পরনে হাফপ্যান্ট,মাথায় লম্বা চুল,
খালি গায় ছেলেটা এসে দরজা
খোলে। মনুষ্যসৃষ্ট নরকে ধীর পায়ে
এগিয়ে যায় মেয়েটা । এলোমেলো
বিছানা। মেঝে ভর্তি সিগারেটের
ছাই। ধোয়ার গন্ধ মাথা ধরায়। ছোট
রুমটায় দেয়ালজুড়ে রং তুলির চিত্র।
বারান্দায় এসে চেয়ারটায় বসে
সিগারেট ধরায় মেয়েটা।
বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘ শ্বাস
বেরিয়ে আসে। রাতের পর রাত কেটে
গেছে নগরীর বদ্ধ গুহায়। তৃষ্ণায় ভদ্রতার
আড়ালের মুখোশগুলো শুকনো ঘাঁয়ের
চামড়ার মত খসে পড়েছে । দুচোখ দিয়ে
দেখা হয়েছে অনেক । ছেলেটা
এসে মেয়েটার পাশে বসে। মেয়েটা
ছেলেটার দিকে ঝুকে চোখ দুটো
জাগিয়ে দিয়ে বলে, "কী,দেরি সহ্য হয়
না"। ছেলেটার বুকে মৃদু হাত বুলিয়ে
দেয় মেয়েটা। ছেলেটার হাত
ফিসফিস করে রং তুলির আচড়ে অনুভূত
গুলো ধরার।
ছেলেটা পানির সাথে
রং মেশায়। তুলি দিয়ে ঘুটা দেয়।
মেয়েটা বলে উঠে, "ওহ, তুমি শিল্পী''।
যাই কর বাপু,সময় কিন্তুু ফুরিয়ে এল।" রাত
গভীর হয়। ছেলেটা মেয়েটাকে
বিছানায় বসায়।মেয়েটার মুখচ্ছবি
আর্ট পেপারে ফুটতে থাকে। বুকের উপড়
থেকে ধীরে ধীরে কাপড় সরিয়ে
নেয় মেয়েটা। কাগজে রঙ তুলিতে
আচড়াতে থাকে ছেলেটা। নিজের
শরীর থেকে কাপড় ছড়াতে থাকে
মেয়েটা। কাগজে ফুটে উঠে তার দেহ।
মেয়েটা অতি যত্নে ছবিটায় চোখ
বুলায়।
ছেলেটার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে
মেয়েটা। পিঠে ঠোট দুটো আচড়
কাটে। বুকে হাত বুলায়।ঠোট জোড়া
কানের লতি ভিজিয়ে দেয় আর ফিসফস
করে বলতে থাকে," তুমিতো শিল্পী
হয়ে উঠ নাই।এ শরীরর জুড়ে শত কামড়ের
চিহ্ন।তুমি দেখতে পাইলে না"। ছবিটা
ছুড়ে মারে ছেলেটা।
আবার রঙ
মেশায়। শুরু করে। মেয়েটার ঠোট স্পর্শ
করে যায় উপড় থেকে নিচ।নিচ থেকে
উপড়ে।কাগজে সুখের রেখা
উঠে,পাশাপাশি একটা ক্ষত
চিহ্নের......
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২