somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কন্ট্যাক্ট লেন্স........ ২য় /শেষ পর্ব (গল্প)

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্বের পর

অতিরিক্ত কিছু কারো জন্যই ভালো নয় তাই সবসময় নিজের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা চাই। মনের কিছু একগুঁয়ে আকর্ষণ আর সময়ের মিলিয়ে দেয়া তালে জীবনে অনেক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। মিশুর বাবা-মা কখনও ভাবতেও পারেনি তাদের মেধাবী মেয়ে মাত্র উচ্চমাধ্যমিকে এসে ছিটকে পড়বে জীবনের রেল থেকে। পড়ালেখার প্রতি সম্পূর্ণ অমনোযোগী হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত মিশু ফাইনাল পরীক্ষায় সবাইকে হতাশ করে ফেলে। এহেন পরিস্থিতি বাবা-মাকে ভাবতে বাধ্য করে, কি হতে চলেছে বা হচ্ছে। মধ্যবিত্ত রক্ষণশীল পরিবারের মানুষ হিসেবে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে তেমন কিছু ভুল করেননি।

বন্ধুর লন্ডন ফেরত ছেলে আশিকের সাথে মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্তটা পাকাপাকিই করে ফেললেন মিশুর বাবা জোবায়ের সাহেব। মিশুর ফটো দেখেই আশিকের পছন্দ হওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক দেখাশোনার ব্যাপারটা মাঠে গড়ায়নি, আশিকের বাবা-মা এসে আংটি পরিয়ে গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই মিশু গৃহবন্দী, বাসা থেকে কিছু বলা হয়নি কিন্তু নিজের অবস্থা দেখে সে আর কিছু ভাবার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেছিল তাই তার বন্দিত্ব। রাফির সাথে কথা হয়না বেশ কিছুদিন, নিতু ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অনেক ব্যস্ত, এর ফাঁকেও এসে মাঝেমাঝে খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করে। তাও যতটা মিশুর সাথে মনে হয় তার চেয়ে বেশি মিশুর বাবা-মার সাথে। রাফির কথা ভাবতে গিয়ে নিজেকে বারবার হারিয়ে ফেলে মিশু, হঠাত সে এমন আচরণ করছে কেন!! যে মানুষ প্রতি ঘণ্টায় খবর না নিয়ে, কথা না বলে থাকতে পারেনা সে যেন অনেক দূরের কোন আগন্তুক!! ফোনে খুঁজে পাওয়া যায়না, অন্য কোন উপায় হাতে নেই যে কিছু কথা বলা যেতে পারে। নিজের পায়ের তলায় মাটির অবস্থা কতটা ভঙ্গুর তা ভাবতে গিয়েও হতাশ হয়ে জানালার গ্রিলে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে। আজকাল চোখের কোণে অশ্রুও নামেনা, ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত গলিতে কর্মব্যস্ত এক সংসারে নিষ্প্রাণ একটি জীব যে মাসখানেক পর উৎসর্গ হওয়ার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে। দরজা খোলার শব্দ শুনে পিছু ফিরে না তাকালেও বুঝতে পারে নিতু এসেছে। নিতুর গায়ের গন্ধটা মিশুর অনেক চেনা। সেই শৈশব থেকেই একসাথে যাদের পথচলা শুরু তাদের মধ্যে কি আর আত্মার দূরত্ব থাকে!
