ তাদের বাপ চীন ছিল পাকিস্তানের পক্ষে।১৪ই ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার পরামর্শ কিন্তু চীনই তখন দিয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। কারণ তাদের মতে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী শাসকদের মতোই এদেশের মুসলিম শ্রেণীর প্রতিভূ। তাই তারা বাংলাদেশ দেখতে চায় নি। তারা বলত, মুক্তিযুদ্ধ হলো দুই কুকুরের লড়াই।বুয়েটে কমিউনিস্ট ছাত্রদের রূমের ডায়েরীতেও এই কথা পাওয়া গিয়েছিল, যা পরে ফটোকপি করে বুয়েটের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার আকারে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।

স্বাধীনতার পরে পিকিংপন্থীদের নেতা সিরাজ শিকদার বঙ্গবন্ধু শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে সে অবশ্য ধরা পড়ে। বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতেই শেখ কামাল কর্তৃক তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

কিন্তু পিকিংপন্থীদের কুটকৌশল থেমে থাকে নি। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হত্যাকারীদের সপক্ষে ক্ষমতায় বহাল হল জিয়াউর রহমান। কিন্তু সে এদেশের নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখত না। কারণ সে বাংলাদেশে বেড়ে উঠেনি, তার বেড়ে উঠা পাকিস্তানে। সে উর্দূ লিখতে বলতে পারলেও বাংলায় ঠিকমতো কথা বলতে পারত না। দস্তখত করতো উর্দূতে। তাকে গড়ে তুলেছিল আরেক পিকিংপন্থী, তার নাম মশিউর রহমান ওরফে যাদু মিয়া।

সেসব দিন অতীত হয়েছে। এখন একবিংশ শতাব্দী। মাওপন্থী দেশদ্রোহীরা আজ বিচরণ করে সাইবার জগতে।

এদেশে তাদের শ্রেণীশত্রু মূলত মুসলমানরা। তসলিমা নাসরিনের বইতে সিরাজ শিকদারের বোন শামীম শিকদারের সাথে তার কথোপকথনের কিছু উল্লেখ আছে। তাতে আছে, মোল্লাদের দাঁড়ি ধরে মাটিতে আঁছড়াতে হবে। তাদের পাঞ্জাবী ছিঁড়ে নিতে হবে।

যদিও বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান, তারা বাংলাদেশকে দেখতে চায় ইসলামহীন রাষ্ট্র হিসেবে। এখন আওয়ামী লীগের কমিউনিস্ট ভূতরা(শফিক, নাহিদ প্রমুখ) সে কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে।

পিকিংপন্থী কমিউনিস্টদের সম্পূর্ণ ধর্মহীন ভাবাটাও ভূল। যেহেতু তাদের বাপের দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচলিত, তারা এদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে নিয়োজিত! তারা ইসলামের সমালোচনা করবে, প্রাণপ্রিয় নবীজী হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কুৎসিত পোস্ট লিখবে। কিন্তু বৌদ্ধধর্মের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রবল। এমনকি পোস্টের শিরোনামে কথিত ব্যক্তি তার ফেসবুকে বুদ্ধমূর্তির ছবি প্রচ্ছদে ঝুলিয়ে রাখে।

তারপরও তাদেরকে আমরা বলি নাস্তিক! আমরা বাঙালি মুসলমানরা এত বোকা কেন?

তারা দেখতে চায়না এদেশের মুসলমানদের। পাকিস্তানী হায়েনাদের মত এখনো তারা এদেশের মানুষ চায়না, চায় এর মাটি!

তারা চায় এর মাটি হয়ে পড়ুক পরাধীন। তাই তাদের মহাপরিকল্পনা হল, বাংলাদেশের জমিনকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে মার্জ করে বঙ্গরাষ্ট্র গঠন করা, যার সাথে জড়িত সামুর আসিফ মহিউদ্দীন, আলমগীর হুসেনের মত কট্টর ইসলামবিদ্বেষী পিকিংপন্থী কমিউনিস্টরা।


প্রমাণস্বরূপ আসিফের পোস্ট ওই বঙ্গরাষ্ট্রর যে ওয়েবসাইটে তাতে ঝোলানো আছে।

এদের দুটো ওয়েবসাইট

http://www.bangarashtra.net/

http://www.bangarashtra.org/

এবং তাতে আসিফের পোস্ট


এই ওয়েবসাইটটি বদ্বীপ প্রকাশনীর ওয়েবসাইট। এতে বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়কে চরমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। বাঙালি মুসলমানের অস্তিত্ববিরোধী তাদের পোস্টগুলো পড়লে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া যায়। তারা কোন মুসলমানের অস্তিত্ব এদেশে দেখতে চায় না। শুধু তাই নয়, এই ভারতবর্ষে অনার্যদের উপর আর্যদের নির্যাতনকেও তারা বই লিখে অস্বীকার করেছে! আর্যদের গুনগাণ করেছে। তারা বিজেপি বজরং দলের ন্যায় ব্রাহ্মণ্যবাদের ধারকবাহক। তারা বাঙালি মুসলমানদের অস্তিত্বের শত্রু! যেমন ছিল পাকিস্তানীরা।


এবং তাদের সাথে রয়েছে আমাদের আসিফ মহিউদ্দীন!

এইসব বর্ণবাদী জাতিবিদ্বেষী, বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকারকারীদের সাথে রয়েছে আমাদের আসিফ মহিউদ্দীন!

তারা পারবে না, তারা কখনোই পারবে না এদেশকে ভালবাসতে! তারা কখনো পারবে না কারণ তারা ঘৃণা করে, তারা ঘৃণা করে এদেশের আপামর জনসাধারণের বিশ্বাসকে।তাই তারা চায়, তাদের প্রভুরা এসে এদেশে দখল করুক। মাওয়ের কথিত সকল ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল যেমন বুক ঝাঁঝরা করে দেয়, আসিফ মহিউদ্দীনদের পোস্ট সেভাবে ঝাঁঝরা করছে এদেশের জনসাধারণের হৃদয়কে। তোরা শুনে রাখ ঘৃণাবাদীরা, তোরা পারবি না, তোরা কখনোই পারবি না। তোদের তসলিমা তো পারেনি মুসলমানদের ঘৃণা করে এদেশে টিকে থাকতে, পারেনি ইয়াহিয়া। দেশের মানুষদের ঘৃণা করে, তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে ওই দেশের মাটিকে ভালবাসা যায় না! ওই দেশে টিকে থাকা যায়না। তোদের বাপ ইয়াহিয়া পারেনি, তোরাও পারবি না।


মূল পোস্ট

১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×