ফেইসবুক ও নানা ব্লগে সাগর-রুনির হত্যা সম্পর্কে যে সব তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে তা হলো:
১. হত্যাকারী: এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের ছোটভাই। প্রথম দিনেই সে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। হাসিনার নির্দেশে তাকে পরের দিন ছেড়ে দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
২. খুন হওয়ার কারন: বিমান মন্ত্রী ফারুক খানের সামিট গ্রুপের অপকর্ম নিয়ে মেহেরুন রুনি একটি সেনসিটিভ প্রতিবেদন তৈরী করেছিল। সেটি এটিএন বাংলা প্রচার করেনি। সেটা মাছরাঙ্গা টিভিতে দেয়ার জন্য রুনি তার স্বামীকে দেয়। ঐ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মন্ত্রী কর্নেল ফারুক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাট দুর্নীতির কথা ফাঁস হয়ে যেতো। এ প্রতিবেদনের খবর এটিএনের চেয়ারম্যান মাহফুজ হাসিনার কান পর্যন্ত পৌছে দেয়। ক্ষেপে যায় ফারুক খান। সাগরের ল্যাপটপ কব্জা করার দায়িত্ব পড়ে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের ছোটভাইর ওপর। এ কাজে খুনীদের বাসায় পাঠায় রুনি বাসায়। সমঝোতা না হওয়ায় অবশেষে পরিনতি হয় - সাগর রুনি বধ।
৩. এখন পরকীয়া, কল লিষ্ট ইত্যকার যত গল্প, এগুলো তৈরী করা হচ্ছে আসল ঘটনা চাপা দিয়ে চলছে কেবল একটা ‘জজ মিয়া’ নাটকের প্রস্তুতি।
৪. হাসিনার গতকালের বক্তব্য “কারো বেডরুম পাহারা দেয়া সরকারের কাজ নয়” এতে পরিস্কার যে, হত্যার ঘটনা হাসিনা জানা ছিলো এবং খুনীদের পার করায় তার হাত রয়েছে।
এর আগে শুনেছি এটা একটা পরকীয়া ইস্যু! তাছাড়াও আমরা নানা রকম তথ্য পেয়ে্ছি!
এখন আসা যাক নতুন তথ্যটি যদি সঠিক হয় তাহলে কি হবে?
এক কথায় বলা যায় কিছুই হবে না।বড় জোর আরেকটি জজ মিয়া নাটক হতে পারে।আমাদের রাজনীতিবিদদের কিছু করবে এমন সাধ্য করো নেই।তাছাড়া এর সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর টিভি চ্যানেলের মালিক!মিডিয়া + রাজনীতিবিদ=০।
কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করতে চাই এমন কিছুই ঘটে নেই।আর আমার এই বিশ্বাসের পিছনে যুক্তি, তাহলে রুনী অবশ্যই এটিএন এর চাকরী ছেড়ে দিত।রুনী তা দেয়নি।তার মানি ঘটনা হয়তো তা নয়।
অবশ্য চাকরী ছেড়ে দেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিল কিনা তাও একটা বড় প্রশ্ন।
আরেকটা কারণেও বিশ্বাস করছি না, কারণটা হলো, এটিএন এর চেয়ারম্যানের ভাইয়ের কি ঠেকা পড়েছে যে সে খুন করবে।ফারুক খানের ঠেকাতে সেই তো খুনী ভাড়া করতে পারতো।
এখন কথা হলো,এই তথ্যগুলো সঠিক তার পক্ষে যুক্তি যাচাই করি একটু।
১. কিছু সংবাদ মাধ্যমে ও আমি ব্যক্তিগতভাবে যেনেছিলাম এটিএন এর একজন গ্রেফতার হয়েছে।কিন্তু পরে পুলিশ বলল, তারা কাউকে গ্রেফতার করেনি!
২.শেখ হাসিনা কাল আগ বাড়িয়ে বলল,কারো বাসায় খুন হলে এটা সরকারের দায়িত্ব না।এটা সত্যি কথা বলে ধরে নিয়ে বলছি, সরকারের দায়িত্ব খুনীকে গ্রেফতার করা।সরকার তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।পুলিশ চাইলে পারেনা এমন কোন কাজ নেই।যদি কোন রাজনৈতিক বাধা না থাকে।তাই এক্ষেত্রে এই সন্দেহের কারণ আছে।তবুও আমার এটা বিশ্বাস করতে কখনও মনে চায়না, আমাদের প্রধাণমন্ত্রী সরাসরী ব্যাপারটি জানেন।আমার মনে হচ্ছে সরকার দলীয় হয়তো কারো হাত থাকতে পারে।
এতো কিছুর পর এই তথ্য সঠিক কিনা জানার জন্য একটি তথ্য জানলেই চলবে, এটিএন এর চেয়ারম্যানের ভাই কি বিদেশে কিনা।আর বিদেশে হলে কবে গিয়েছে।যদি রুনী হত্যার পরদিন যায়, তাহলে অবশ্যই সে জড়িত।অবশ্য এটিএন এর চেয়ারম্যানের ভাই জড়িত হলেই সব গুলো অভিযোগ সত্যি হয়ে যায়না।হয়তো কিছু অংশ সত্যি অথবা এটিএন চেয়ারম্যানের ভাই রুনীর সাথে কোন সম্পর্ক....
আসলে নিশ্চিত হয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।সরকার যদি এই খুনের রহস্য সমাধান না করে শেষ পর্যন্ত, তাহলে এই অভিযোগ সত্যি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে।কেননা, দারোয়ান ছিল।ছিল রুণীর ছেলে।
এখন সরকারের দায়িত্ব সত্যি প্রমাণ করা যে সরকার জড়িত নয়।
আমার ব্লগ লিংক
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:২০