‘কি হল! মারার আগেই তো মরার দশা দেখছি!!’ নিতু এসেই হামলে পড়ে মিশুর উপর। সে মিশুর সবকিছু শুনেছে কিন্তু তা একটু দেরীতে। শেষদিকে তাদের দূরত্ব কিছুটা প্রলম্বিত হলেও কখনও ভাবতেও পারেনি এমন কিছু করে ফেলবে মেয়েটা। আর রাফির কথা সে একদমই শুনতে পারেনা যদিও বিভিন্নভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুইজনকে একবার মুখোমুখি করাটা খুব জরুরি, বিশেষ করে যখন রাফি মিশুকে অন্যায়ভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সামাজিকভাবে এটা যে কতটা অগ্রহণযোগ্য তা নিতুর জানা আছে বলে মিশুকে অতীত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সবসময় ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। আর নিতুর খোঁচা দেয়া কথা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য তার সান্নিধ্যে মিশু স্বাভাবিক থাকার ভান করে। ‘তোর জন্য দুইটা সুখবর আছে’ বলে মিশুর সামনে হাসিমুখে দাঁড়ায়।
‘আমার আবার কি সুখবর?’ প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়ে ব্যস্ততার একটা মিথ্যা ভান করে মিশু।
‘নাম্বার ওয়ান, তোর বরের সাথে দেখা হল’ কথাটা শুনে মিশু চোখে অনেক কৌতূহল নিয়ে নিতুর দিকে তাকায়। ‘কে?’ কুঞ্চিত ভ্রুর নিচে সন্দিগ্ধ দৃষ্টি।
‘মি. আশিক রহমান, ইউর অনারেবল হবু প্রিন্স...’ বলে হিহিহি করে খানিকটা হেসে ওঠে নিতু, তারপর আবার বলে, ‘আঙ্কেল আমাকে উনার অফিসে ডেকেছিলেন আজ, আর মি. আশিক সেখানেই ছিলেন’।
নিতুর কথাগুলো মিশু কানেই তুলল না এমন ভান করে বসে রইল। নিতু পাশে বসে মাথা ঝুঁকিয়ে মিশুর অবস্থা বুঝার চেষ্টা করল। চোখের নিচে কালি দেখেই বুঝা যায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মেয়েটা, কেমন রোগা রোগা হয়ে গেছে অনেকটা, মুখে অনেক বিষণ্ণতার চাপ, হুট করেই শান্ত স্বরে প্রশ্ন করে বসে, ‘তুই ওই হারামিটার কথা এখনও ভাবিস?’ নিতুর রাগান্বিত চোখের দিকে তাকাতে গিয়ে ভয়ার্ত হয়ে ওঠে মিশু।
‘কাল সকাল দশটার দিকে তোকে নিয়ে যাব, রেডি থাকিস’ বলে নিতু ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

অভিজাত শপিং মলের ফুড কোর্টের একপাশে সামনাসামনি বসেছে রাফি আর মিশু। নিতু কাজের অজুহাতে দূরে সরে গেছে কিছুক্ষনের জন্য। দুজনেই অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে রইল। মিশু কি বলে শুরু করবে তাই ঠিক করতে পারেনি এখনও আর রাফি অপেক্ষা করছে মিশু কি বলে তার দিকে। দুজনের মুখেই অনুশোচনা আর আশঙ্কার কালো ছায়া ঘিরে আছে। মিশুর বিয়ের কথা নিতুই বলেছে রাফিকে তাই রাফিও অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলার মত অবস্থায় আছে।
‘যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার মানে জানতে পারি?’ কর্মবাচ্যে মিশুর সরল প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব রাফির কাছে নেই তাই মিথ্যে অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করলনা কারন এতে মিশু বেশি রেগে যেতে পারে। ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা কাছাকাছি চলে এসেছে তাই পড়ার অনেক চাপ কিন্তু তার মানে এই নয় যে ইচ্ছে করলে যোগাযোগ রাখা যেত না। আসলে মিশুর অপ্রত্যাশিত রেজাল্টে রাফি আন্দাজ করে ফেলেছিল কি হতে চলেছে তাই সবকিছু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে থাকতে চেয়েছে। মাত্র প্রথম বর্ষে ফাইনাল দেবে, এই সময়ে জীবনের বড় কোন সিদ্ধান্তের দিকে যাওয়ার কোন সুযোগ তার অবশিষ্ট নাই। এটা সত্যি যে বস্তুতই সে মিশুকে ভালবাসে কিন্তু সেই ভালোবাসার মোহে তারা দুজনেই অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে যা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজেদের কাছেই অস্বীকার করা। রাফির নীরবতায় মিশুর ক্ষোভ অনেক বেড়ে যায় কিন্তু এই মুহূর্তে তাকে কি বলবে খুঁজে পায়না। পাশের বেঞ্চে একটি জুটির গতিবিধি দেখে শ্লেষের একটা হাসি আসে ঠোঁটের কোনে।
‘আমি কাউকে প্রতারিত করতে চাইনা’ কপালে হাত রেখে টেবিলে কনুই ঠেস দিয়ে বলে মিশু।
‘ভেবনা আমি তোমায় ভালবাসিনা, কিন্তু সময় আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এসময় আমি সত্যি বড় অসহায় মিশু, প্লীজ যদি পার ভুলে যাও। আমি অত্যন্ত দুঃখিত’।
রাফির জবাবে কোন সমাধান খুঁজে না পেয়ে নিতুকে ফোন দেয় মিশু। নিতু আসলে সে উঠে পড়ে তখন রাফি উঠে সামনে দাঁড়ায়। মিশু প্রবল আক্রোশে সর্বশক্তি দিয়ে কষে একটা চড় বসিয়ে দেয় রাফির গালে, দাঁত চেপে একটা শব্দ উচ্চারন করে ‘অমানুষ’।

নিতু মিশুকে দুটি সুখবর দেবে বলেছিল, একটি হল রাফিকে পাওয়া গেল আরেকটি হল বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার আগেই আশিকের সাথে একটা সাক্ষাৎ। শেষটা মূলত মিশুর ইচ্ছাতেই নিতু ম্যানেজ করে নিল। মিশু স্থির করল সবকিছু আশিকের সাথে শেয়ার করে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে বলবে যদিও এতে নিতু অনেক আপত্তি করেছিল।
আশিক একটা বহুজাতিক কোম্পানিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছে, হাতে অবসর সময় অতটা থাকেনা। তবু সেদিন হবু বউয়ের বান্ধবীর এই অনুরোধটা ফেলতে পারেনি। একসাথে লাঞ্চ করার প্ল্যান থাকলেও অফিসে মিটিং শেষ করে বেরুতে বেরুতেই আড়াইটা বাজিয়ে ফেলে প্রায়। মিটিং মুডে থাকা সেলফোনটা চেক করে দেখে বেশ কিছু মিসড কল আর একটা মেসেজ। মিসড কল এসেছে নিতুর ফোন থেকে আর মেসেজটা তারই, ‘আমরা অপেক্ষা করছি পিটস্টপে’।
রেস্টুরেন্টে ঢুকে তাদেরকে খুঁজে বের করাটা তেমন কঠিন হয়নি, ‘এক টেবিলে দুজন মেয়ে’ এই হিন্টস থেকে যেকোনো রেস্টুরেন্টেই কাঙ্ক্ষিত অপেক্ষমাণকে খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই। একপাশের চেয়ার টেনে আশিক বসে পড়ল, বাইরে প্রচুর গরমে, এয়ারকন্ডিশন্ড রেস্টুরেন্টে এসে এখনও ঘামাচ্ছে। স্যুটটা খুলতে গিয়েও আবার কি মনে করে ক্ষান্ত দিল, ওদের দিকে তাকিয়ে দেখল দুজনেই চুপচাপ বসে আছে। ‘অনেক দেরি করে ফেললাম, স্যরি’ ঈষৎ হাসিমুখে আশিক বিনীত হয়ে গেল খানিকটা।
নিতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নেয়ার চেষ্টা করে তাকে নিবৃত করল, ‘দ্যাটস ওকে, মুল কথায় ফিরে যাওয়ার আগে মনে হয় আমার একটু অন্যদিকে যাওয়া উচিৎ’। মিশু তাকে বাঁধা দিয়ে বলল, ‘না, তুই এখানেই থাক’। ‘হ্যাঁ, আপনি থাকুন ভালোই হবে। আর আমার মনে হয় এখন ওয়েটার কল করা উচিৎ’ মিশুকে সমর্থন করে আশিক কথাটা বলে ওয়েটারকে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছিল তখন মিশু বলে ওঠে, ‘আমি কিছু খাবনা, অসুস্থ লাগছে’।
‘ওকে, তাহলে আমরা হাল্কা স্ন্যাক্স নেই, সাথে জুস অথবা কফি...!’ আশিক কথাটা বলে দুজনের মতামত নেয়ার চেষ্টা করল।
মিশুর আপত্তি সত্ত্বেও নিতু আর আশিক কয়েকটা আইটেম সিলেক্ট করে। ওয়েটার চলে গেলে আশিক মিশুর দিকে তাকিয়ে বলে, ‘তো, কেমন আছেন?’
