somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাই!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নিজে রাজনীতি নিরপেক্ষ লোকনা। শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদের গালাগালি করে নিজের দ্্বায়িত্ব শেষ মনে করিনা। যেহেতু আমাদের সকল সমস্যার গোড়া রাজনীতির সমস্যা সেহেতু রাজনীতি ঠিক হওয়া প্রয়োজন মনে করি এবং বিশ্বাস করি রাজনৈতিক ভাবেই রাজনীতি শুদ্ধ হবে; অন্যকোনভাবে নয়।
ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। আমাদের আরেকটি বিজয় 90 এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। সে বিজয়কেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের সাথেই তুলনা করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম যখন এরশাদের জাতীয় পার্টি বিএনপি-জামাতের চারদলীয় জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাকে ওখানেই মানায়। হয়তো বা বিএনপি-জামাতের দু:শাসনে আবারো পড়তে হতো আমাদের। আমার মনে হয় তাতে খুব একটা ক্ষতি হতোনা। রাজনীতির শুদ্ধ-অশুদ্ধ একটু হলেও আলাদা করা যেতো। সে গুড়ে বালি! ঘটনার ঘনঘটা এখন আমাদের সামনে হাজির করছে ভিন্ন এক দৃশ্য। 14 দলীয় জোটে শরীক হচ্ছেন এরশাদ! গঠিত হচ্ছে মহাজোট। গতকাল একমঞ্চেই হয়ে গেল তার ড্রেস রিহার্সেল।
এরশাদ এবং তাকে নিয়ে রাজনীতির কুটকাচালী এর আগে এত বেশী আলোচিত হয়েছে যে এটা বলাটাই চর্বিত চর্বন মনে হয়। কিন্তু এ নাটকের যেন কোন শেষ নেই। দুই প্রধান দলের নেত্রী 90 এ ওয়াদা করেছেন। ওয়াদা ভেংেগছেন। পরে আবার কানে ধরেছেন। আবার ভুলে গেছেন। বিএনপির কাছে ইতিবাচক কিছু আশা করা মূর্খামি। আশায় বুক বাঁধে মানুষ বারবার আওয়ামীলীগের কাছেই। যতই খারাপ হোক বঙ্গবন্ধুর পার্টি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এইযে, তারা নিজেরাও বিএনপি হতে চায়। এবং বারবার সেটারই প্রমান দেয়।
ভোটের রাজনীতির হিসেবে এদেশের বামপন্থীরা একেবারেই গুরুত্বহীন হলেও আন্দোলনের হিসেবে তা নয়। আওয়ামী লীগকে তার জায়গা থেকে দেখেই বামপন্থীদের নিজস্ব অবস্থান গড়ে তোলা জরুরী ছিলো। প্রয়োজনে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বাম মোর্চা কেই অগ্রসর করা দরকার ছিলো। কিন্তু দেখা গেল একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া আর কোন পার্টিই এ বিষয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারলোনা। একসাথে আন্দোলন করার জন্য 14 দল করার দরকার ছিলোনা। 14 দল হওয়ার আগেও যুগপৎভাবে আন্দোলন হচ্ছিল। যাহোক, ফলাফল হচ্ছে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা এরশাদের সাথে একই মঞ্চে দাড়ালেন। বাম রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা আরো কয়েক ধাপ পড়ে গেল।
রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্ষমতা। সেটা আমি মানি। ক্ষমতার প্রশ্ন ছাড়া রাজনীতি হয়না। কিন্তু ঐ ক্ষমতাটা রাজনীতির জন্যই। পুরো রাজনীতি ক্ষমতার জন্য নয়। তাহলে সেটা রাজনীতি থাকেনা। জুয়াখেলা হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে আক্ষরিক অর্থেই জুয়া কিন্তু অনেকদিন থেকেই চলছে। অন্যদের মনে পড়বে, আনসীন, ব্লাইন্ড খেলা ইত্যাদি জুয়ার টার্ম ইদানিং রাজনীতিবিদরা হরহামেশা ব্যবহার করেন। একটাই কারন। ক্ষমতা। শেষ পর্যন্ত ঐ ক্ষমতাই!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এয়ার এম্বুলেন্স ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী’কে নিয়ে জরিপে আপনার মতামত দেখতে চাই॥

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন শহরে বসবাস করছেন। সেই দলের মূল নেত্রী অসুস্থ। আর তাকে চিকিৎসার জন্যে বিদেশ যাওয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিবে কাতারের আমির। বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের কি এতটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×