এমনিতে রাতের বেলা ঘুম হয় না।
সকালের সূর্যটা জানালার ফাক
দিয়ে
ঠিক চোখে এসে লাগে।বিছানা
ছেড়ে বারান্দায় ছারপোকার বসত
ভিটা গড়া কাঠের চেয়ারটায় বসে
সিগারেট ধরায়।ট্রাফিক
সিগনালেরর
ছাড়পত্র পাওয়া গাড়িগুলোর হর্ন
এসে
মাথা ধরায়। হৈ হুল্লোর
ছোটাছুটির
শব্দ আসছে। ভূমিকম্প।দ্রুত নিচে
নামি।সরু
গলিটা সভা সমাবেশেরর মত মানুষে
গিজগিজ করছে।
মানুষের ভিড় ঠেলে চোখ পড়েছে
মেয়েটার উপড়।পরনে কলেজ ড্রেস।
জটলা বেধে আরও কয়েকজন দাড়িয়ে
আছে তার সঙ্গি হয়ে।
ভূপৃষ্ঠের কেপে যাওটা মনে হয়
তার
হাসির খোড়াক হয়ে দাড়িয়েছে।ভয়
ভীতির ছিটাফুটাও নেই চেহারাও।
গোমরা মুখে তাকে মানাবে বলেও
মনে হয় না।অদ্ভুদ সুন্দর হািস!
হাসির মায়ায় পড়ে গেছি।অবচেতন মন
তাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে!
শাড়ীতে
তাকে কেমন মানাবে?কল্পনায়
আকার
চেষ্টা করছি।
পাশাপাশি আমাদের কি মানাবে?
তার কি কোন কিছু অনুভূত হচ্ছে?
আমায়
কি তার চোখে পড়েছে? তার কাছে
গিয়ে কি দাড়ানো যায়?
ভাবছি,বুঝতে পারছিনা।বুক ধুকধুক
করে।
ভূপৃষ্ঠ স্থির হয়।থেমে আসে
মানুষের
গুনগুন আওয়াজ।গলিটা ফাকা হয়।
সাথে
মেয়েটার দাড়ানোর জায়গাটাও।
চোখে হাসিটুকু এখনও ভাসে।
স্বর্গসুখ
এসে আমাকে স্পর্শ করে যায়। কেন
জানি
মনে হয় আবার পৃথিবীটা কেপে
উঠবে।
আবার দেখা হবে তার সাথে। চোখে
হাসিটুকু এখনও ভাসে।প্রতিদিন
ঘুম
ভাঙে।সূর্যের আলো ফোটার আগে।
বারান্দায় বসে সিগারেট ধরায়।
একটা শব্দ আসবে।হৈ
হুল্লোর,ছুটাছুটির।
পৃথিবী কেপে উঠবে।চোখে
হাসিটুকু
ঝুলে থাকে।হৃদপিেন্ড একটা
কম্পন অনুভব
করি।মৃদু ভূ-কম্পের মত।আমাকে
কাপিয়ে
তোলে প্রতিবার....