মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী
১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার অভিমুখে
লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে
ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ।
ঢাকায় অবস্থিত মিয়ানমার
দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল
থেকে গতকাল মঙ্গলবার এ কর্মসূচি
ঘোষণা করেন দলটির আমীর
চরমোনাই পীর সাহেব মুফতি সৈয়দ
মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের
দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল
মোকাররমের সামনে থেকে দলের
হাজার হাজার নেতাকর্মী
গুলশানে মিয়ানমার দূতাবাস
অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলসহ
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য
রওয়ানা দেয়।
মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর
মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ তাদের
ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়।
সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন
নেতাকর্মীরা।
সেখান থেকে ইসলামী আন্দোলনের
মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ
আহমাদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের
প্রতিনিধি মিয়ানমার দূতাবাসে
স্মারকলিপি দিতে যান। বিক্ষোভ
মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের
সামনে থেকে শুরু হওয়ার কথা
থাকলেও দলটির নেতাদের
অভিযোগ সেখানে
নেতাকর্মীদের জড়ো হতে বাধা
দেয় পুলিশ।
তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্তে বায়তুল
মোকাররমের সামনে থেকে এই
বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করা হয়।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায়
জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে
যাত্রাবাড়ী হয়ে নেতাকর্মীদের
নিয়ে গাড়িবহর চট্টগ্রাম,
কক্সবাজার ও টেকনাফ হয়ে
মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ করা
হবে। পথে কয়েক জায়গায় পথসভাও
অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
৯ ডিসেম্বর জেলায় জেলায়
বিক্ষোভ
মিয়ানমারের আরাকানে
রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার
প্রতিবাদে ৯ ডিসেম্বর জেলায়
জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে
ইসলামী আন্দোলন। গতকালের
সমাবেশে চরমোনাই পীর মুফতি
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন,
বিশ্ব জনমত অগ্রাহ্য করে ‘অহিংস
নীতিতে বিশ্বাসী’ দাবিদার
বৌদ্ধরা আরাকানে রোহিঙ্গা
মুসলমানদের ওপর যে নগ্ন ও সর্বাত্মক
হামলা চালাচ্ছে তাতে কোনো
বিবেকবান মানুষ বিচলিত না হয়ে
পারে না।
চরমোনাই পীর বলেন,
আদমশুমারিতে রোহিঙ্গাদের নাম
অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নাগরিকত্ব
বহাল এবং শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ
মিয়ানমার সরকারের নিপীড়ন
থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে
রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে
হবে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ,
ওআইসি, ন্যাম, আসিয়ান ও সার্কসহ সকল
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও
সমপ্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান
জানান তিনি। ১৬ ডিসেম্বর তিনি
দেশব্যাপী দোয়া ও কুনুতে
নাজেলা পড়ার আহবান জানান।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১