লক্ষ লক্ষ ধর্মান্ধ মুসলমানের আধ্যাত্মিক নেতা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইসলামি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে তাঁর ওয়াজ-নসীয়ত শুনুন:
লিঙ্ক: Click This Link
ওয়াজের শেষের অংশ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। সবার বোঝার সুবিধার্থে শেষের বয়ানের অনুবাদ নিচে দেওয়া হল:
শীতকালে ভেজা কাথাঁ গায়ে দিলে যেভাবে শরীরে কাপুঁনি আসে মেয়েলোক দেখলে জওয়ান পুরুষদের শরীরেও সেরকম অনুভুতি আসে। মেয়েলোকেরা বাইশ তাল জানে, এরা পুরুষকে এই বাইশ তালে ফেলে জেনাতে শরীক হতে প্রলুদ্ধ করে। এইজন্য ইসলামে পর্দা ফরজ। ছেলের জন্য বউ দেখার সময় আপনারা শুধু স্কুল-কলেজের মেয়ে খোজেঁন, কি পাশ সেটা দেখেন। অথচ মেয়েটি ৩০ পারা কোরান পড়েছে কিনা নামাজ পড়ে কিনা কখনও জিজ্ঞাসা করেন না।
স্কুল-কলেজে পড়ার সময় ছেলেমেয়েরা অবাধ মিলামিশা করতে করতে বীর্য শেষ করে ফেলেছে, বিয়ের পর বীর্যের অভাবে আর বাচ্ছা হয় না। তখন আমাদের কাছে পানি-পড়া ও তাবিজের জন্য আসে। একটা বা দুটা সন্তান হওয়ার পর আর বাচ্চা হয় না। আবার বলে "জন্ম-নিয়ন্ত্রণ' করে, আসলে বীর্যের অভাবে সন্তান হয় না - সেটা বলে না, বলে 'বাথ কন্ট্রোল'। আরে বেটা মরলে তোর নাম নেয়ার মতো ওয়ারিশ থাকবে না। 'জন্ম-নিয়ন্ত্রণ' মানে কি জানেন? পুরুষকে খাসি বানিয়ে দেওয়া, আর মেয়েলোকের লজ্জাস্থানে হাত ডুকিয়ে বাচ্চাদানী সেলাই করে দেওয়া যাতে বীর্য প্রবেশ করতে না পারে। তোরা নারী-পুরুষকে বন্ধ্যা করছ, যা বনে-জঙ্গলে গিয়ে হাতি, শুকর, বানর - এদেরকে বন্ধ্যা কর। এরা আমাদের ফসলের ক্ষতি করে। আরে বেটা বাথকে কন্ট্রোল করছ, পারলে ডেথকে কন্ট্রোল কর। পারবি? তাতো পারবি না।
আমার নবী (সঃ) বলেছেন এমন নারীকে বিয়ে কর যার বেশি সন্তান-সন্ততি হবে। কেন? কারণ আমার নবী কেয়ামতের মাঠে গর্ব করে বলবেন, "দুনিয়াতে আমার উম্মদ সবচেয়ে বেশি"। বিয়া দুইটা, তিনটা, চারটা পর্যন্ত কর, উম্মদ বাড়াও। এক সাহাবী একটা বিয়ে করার পর আর্থিক অনটনে পড়েন। তখন তিনি নবীর কাছে গিয়ে অভাব-অনটনের কথা বলেন। তখন নবীজী বলেন, 'যা গিয়ে আরেকটা বিয়ে কর।' সাহাবী ইচ্ছে না থাকা সত্বেও নবীজীর কথায় আরেকটা বিয়ে করলেন। এরপরে সংসারে আর অভাব-অনটন রইল না। কারণ রিজিকের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ বলতেছে আমি তোকেও খাওয়াব এবং তোর সন্তানদেরকে খাওয়াবো। তাহলে তুই কেন বাথ কন্ট্রোল করবি? খবরদার! বড় গুনাহ, বাথ কন্ট্রোল করবা না।
কেয়ামতের দিন আমার পেয়ারা নবী মোহাম্মদ (সাঃ)-এর উম্মতের কাতার হবে ৮০টি, আর আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত তাদের উম্মতের কাতার হবে ৪০টি। আর আমরা ওদের দ্বিগুণ হব। সুতরাং খবরদার বাথ কন্ট্রোল করবেন না, এটি বড় গুনাহ। তোমার ১ম পুত্র অন্ধ, ২য় পুত্র খোঁড়া। এখন যদি জন্ম-নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে ভালো সন্তান কেমনে আসবে? তোমার বীর্যের মধ্যে মুফতি আযম, মুফতি ফয়জুল্লাহর মতো দুনিয়া চালানোর মতো সন্তান জন্ম হতো, কিন্তু জন্ম-নিয়ন্ত্রণ করে তুমি তা হতে দাও নাই। ঠিক কিনা বলেন? মেয়ে বিয়ে করার সময় দেখ তার মার, তার নানীর বেশি সন্তান হয়েছে কিনা। সম্ভব হলে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করেন, অনুমতি-এজাজত আছে, নবীজী ৯টি-১১টি পর্যন্ত করেছেন। স্কুল-কলেজের ইংরেজি শিক্ষিত লোকেরা এসব বাথ কন্ট্রোল বেদাত কাজ চালু করেছে। সাবধান আপনারা এসব করবেন না।
সাত কিসিমের মানুষ কেয়ামতের দিনে আসতের নিচে ছায়া পাবে, তার মধ্যে এক কিসিমের হচ্ছে সেসব জওয়ান যুবক-যুবতীরা যারা তাদের যৌবন কালটা এবাদত-তেলওয়াতের মধ্যে কাটিয়েছে। তারা আসতের নিচে ছায়া পাবে যেদিন কোন ছায়া থাকবে না, গাছপালা থাকবে না, ঘর-দুয়ার থাকবে না।