somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক করুন। তারপর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারে হাত দিন

২৭ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। তারপর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারে হাত দেওয়া উচিত। যুদ্ধাপরাধের ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে; তবে দেশে এই মুহূর্তে হাজারো সমস্যা রেখে এ কাজে হাত দেয়াটা কতটা যুক্তিসংগত হবে, তা ভেবে দেখতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের ভোগান্তি এমন চরমে পৌঁছেছে যে যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ হতে পারে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, সীমান্তে বিএসএফ পাখির মতো গুলি করে মারছে বাংলাদেশিদের, নগরীতে অসহনীয় যানজটসহ অগণিত সমস্যা যেখানে দেশবাসীকে গিলে খাচ্ছে, সেখানে সরকারের নজর নেই। যার ফল হচ্ছে, একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগাররাও আজ সরকারের সমালোচনায় প্রকাশ্য।
এক্ষেত্রে সরকরের উচিত হবে, দেশকে এসব বিষয়ে আগে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা। তারপর সময় নিয়ে যুদ্ধাপরাধের মতো হাত দেয়া। দেশকে এমন পরিস্থিতিতে রেখে যুদ্ধাপরাধের মতো বিষয়ে হাত দিলে দেশের পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। কারণ, ওই পক্ষটাকে দুর্বল মনে করার কোনো কারণ নেই। তাদের কয়েক লাখ লোক যেকোনো সময় মৃত্যুর জন্য তৈরি আছে বলে শোনা যায়। সুতরাং বিচার শুরুর পরের পরিস্থিতি সরকার কতটা ট্যাকল করতে পারবে এ বিষয়টিও এখনই মাথায় নিতে হবে। এত এত সমস্যার মধ্যে নতুন ও গুরুতর এবং সময়সাপেক্ষ জটিল আরো একটি সমস্যা সরকারের জন্য খাঁড়ার ঘা হয়েই দেখা দেবে সন্দেহ নেই।
মনে রাখতে হবে, বিএনপি এখনো আন্দোলন দানা বাঁধাতে পারছে না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি যূথবদ্ধ আন্দোলনে নামবে ঠিকই। কারণ, চার দল মনে করছে সরকার যুদ্ধাপরাধের নামে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টাই করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় আওয়ামী লীগের কারো নাম শোনা যায়নি; যদিও এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কারো কারো সম্পৃক্ততার কথা শোনা যায়।
ইসলামী দলগুলোর পাশাপাশি বিএনপির প্রথম সারির কয়েকজনের নাম ওই তালিকায় থাকার ফলে বিএনপি যে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে, এ কথা মানতে কারো নারাজ থাকার কথা নয়।
সুতরাং সরকারের উচিত হবে, এমন একটি স্পর্শকাতর ও সময়সাপেক্ষ কাজে হাত দিয়ে লেজেগোবরে না করে আগে দেশের সার্বিক পরিস্থিত স্বাভাবিক করুন। তারপর...
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×