‘ভালো’ সংক্ষিপ্ত জবাবেও মিশু অনেকটা জড়িয়ে যায়, নিতুর অনেক আপত্তি সত্ত্বেও সে আজ এমন একটা কাজ করতে এসেছে যার ফলাফল তার সম্পূর্ণ অজানা। মনঃস্থির করে ফেলেছে যদি তার অতীত জেনেও আশিক মেনে নেয় তবে নিজেকে সপে দিতে তার পক্ষে আর কোন আপত্তি থাকবেনা কিন্তু যদি আশিক হতাশ হয়!! বাবা-মা এসব কিছুই জানেনা, তারা মিশুর ফলাফলের সব মনঃকষ্ট ভুলে গিয়ে পুরদস্তুর বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। আত্মীয় স্বজন সবাইকে অনেক খুশি দেখা যাচ্ছে, আর মিশু!! বারবার নিজেকে নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু আশপাশের মানুষগুলোর কথা ভেবে আর সামনে এগিয়ে যেতে পারেনা। কিন্তু সে কিছুতেই একটা মানুষকে সারাজীবনের জন্য প্রতারিত করতে পারবেনা, তাই আজ সব কিছু আশিককে সব জানাতে এখানে ছুটে এসেছে। আশিকের এগিয়ে দেয়া ফেসিয়াল টিস্যুর দিকে নজর পড়তেই ঘোর কাটে মিশুর। ‘কি এত ভাবছেন?’ আশিকের এই সরল প্রশ্নে মিশু তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। চোখের সরলতা বলছে মানুষটা যেন তার ত্রাতা হতেই ছুটে এসেছে আজ। টিস্যুটা হাতে নিয়ে কপালের ঘাম মুছে নেয় মিশু, কাঁপাকাঁপা কন্ঠে অনেকটা জোর করেই বলে, ‘আমি আপনার সাথে আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে এসেছি। আমার একটা অতীত আছে যা আমাকে খুব পোড়াচ্ছে। নিজেকে সোপর্দ করার আগেই আমি সবকিছু আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি চাইনা কেউ আমার প্রতারণার শিকার হোক’ এতটুকু বলে মিশু আশিকের জবাবের অপেক্ষায় অপলকে চেয়ে থাকে তার দিকে।
মানুষের জীবনে কিছু ভুল বা দাগ থাকতেই পারে, সবাই নিজেদেরকে সফেদ কাগজের মত রাখতে সক্ষম হয়না। কিন্তু এসব অতীত নিয়ে পড়ে থাকাটা নেহায়েত বোকামিই হয়। এতদূর এসে এখন আর পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ বা সময় হাতে নেই। মিশুর বলা কথাগুলো অনেক স্পষ্ট আর সরল, এখানে আর বেশি কিছু শোনার আগ্রহ ছুড়ে ফেলে আশিক তার সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করে। কয়েক মিনিটের নীরবতায় নেয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে সে। চেয়ার ছেড়ে গ্লাসের ফাঁকে বাইরের জগতটা দেখার চেষ্টা করে কিছুক্ষণ। ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত জীবনে এতখানি সরলতা পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাবে কিনা সে সম্পর্কে আশিক সম্পূর্ণ নিশ্চিত। ধীর পায়ে ফিরে গিয়ে মিশুর পাশে দাঁড়ায় আশিক, মিশুও উঠে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে পাশে। নিতু কিছু ভাবতে গিয়ে আশা ছেড়ে দিয়ে সেলফোন ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছে। আশিক মিশুকে বলে, ‘তোমার অতীত জানার কোন ইচ্ছাই আমার নেই, যদি নিতে তোমার আপত্তি না থাকে তবে আমার জীবনের দায়িত্ব তোমাকে দিলাম’।
মিশু আশিকের চোখের দিকে তাকিয়ে কথাটা বুঝে নেয়ার চেষ্টা করে, ঐ চোখে অনন্ত নির্ভরতার এক হাতছানি।

পাদটীকাঃ
১. গল্পের ‘রাফি’ নামক ছেলেটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, মেয়েটাকেও কিছুটা। আপাতদৃষ্টিতে রাফিকে যতটা দোষ দেব বাস্তবতার নিরিখে সে অতটা দোষী নয়। এধরণের সমস্যায় দুজনের ভূমিকাই সমান।
২. গল্পটি উৎসর্গ করছি একজন হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষকে।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×