somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাগলের স্বাধীনতা-শেষ পর্ব

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দৌড়ে চলে এলেন একেবারে শহরে স্থাপিত একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভের ভেতর।এসেই বিভিন্ন ভঙ্গিমায় দাড়ানো ভাস্কর্যগুলোর অববয় অনুকরণ করতে লাগলেন।মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য স্তম্ভের উপর করিম পাগলার মুক্তিযোদ্ধাদের আদলে বিভিন্ন অঙ্গের অঙ্গভঙ্গির দৃশ্যায়ণ দেখে সাধারন পাবলিকের ভীড় জমতে থাকে।কেউ কেউ আবার মোবাইলে ক্যামেরায় ছবি এবং ভিডিও করছেন।অবস্থা বেগতিক দেখে প্রশাসনের কিছু লোক এসে করিম পাগলারে ভাষ্কর্য স্তম্ভবের উপর হতে বুঝিয়ে শুনিয়ে অনুরোধ করে নীচে নামিয়ে আনেন।সেখান হতে বের হয়ে করিম পাগলা- ফুটপাতের রাস্তা দিয়ে আনমনে হাটছেন।মাঝে মাঝে পাগলের মত অঙ্গভঙ্গিতে রপ্ত থাকতেন।চলার পথে করিমের সামনে এসে পড়ল এক কান্ডজ্ঞানহীন লোক যিনি ফুটপাতের রাস্তার ওয়ালের দিকে ঘুরে প্রসাব করছিলেন।করিম পাগলা বুঝুক আর নাই বুঝুক হঠাৎ প্রশ্রাবরত অবস্থায় লোকটির পাঁছায় এক পা দিয়ে লাথি মেরে বিদুৎ গতিতে হাজারো মাইল বেগে দৌড়াচ্ছেন আর মুখে বলে যাচ্ছেন-“বাঙালী তুই মানুষ হইলি না”।লোকটি হঠাৎ করিমের লাথি খেয়ে সে স্থানে সয়লাব প্রশ্রাবের উপর চিৎপটান হয়ে পড়ে জামা কাপড় সব নষ্ট করে ফেললেন।লক্ষ্য করে সে দেখলেন এক পাগল তাকে লাথি মেরে দৌড়ে পালাচ্ছেন।এখন পাগলকে আর কৈ পাবেন,কীবা করার আছে।

করিম পাগলা এবার ওয়ালে লাগানো এক ছবি’র উপর চুমোর পর চুমো খাচ্ছেন আর কিছুক্ষণ পর পর স্যালুট দিচ্ছেন।স্বাধীনতা মাসে শোকাহত পোষ্টারে গেরিলা বাহিনীর অন্যতম সদস্য শহীদ শাফি ইমাম রুমী ও আজাদদের ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে পরম শ্রদ্ধায় বার বার স্যালুট দিচ্ছেন।মনের অজান্তেই মুক্তিযোদ্ধা করিম পাগলার দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ল।ভাবছেন দেশকে স্বাধীন করতে,দেশের প্রতি মমতাবোধ নির্যতনের কতটা অসহনীয় দৃষ্টান্ত স্বরূপ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য, পাকিদের আতংক বীর বিক্রম শহীদ রুমি’র মা।


মুক্তিযুদ্ধে যাবার আগে একদিন তার মা জননী জানারা ইমাম হাত বাড়িয়ে তার মাথাটা কোলে নিয়ে তাকে বলেছিলেন-
-রুমী’এতো কম বয়স তোর এখনো তো পৃথিবীর অনেক কিছুই দেখলি না।জীবনের কোন কিছুইতো এখনো বুঝলি না।
রুমী তখন একটু মুচকি হাসলেন।সেই হাসিতে একটু বেদনা লুকিয়ে মাকে বলেছিলেন-বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন’একটা কথা আছে না আম্মা।হয়তো জীবনের পুরোটা তোমাদের মত জানিনা,ভোগও করিনি কিন্তু জীবনের যত রস মাধুর্য তিক্ততা-বিষ সব কিছুর স্বাদ কিন্তু আমি এর মধ্যেই পেয়েছি আম্মা।যদি চলেও যাই তবুও কোন আক্ষেপ নিয়ে যাবো না।(একাত্তরের দিনগুলো পৃষ্ঠা ২০২)

