হাজারো দুঃসংবাদের মাঝে একটি ইতিবাচক খবর: কিছুক্ষণের জন্য হলেও দেশের চাহিদার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ! আশা করি এসরকারের আমলেই জাতি লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে।
ঢাকা, অগাস্ট ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এর ফলে বুধবার রাতে চাহিদার সর্বোচ্চ সময়ে কোনো লোডশেডিং হয়নি বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার সর্বোচ্চ চাহিদার সময় রাত ৯টায় ৬ হাজার ৩১৯ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
এই সময়ে চাহিদার পরিমাণও একই থাকায় কোনো লোডশেডিং হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল গত ২৫ জুলাই ৬ হাজার ২৭৯ মেগাওয়াট। তার আগে গত ২২ জুলাই রাতে ৬ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। ২১ জুলাই উৎপাদন ছিল ৬ হাজার ১০২ মেগাওয়াট।
২১ জুলাইয়ের আগে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছিল গত ২০ মার্চ। ওই দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৬ হাজার ৬৬ মেগাওয়াট।
রোজায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কথা সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী রমজান শুরুর আগে সাংবাদিকদের বলেন, রোজার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘পর্যাপ্ত’ রাখতে ওই সময় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, “সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে রোজার সময় প্রয়োজনে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াটই উৎপাদন করব আমরা।”
সরকারের হিসেবে, দেশে বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা প্রায় সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট হলেও ‘ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট’র মাধ্যমে তা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াটে সীমিত রাখা হয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেছে। এরমধ্যে ২৯টি কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চুক্তি করা আরো ১৯টি কেন্দ্রও বর্তমান সরকারের সময় উৎপাদনে এসেছে।
পিডিবির হিসাবে, বর্তমান সরকারের সময় নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট।
সূত্র: অনলাইন বিডি নিউজ