আপনি জানেন কি বোতল ওয়াটার নামে আমরা কি খাচ্ছি?
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আমরা সবসময়ই বোতল ওয়াটার কিনি। ঘরের বিনে পয়সার পানির দাম আমরা কখনই দেই না। বাংলাদেশে পানির কোয়ালিটি নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে কিন্তু কানাডায়?? সেখানে কেন আমরা পানি কিনে খাই...... নেসলে, দাসান, এ্যাকুয়াফিনা, ফিজি কিংবা কসকো থেকে কিরল্যান্ড ব্রান্ডের। আমরা বোতল ওয়াটার কিনি কারন আমাদের কম বেশী সবারই ধারনা এটি অনেক বেশী বিশুদ্ধ ও হেলদি। তাই বিনে পয়সার টেপ ওয়াটার বাদ দিয়ে পয়সা খরচ করে এ পানি কিনে খাই। কানাডার প্রতি ১০ পরিবারের ৩টি পরিবার বোতল ওয়াটার ইউজ করে। যাহোক যারা রেগুলার বা মাঝে সাঝে বোতল ওয়াটার ইউজ করে তাদের জন্য কিছু দু:সংবাদ নিয়ে আসলাম নীচে। তবে সবার শেষে আরো ভয়ংকর দু:সংবাদ দিবো। আপাতত: পয়েন্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
১) মিউনিসিপল থেকে যে সাপ্লাই ওয়াটার আসে তা প্রতিদিনই পরীক্ষা করা হয় কোন জার্ম আছে কি না তা দেখার জন্য। সেখানে বোতল ওয়াটার পরীক্ষা করা হয় প্রতি তিন বছরে একবার!!
২) বোতল ওয়াটার কোম্পানী ক্ষতিকারক কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করে সাপ্তাহে একবার মাত্র। আর বিনি পয়সার টেপ ওয়াটার সেখানে দিনে কয়েকবার প্রতিদিন পরীক্ষা করে।
৩) প্লাস্টিক বোতল থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ক্যামিকেল পানির সাথে মিশে থাকে তা কোনভাবেই খালি চোখে বা সামান্য পরীক্ষাতেও দেখা যায় না।
৪) প্লাস্টিক বোতল এমন একটি জিনিস যা কোনভাবেই পঁচে গলে না। যার কারনে মাটি বা পানির সাথে মিশে যায় না। সেটাকে ম্যানুয়েলি ক্লিন করতে হয়। আর এ ম্যানুয়েল ওয়াস্ট ক্লিন করতে কি পরিমান এ্যানর্জি খরচ হয় বা পরিবেশের বারোটা বাজায় তার কথা আর কি বলবো। সবাই কম বেশী জানেন।
এবার আসি আসল কথায়, আপনারা কি জানেন এই যে পয়সা এতো এতা পয়সা দিয়ে নেসলে, দাসান, এ্যাকুয়াফিনা, ফিজি কিংবা কিরল্যান্ড ব্রান্ডের পানি কিনে খাচ্ছেন তা এই পানি কোথা থেকে আসছে তা কি জানেন??
জ্বী, এই পানি স্রেফ মিউনিসিপল এর সাপ্লাই ওয়াটার বোতলে ভরে আপনার দিচ্ছে আর আপনি তা পয়সা দিয়ে কিনে খাচ্ছেন। বেশ কয়টা ওয়াটার ফ্যাক্টরি আছে, চাইলেই খোঁজ নিতে পারেন।
এবার আসি আসল দু:সংবাদে। মাত্র গত সাপ্তাহে খবরে প্রকাশ যে প্লাস্টিক বোতলের পানিতে যে পরিমান প্লাস্টিক আছে বলে আগের রিসার্সগুলোতে এসেছিল তার থেকে ১০-১০০ গুন বেশী প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এ ন্যানোপ্লাস্টিক বা মাইক্রোপ্লাস্টিক এর কণার পরিমান প্রায় গড়ে ২,৪০,০০০। এগুলো এতই ছোট যে অনুবীক্ষন যন্ত্রেও চোখে পড়ে না। এসব পানি খাওয়া মানে হাজার হাজার রোগ বাঁধানো।
কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। উপরের একটা কথাও আমার নয়। বোতল ওয়াটারের দু:সংবাদ নিয়ে অসংখ্য আর্টিকেল পাবেন। আপাতত: দু'টো আর্টিকেল শেয়ার করছি। একটি লিখেছে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ২০০৮ সালে। আরেকটি গত সাপ্তাহের লিখা সিএনএন থেকে। আমি নীচে লিংক দিলাম প্রয়োজনে পড়তে পারেন।
আর অনুরোধ, এ বোতল না কিনে একটা ফ্লাক্স কিনেন দয়া করে। আর বাচ্চাদেরকে ও এ পানি খাওয়ানো থেকে দূরে রাখেন।
সবাইকে ধন্যবাদ
জনস্বার্থে সোহানী
জানুয়ারী ২০২৪
(কানাডিয়ান নতুন নিয়মে কোন অনলাইন আর্টিকেল শেয়ার করা যায় না। যদি এখানে দেখা না যায় তাহলে কি আর করা, মাপ কইরা দিয়েন আর নিজগুনে খুঁইজা নিয়েন)
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর লিখা
গত সাপ্তাহের লিখা সিএনএন থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১১