মা বাবার ইচ্ছে ছিলো ছেলেকে আমেরিকা হতে বড় কোন ডিগ্রী করায়ে ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন তখন এ পরিপেক্ষিত তার জবাব ছিয়েছিলেন।
-আমেরিকা হতে হয়তো আমি বড় কোন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশে ফিরব কিন্তু দেশের এ ক্লান্তিলগ্নে আমার অনুপস্থিতি আমার বিবেকের কাছে এ প্রশ্নের কী জবাব দিবো?ছেলের এমন দেশভক্তি যুক্তি তর্কে মা হার মেনে বললেন-যা তোকে ছেড়ে দিলাম-মুক্তিযুদ্ধে যা।


আরেক অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ঢাবির শিক্ষার্থী শহীদ শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল বাকী। তার মুক্তিযুদ্ধে যাবার প্রক্কালে তার মাকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন-১৯৭১ ১৮ এপ্রিল।
দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারি না মা। তাই ঢাকার আরো বিশটা যুবকের সাথে আমিও পথ ধরেছি ওপার বাংলায় যাবার। মা তুমি কেঁদো না, দেশের জন্য এটা খুবই নূন্যতম চেষ্টা। মা তুমি এদেশ স্বাধীনের জন্য দোয়া কর আমরা যেন জয়ের বেশে ফিরতে পারি।


“মা কতো দিন ভাত খাই না।আমার জন্য ভাত নিয়ে আসো”।
৭১’মুক্তিযুদ্ধে ক্র্যাকপ্লাটুনের পাকিদের আতংক শহীদ আজাদ এর মা ঠিকই ভাত নিয়ে জেলখানায় গিয়েছিলেন কিন্তু ছেলেকে আর ফিরে পাননি।১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন তার মা। ৩০ আগস্ট মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো চৌদ্দটি বছর ভাত মুখে তুলে নেননি। একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন। কারণ তার একমাত্র ছেলে দেশ কান্ডারী আজাদ ভাত চেয়েও তিনি ভাত খাওয়াতে পারেননি।তাইতো অপেক্ষা করেছেন চৌদ্দটা বছর ছেলেকে এক নলা ভাত খাওয়াবেন বলে।এই চৌদ্দটি বছরে তিনি কখনো কোন বিছানায়ও শোননি। শানের মেঝেতে শুয়েছেন। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা কোন ঋতুতেই তিনি পাল্টায়নি তার এই শয্যা। কারণ তার ছেলে রমনা থানার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা তিনি খুজেঁ পাননি।

(শহীদ আজাদ ও বন্ধু রুমীর কথাগুলো খুব বেদনা দায়ক ভাবে উপস্থাপণ করেছেন এ কালের আরেক জনপ্রিয় সাহিত্যিক আনিসুল হক তা “মা” উপন্যাসটিতে)।

স্মৃতিগুলো মনে পড়ে করিম পাগলার চোখ ভিজে গেল।তবুও চোখের জল মুছবার যেন তাড়া নেই তার।তাদের পাশেই ছিলো আরেক জন রিসেনলি পরলোগত শোকাহত পোষ্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বিজ্ঞানী অজয় সাহা’র।সেদিকে তাকিয়েও কী যেন ভেবে বঙ্গবন্ধুর মতন আঙ্গুল নেড়ে নেড়ে বলছেন।
-সেইতো গেলি(পরলোকগত) তখন কেন গেলি না?(যুদ্ধরত অবস্থায় ১৯৭১)

