somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঠোলা বাহিনীর কারবার(Personal Experience)

৩০ শে মে, ২০১২ সকাল ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন শৌখিন সাংবাদিক।যদিও আমার লেখার বিষয় রাজনীতি বা পুলিশ নয়। বাংলায় লিখতে কষ্ট হয়, তাই লেখিওনা খুব বেশী।লিখলে বাংলাও ভুল হয় অনেক।কিন্তু আমার একটি সাংবাদিক আইঠি কার্ড আছে।নেওয়ার সময় ভেবেছিলাম অনেক সুবিধা পাব।কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কোন সুবিধা করতে পারি নেই।আর আমি সাংবাদিক সুলভ জারীও দিতে পারিনা।তাই এটি ব্যবহারও করা হয়না।এমন কি আমার নিজের ব্যবহার করা গাড়ীতেও সাংবাদিক বা প্রেস ব্যবহার করিনা।এ পর্যন্ত আমার গাড়ী কেইস খেয়েছি অসংখ্যবার।কখনো ঠিক মতো পার্ক না করার অপরাধে আর কখনও বা ওভার স্পিডিং এর মতো নিরিহ কারনে।অন্য কারনে কেইস খাই নেই কারন আমার গাড়ীর কাগজ ১০০% আপটুডেট।কিন্তু পুলিশ ধরলেই কেইস একটা দিবেই।সাংবাদিক পরিচয় কয়েকবার দিয়ে হিতে বিপরীত হয়।তাই পরিচয় না দিয়ে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করি।কাজও হয়।কেইস দিলে টাকা বেশী না।কিন্তু সমস্যা হলো আমার ড্রাইভারের একদিন পুরো যায় কেইসের টাকা জমা দিতে।আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, ঘুষ দিয়ে খুব অন্যায় করছি?আমারও আগে এমনই ধারনা ছিল।তাই আমার বউয়ের পাসপোর্ট করার সময় ঘুষ দেই নেই।তারপর আর পুলিশ রিপোর্ট পাইনা। পরে কালের কন্ঠের ডিপুটি এডিটর ফোন করলো, ইত্তেফাক থেকে ফোন করলো, সমকাল থেকে ফোন করল, আমাদের সময় থেকে ফোন করল, যুগান্তর থেকে ইত্যাদি পত্রিকা থেকে আমার বন্ধুরা ফোন করে রিকোষ্ট করলো।আমার কাছে আরো অপ্রয়োজনীয় কাগজ চাইল।তাও দিলাম।কিন্তু পাসপোর্ট এর হয়না।শেষে আমার আরেক বন্ধু একটা দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক গিয়ে নিজের হাতে ঘুষ ২০০০ টাকা দিল(যেখানে প্রথমে ৫০০টাকা দিলেই হতো)।পরের দিন দেখি আরেকজন কে পাঠানো হলো ভেরীফিকেশনের জন্য।সে আরো ১৫০০টাকা নিয়ে তারপর রিপোর্ট দিল।আমার যেই ক্ষতিটা হলো, পুরো ৩০০০টাকা বেশী দিলাম এবং ৬ মাস সময় নষ্ট করলাম।আমার বেশী দিতে হলো কারণ আমি আবার একটা রিপোর্টও করিয়েছিলাম ওই এস.আই এর বিরুদ্ধে।আরো কতো যন্ত্রনা সেগুলো নাই বা বললাম।এরপর থেকে শিক্ষা পেয়েছি, পুলিশ দেখলেই গুষ দিয়ে দেই।
যাই হোক এবার মূল ঘটনা বলি।সেদিন আমার অনেক পুরোনো এক বন্ধুর সাথে দেখা।তাও প্রায় ১৪ বছর পর।ও পুলিশে চাকরী করে।প্রথম যখন চাকরীতে ঢুকেছে ওনেষ্ট ছিল।এবার বেশ তৃপ্তির সাথে বলল সে এই চাকরী দিয়ে কি কি করেছে।যাই হোক দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদির পর আসলো গুম ও ক্রসফায়ার প্রসঙ্গে।বলল ক্রসফায়ার অনেক সমস্যা।এরচেয়ে গুম সহজ।মাত্র ৩ লাখ টাকা দিলেই যে কাউকে গুম করে ফেলা যায়।পুলিশে তুলে নিয়ে মেরে পাথর বেধে নদীতে ফেলে দিবে!এর চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কি হতে পারে।আমার সাথে করো জগড়া হলো,মাত্র ৩ লাখ টাকা দিয়ে সে আমাকে গুম করে দিতে পারে!এই কথা শুনার পর আর এই দেশেই থাকার ইচ্ছ চলে গেল।অনেক দেশে সিটিজেশীপ দিচ্ছে, কিছু টাকা এনভেষ্ট করলেই।তাই আমি এখন ব্যস্ত কোন দেশে যাওয়া যায় সেই চিন্তায়।আর ভয়ে থাকি না যেন কখন আবার গুম হয়ে যাই।কিন্তু সবাই চাইলেই তো আর দেশ ছাড়তে পারবে না।তাছাড়া সরকার যে এতো টাকা টেক্স নিচ্ছে, সেটা কি আমাকে গুম করার জন্য।কেমন টেক্স নিচ্ছে তার একটা উদাহরণ দেই।শুধু ২৫০০সিসি গাড়ী ব্যবহারের ব্যক্তিগত টেক্স ৩৫০০০টাকা!আর ব্যক্তিগত ইনকাম টেক্স তো আছেই।আছে বাড়ীর টেক্স, কোথায়ও কিছু খেলে বা কিনলে টেক্স, বিদেশে যাওয়ার টেক্স ইত্যাদি।এতো দিকে একজন নাগরিক কেন টেক্স দেয়?এই পুলিশ বাহীনি পুষার জন্য যারা টাকার বিনিময়ে মানুষ গুম করবে?সরকার যদি বলে বেশীভাগ মানুষ টেক্স দিচ্ছেনা।তাহলেও ১০০% মিথ্যা সেটা।কেননা, প্রতিটা কেনা কাটায় আমরা টেক্স দেই।
আমরা ইলিয়াস আলী গুম হলে ক্ষোব প্রকাশ করি, সাংবাদিক পেটা খেলে ক্ষোব প্রকাশ করি।কিন্তু নিজেরা যে এতো বিপদে আছি তা বুঝিনা।প্রতিটা মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে কখন না কখনো পুলিশের খারাপ ব্যবহারের মুখোমুখি হয়েছি।কিন্তু নিজেদের ব্যাপারে আমরা কতোটা উদাশীন।এখনই যদি ঠোলা বাহিনী(পুলিশকে) নিয়ন্ত্রনে আনা না যায়, সবাই আমার মতো বিদেশে পালানোর প্ল্যান করতে হবে।তাই আমাদের মনেহয় এখন সচেতন হওয়ার সময় হয়েছে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×