somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্দ্রত্তোমা অসম্ভব।

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


‘জি’ অক্ষরটার মোটামোটি ইন্সুরেন্স হয়ে গেছে। ‘জি বাংলা’ থেকে ‘পয়েলা জি’ - তার রেশ কেটে এখন থ্রিজি। এর শেষ কোথায়? নেই নেই। সংখ্যার বদলে শব্দই যেন জীবন্ত পৌনপুণিক। এ জামানার চলবিজ্ঞাপনগুলোতে (চলচ্চিত্র থেকে ধার) থ্রিজির কাটতি ভালোই। ‘টু জি’র আমলে কারো নাম ‘বেটারী লো’ দিয়ে সেভ করে মায়ের রাঙা চোখ থেকে বাঁচা গেলেও আশঙ্কা ছিল ‘লাইভ’ এর আবির্ভাবে সে ফাঁকি ঝাক্কি খাবে। আরে তাহলে তো থ্রিজি ব্যবসাই মাঠে মরবে! এ আশঙ্কায় হিন্দুস্তানে একটি বিজ্ঞাপণ বানানো হল; ভিডিও কলে মিথ্যা অভিনয় করার র্দাস দেয়া হল যেখানে।
।।
হাভানার ন্যাশনাল ক্যাপিটাল বিল্ডিং এর সামনের চত্বর থ্রিজির কল্যাণে সরাসরি দেখা সম্ভব । স্থানীয় কোন বন্ধুর সাথে সরাসরি সংযোগ মারফত তাৎক্ষণিক শব্দ, গুঞ্জনও পাওয়া যেতে পারে। কোল্ডড্রিংসে যেমনি অরেঞ্জের রাসায়ণিক ফেভার দেয়া হয়, সাধনা করলে হাভানার রুপ,রস,গন্ধও কোন করে নিয়ে আসা যেতে পারে দূরের ঠিকানায়। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সাধও একত্রে নেয়া যায় এভাবে। জোড়াতালি দিয়ে দুনিয়ার তাবৎ দর্শণীয় জায়গা নিয়ে আসা যায় নিজের রুমে। হয়ত সে ইন্দ্রজিতের নাম দিতে হবে ‘৯/১১ জি’। তাতে কি। অরিন্দম কি সাধিবে তাতে; না দুধের সাধ ঘোলে মিটিবে। নভোথিয়েটারের মত কৃত্রিম রোমাঞ্চ থেকে শুরু করে যত ধারার জেনারেশন আসুক, কখনই হাভানা পার্কে যাওয়ার অনুভ’তি যাগবে না মনে। সাক্ষাতানুভ’তি বা ‘এপিয়ারেন্স সেন্স’ বিষয়টা ভাববার মত। দুনিয়া সকল টেকনলজি আর জিগিরী ব্যর্থ এখানে। ভার্চুয়ালি নয়; স্বশরীরে যাওয়ার আবেদন অপূরণীয়। এ জিনিসটাকে তাই বলা যায় এনালগ এল কাসিকো।
।।
থ্রিজি বলতে অনেকে ভিডিও কল বলে ভুল বোঝেন; আদতে সত্য হল এটা দ্রুত গতি বা স্পিড। অনেকটা ন্যশনাল আইডির সাথে ভোটার আইডির মাঝে তালগোল পাকানোর দশা। এক অলিবেন্ত্রী (অল্প বিদ্যে যে মন্ত্রীর) বলে দিলেন ‘ থ্রিজি আমার নেতার স্বপ্ন ছিল’। সেন্স অব হিউমার কমারা
মেনে নেননি সে উক্তি। আদতে স্বপ্নের সাথে থ্রিজির একটা যোগ সাজোশ আছে। আটশ পঞ্চান্ন পৃষ্ঠার যে উপন্যাশ পড়তে তিন সপ্তাহ খরচ হয়; কসম, স্বপ্নযোগে সেটা তিন মিনিটে দিব্যি খতম দেয়া সম্ভব। কারণ এখানে চিত্রকল্প শব্দযোগে গড়তে হয় না; আঁকলেই চলে। তাই নেতা (শেমু) নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে; স্বপ্ন নিয়ে নয়! কেউ দাবি তুলতেই পারে স্বপ্নে কি সেন্ট হেলেনা দ্বীপে যাওয়ার সাক্ষাতানুভ’তি নেয়া সম্ভব নয়; থ্রিজিতে যা অসম্ভব। বলি তবে-আসলে এর কিছু বড় মাপের ত্রুটি আছে। স্বপ্নে আমরা প্রায়সই বাংলা অক্ষর ‘খ’ তে চড়ে খেচর বনে যাই; অথচ পুরো জীবনে এখনো প্লেনে চড়াই হয় নি ! এ কায়দার অঘটনঘটনপটিয়সী স্বপ্ন কার্যত বাস্তববিরোধী । আবার স্বপ্নে কখনো রঙিন ছবি দেখা যায় না। বিশ্বাস না হলে নগদ ঘুমিয়ে দেখুন না। যত গুলবাগান দেখা যাবে সব সাদাকালো! বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হওয়ায় সিনেমার প্রডিউচাররাও অতীত স্মৃতি দেখাতে সাদাকালো ফুটেজ ছাড়েন; যখনই বর্তমানের প্লট আসে তখনই রঙিন ফুটেজ। স্বপ্নসেন্সের মজার একটি ত্রুটি বলেই ইতির শুরু টানি। লালমোহন নামের এক সৌদি প্রবাসী ২২ বছর দেশছাড়া। বাংলা মাতৃভাষা; তবে আরবির ভীড়ে বলা হয় না খুব একটা। সেই তিনিই একদিন দেশে ফিরে বাল্যবন্ধুকে বললেন-
-
“দোস্ত , সারা দিন আরবি বলি; স্বপ্নে বাংলা দেখি।”(স্বপ্ন মানুষ মায়ের ভাষায় দেখে ; পরভাষায় নয়।)
তিলোত্তমা সম্ভব; তবে মেকিপথে সাক্ষাত ইন্দ্রিয় হাসিল অসম্ভব।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×