তার মনের ভাষ্য এ কথাই প্রতীয়মান হয়-যুদ্ধের সময় যদি আমরা(জীবিত মুক্তিযোদ্ধা)শহীদ হয়ে যেতাম তাহলে হয়তো যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা অসন্মান আর ভিখারীর মত বেচে থাকার করুণ দৃশ্যগুলো দেখতে পেত না সে।জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা বেচে থেকেও আজ যেন মৃত প্রায়।কোন কোন মুক্তিযোদ্ধারা বেচে থাকার জন্য তাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে কবর দিয়েছেন।দেশপ্রেমহীন অনিয়ম দূর্ণীতিতে,স্বাধীন মত প্রকাশে বাধায় লেখক ব্লগার হত্যা,জীবিত মুক্তিযোদ্ধা নিধন যা ক্ষমতার লোভে এক জেনারেল করেছিলেন।তারা রাজাকারদের সঙ্গে পরোক্ষ প্রত্যাক্ষ ভাবে মদদে সূবিদাভোগে মত্ত ছিলেন।যা একজন দেশপ্রেম মুক্তিযোদ্ধার কাছ হতে কখনোই আমাদের কাম্য ছিলো না।
আমরা যদি রিসেনলি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বিজ্ঞানী অজয় সাহা এর জীবনীর দিকে তাকাই তবে কী দেখতে পাই? জীবনকে বাজী রেখে দেশ স্বাধীন করে কী পেয়েছেন? সে আমাদের শুধু পায়ের তলায় দাঁড়ানোর স্বাধীন মাটির ব্যাবস্থাই করে জাননি সে তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এ দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বিজ্ঞান মনস্কা নাগরীক হিসাবে গড়ে তুলতে অপরিসীম মেধা খাটিয়ে গেছেন।তার বিনিময়ে তিনি কী পেলেন?উপহার হিসাবে পেয়েছেন পৃথিবীর সব চেয়ে ভারী বস্তু “পিতার কাধে পুত্রের লাশ”।তার বিজ্ঞান মনস্কা লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে বই মেলার সামনে হাজানো জনতার ভীড়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় কুপিয়ে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করে এ দেশেরই কিছু উগ্র মৌলবাদীরা।একমাত্র অভিজিৎ এর বউ ছাড়া কেউ এগিয়ে যায়নি তাকে বাচাতে।এ দেশে রাজাকার বংশধরেরা এতোই শক্তিশালী যে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে ধর্ম অবমাননার জন্য কুপিয়ে হত্যা করে অথচ তাদের বিচারের আওতায় আনাটা যেন এখনো দুঃসাহসীক কাজ।

করিম পাগলার আফসোস তুমিতো মরে গিয়ে বেচে গেলে আর আমি মরতে চেয়েও মরতে পারছি না।এখন সবাই আমাকে পাগল বলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।তুমি তোমরা মরে গিয়ে বেচে গেছো।দেখতে হবে না আর! কী ভাবে এদেশটা নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে।দেশ স্বাধীনের পরও কিছু কাল মানুষের মনে সেই সহানভুতি মানবতা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিলো আজকাল তা যেন স্বপ্ন।কেউ শুনে না কারো কথা,কেউ মানে না নীতি কথা,কেউ বুঝে না দেশের ব্যাথা,কেউ ডাকে না ভাল কথায়।সবাই কেমন যেন স্বার্থের রাজপ্রাসাদে রাজ্য করে বেড়াচ্ছেন।


রাজাকাররা এ দেশে থাকেন আরাম আয়াসে আর মুক্তিযোদ্ধারা থাকেন অনাদরে অবহেলায়।ছবিতে তেমনি একটি বেদনাদায় দৃশ্য যেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থায়ীও কোট টাই পড়া কর্মকর্তাদের একদল শীর্য রাজাকার গোলাম আজমকে দামী একটি হুইল চেয়ারে বসিয়ে সবাই গার্ডঅফ অনার দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বিজ্ঞানী অজয় সহাকে সরকারী খাপোষা দুএকজন পুলিশ হেনতেন ভাবে নিয়ে যাচ্ছে।

করিম পাগলা ভাবনা-এর জন্যই কী আমরা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলাম?এমন দেশটির স্বপ্নতো আমরা দেখিনি!।বড় আফসোস বড় আফসোস….।দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দুর্বল শরীর ক্রমশত দূর্বল হয়ে সেই ওয়ালে পিঠ ঢেকিয়ে ধীরে ধীরে বসে পড়লেন করিম পাগলা।সেই স্থান দিয়েই যাচ্ছিল একদল নতুন প্রজন্ম যাদের চিন্তা চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ সদা জাগ্রত।দলটি করিম পাগলাকে দেখতে পেয়ে তাকে সাথে নিয়ে যেতে বলাতেই সে রাজী হয়ে গেলেন।তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন এ নতুন প্রজন্ম দলটিই হয়তো তার একমাত্র ভরসার দল।যাদের কথায় নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ণে একমাত্র সঠিক স্থান।

