somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ৭টি কথা আপনার সন্তানকে কখনোই বলবেন না।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বড়দের চাইতে বাচ্চারা অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাদেরকে সামলাতে গেলে খুব সাবধানে কাজ করতে হয়, নইলে কখন আবার ব্যাথা পেয়ে যায়! কিন্তু শুধু শারীরিক নয়, মানসিক দিক দিয়েও বাচ্চারা কিন্তু খুবই কোমল। আপনি হয়তো সারাদিন বাচ্চার দুষ্টুমিতে তিতিবিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং একটা সময়ে যাচ্ছেতাই বলে বকা দিচ্ছেন তাকে। ভাবছেন সে তো বাচ্চাই, একটু বকাঝকা করলে ক্ষতি কি? অথচ কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি যে হয়ে যাচ্ছে বাচ্চার মনস্তত্বে তা আপনি ধারনাও করতে পারবেন না। তার ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সাথে সাথে আপনার সম্পর্কেও তার মনে ভয়, ঘৃণা বা রাগের শেকড় ছড়াচ্ছে যা থেকে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির অবতারণা হতে পারে।
বাচ্চার মানসিকতার প্রতি প্রচণ্ড রকমের অবহেলা লক্ষ্য করা যায় বাঙালি পিতামাতার মাঝে। এমন কিছু কথা আছে যেগুলো বাচ্চার সামনে কোনভাবেই বলা যাবে না অথচ একটু রাগ বা বিরক্তি হলেই আমরা চিন্তা না করেই সেগুলো বলে ফেলি। পরে আক্ষেপ হলেও কিছু করার থাকে না, যা ক্ষতি হবার তা হয়ে গেছে ততক্ষনে। দেখে নিন এই কথাগুলো কি হতে পারে।

১) তোমাকে রেখে চলে যাবো কিন্তু!
বাচ্চা খুব দুষ্টামি করছে। হাত পা ছুঁড়ছে। অকারণে জেদ করছে। বিরক্ত হয়ে বলেই ফেললেন এ কথাটা। সত্যি সত্যি তো আর নিজের বাচ্চাকে ফেলে রেখে যান না কেউ। কিন্তু বাচ্চার মনে অকারনেই একটা ভয় সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং আপনার ওপর থেকে তার আস্থা কমে যেতে শুরু করবে একদম কচি বয়স থেকেই।

২) তোমার ভাইয়া/আপুর মতো লক্ষ্মী হতে পারো না?
প্রত্যেকটি শিশুই স্বতন্ত্র। আপনি অবহেলা করে তাকে এবং তার ভাইবোন/কাজিন বা অন্য কোনও বাচ্চার সাথে তুলনা করতে পারেন। এতে তার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব গঠনে ছেদ পড়বে। আর নিজেকে অন্যের চাইতে ছোট মনে করা শুরু করবে সে।

৩) তোমার লজ্জা হওয়া উচিত!
একটা ছোট বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে সব কাজই করে নিষ্পাপ উদ্দেশ্য নিয়ে। ভুল করে ফেললে তাকে বোঝাতে হবে যে কাজটা ঠিক নয়। কিন্তু সে যখন বুঝতে পারছে না ভুলটা কি করেছে, তখন এসব কথা বলে তাকে বিভ্রান্ত করার কোনও মানে হয় না।

৪) আমি যা বলবো সেটাই করতে হবে!
আবারো বলছি, বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে একটা কাজ করতে চাচ্ছে না। যেমন সবজি বা দুধ খেতে আপত্তি করছে। এমন সময়ে একটু ধৈর্য ধরে তাকে বোঝান কেন সেটা খেতে হবে, প্রয়োজনে গল্পের মতো করে উপকারিতা বর্ণনা করতে পারেন। কিন্তু জোর করে, বকা দিয়ে কাজ করাতে গেলে তার মাঝেও জেদ তৈরি হবে।

৫) দাও, আমি করে দিচ্ছি
বাচ্চা ছোটোখাটো কোনও কাজ করতে গিয়ে হয়ত বেশ ঝামেলা তৈরি করে ফেলছে। যেমন খাবার নিজ হাতে খেতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেলছে, গোসল করতে গিয়ে পানি ছিটিয়ে একাকার করছে, জুতো পরতে অনেক সময় নিচ্ছে। এ অবস্থায় ধৈর্য ধরে তাকে কাজটা শিখতে না দিয়ে অনেকেই বাচ্চার কাজটা নিজেই করে দেন। বাচ্চার উপকার করার বদলে এতে ক্ষতিই হয় কারন এর ফলে বাচ্চার মাঝে পরনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আর আগ্রহ নিয়ে কোনও কাজ করতে গিয়ে বাচ্চা যখন দেখে মা অথবা বাবা সেটা করতে দিচ্ছে না তখন তার মাঝে বিরক্তি তৈরি হয়।

৬) তোমার জন্যই আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে!
খুব,খুব বড় ভুল এ ধরণের কথা বলা। বাবা মায়ের মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাচ্চা নিজে থেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, নিজেকে অবহেলিত এবং বোঝা বলে মনে করতে থাকে। এর মাঝে যদি তাকে এমন একটা কথা বলা হয় তবে প্রচণ্ড কষ্ট পাবে সে। বাবা মায়ের দোষের বোঝা তাকে কখনোই বহন করতে দেবেন না।

৭) তুমি না জন্মালেই ভালো হত!
নিজের সন্তানকে ভালবাসলে এমন হৃদয়হীনের মতো কথা বলা সম্ভবই না। বাচ্চার মনে কেমন কষ্ট লাগবে সেটা বলে দেবার প্রয়োজন নেই। আপনি নিজেই ভাবুন তো, আপনার বাবা মায়ের কাছ থেকে এমন কথা শুনলে কি রকমের আঘাত পাবেন আপনি? ভুলেও এটা বলবেন না বাচ্চাকে।

সম্পুর্ণ কপি পেস্ট পোস্ট। নিচের সাইট লেখাটি নিয়েছি। আমার মনে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করি তাই করলাম।
তথ্যসূত্র : টেকনাফ নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×