করিম পাগলাকে ওরা ওদের সেবা যত্ন দিয়ে শরীর আবৃত্ত সব নোংরা জামা কাপড় পরিবর্তন করে একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বানালেন।রাতে তাদের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় রাত পোহালে যে বিজয় দিবস আসবে,সেই বিজয় দিবসে তাকে অনাদরে অবহেলায় পাগলের মতন রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা পাগল মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে একটি সম্মার্ধনা দেয়া হবে।পাশেই একটি চেয়ারে বসা ছিলো করিম পাগলা।তখনো সে পাগলামীতে মত্ত কিন্তু তার কান ছিলো খাড়া।তাদের সব কথাশুনে তার মনে হল-বিজয়ের ৪৮ বছরে এসেও কেবল মাত্র একটি দিনের স্বরণে সে এ সন্মান বহন করতে চান না।
রাত তখন দুটো প্রায়। ক্লাশ এইটে পড়ুয়া করিম পাগলা তার ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে কাগজের একটি টুকরোতে একটি চিরকুট লিখে তার থাকা স্থানের একটি টেবিলের উপর রেখে নীরবে চলে গেলেন।

ঠিক তার কিছুক্ষণ পর টিরকুটটি এক জনের হাতে পড়ল এবং সে খুজেঁ দেখল সেই পাগলটিও আর সেখানে নেই।চিরকুটটি তাদের দল নেতার কাছে নিয়ে গেলে দলনেতা চিরকুটটি পড়লেন।

আমিতো পাগল হয়েছি সেই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
যখন দেখেছি হাজারো লক্ষ যুদ্ধ শিশুর ক্রন্দন
দায়ীত্ব নেই কারো দেখবার কিছু করার
দত্তকে আগত ভিনদেশী সওদাগর।

আমিতো পাগল হয়েছি সেই দিন,
যখন সম্ভ্রম হারা মা বোনেরা সামাজিক কী রাষ্ট্রীয় ভাবে,
অবহেলিত,খেতাবে দুশ্চরিত্রা! অপমানে দুঃখে আত্ম হত্যার পথ বেছে নেন,
ক্রমগত কমতে থাকে নিখোঁজ সংখ্যা।

আমিতো পাগল হয়েছি সেই দিন
যখন রাজাকার আলবদরের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা শুনি,
আমিতো পাগল হয়েছি সেদিন,
যখন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে একদল উল্লাসে মেতে উঠে।

আমিতো পাগল হয়েছি সেই দিন
যখন রাষ্ট্রীও ষড়যন্ত্রে ঘোষনায় আসে
বঙ্গবন্ধুর নামটি মুখে নেয়াও যেন সেসময় ছিল পাপ
এ যেন নিজের ঘরে নিজেরাই পরবাস।

আমিতো পাগল হয়েছি সেই দিন
যখন আমাদের রক্তে মাংসে ঢুকে গেছে রাজাকারের বীজ
পরম শত্রু হয়েও বুকে তুলে নিয়েছি
যুদ্ধাপরাধী কিংবা স্বৈর শাষকের দল।

স্বাধীনের এতোগুলো বছর পরও
পেলামনা একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা
মুক্তিযোদ্ধাদের ভীড়ে অগণিত ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাস
কারো যেন কিছুই বলার নেই,করার নেই।

আমিতো পাগল হয়েছি সেই দিন
যখন বুঝতে পারলাম আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে আজ,
শুধু একটি দিনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ মানা
নেই যে কারো আজ স্বাধীনতা অর্জনে ত্যাগ রক্ষার লাজ।

সূপ্রিয় পাঠক গল্পটির চরিত্র কাল্পনিক হলেও এ সমাজেরই একটি বাস্তব চিত্র।বীর মুক্তিযোদ্ধা করিম পাগলা এ ভাবে নীরবে চলে যাওয়ার আর একটি ম্যাসেজ ছিলো-নতুন প্রজন্মরা যেন স্বাধীনতার ত্যাগ তিতিক্ষা,স্বাধীনতার মানকে শুধু একটি দিনের জন্য নয় সারা বছর মনে ধারণ করে রাজাকারমুক্ত একটি সূখী সুন্দর দেশ গড়ার প্রত্যায় নিয়ে এগিয়ে যান।


প্রথম পর্ব
--------------------------------------------------
ছবিও তথ্য
অনলাইন
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৫
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×