"মুক্তির অন্বেষায়" লেখা "ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব ৩" এই পোস্টে মন্তব্যটি দেবার সাথে সাথে দেখলাম, "ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যটি পোস্ট করা হয়েছে । এই পোস্টের মন্তব্য মডারেটেড বিধায় তা এখানে প্রকাশ পেতে কিছুটা সময় নিতে পারে । আপনার মন্তব্যটি পুনরায় পোস্ট না করে, অপেক্ষা করুন।"
Click This Link
আমার মনে হলো, উনি হয়ত এই মন্তব্যটি পোস্ট করবেন না। এই জাতীয় ব্লগাররা গালি আটকানোর নাম করে মানুষের মুখ আটকাবার ব্যবস্থা করে থাকেন। নতুবা, এই ধরণের প্রি-ডিফাইন্ড মানসিকতা কেন? কেউ যদি আপত্তিজনক কিছু বলেই থাকে, তবে তাকে ব্লক করুক, তাতে তো কোন সমস্যা দেখি না। আগে, থেকে পোস্ট মডারেট করার মানেই, পছন্দ অনুসারে মন্তব্য প্রকাশ। যেটা একতরফা ও হটকারীতা বরাবর।
যাই হোক, যে মন্তব্যটি করতে চেয়েছিলাম।
- - - - - - - - - - - - - - -
সাধারণত, জাকির নায়েক হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে থাকেন। আমি ধরে নিচ্ছি, আপনি তার ভাষণ সঠিকভাবে বাংলাতে রুপান্তর করেছেন। আপনি এই ভাষ্য নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন বিধায় প্রমাণিত হয়যে, আপনি উনার কথায় পূর্ণাংগ সহমত। তাই আপনার পোস্টের ভিত্তিতেই আপনাকে প্রশ্ন করলাম।
জনাব/ জনাবা,
আপনার পোস্টের প্রথম দিকে বিভিন্ন সভ্যতার সে উদাহরণ তুলে ধরেছেন, তার কোন সঠিক কোন রেফারেন্স দেখালে আপনার যুক্তিকে মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু, সেরকম কিছুই দেখলাম না। যা বললেন, আমি বলবো আপনি ইসলাম ধর্মকে অন্যদের থেকে কিভাবে ভালো সেটাই প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।
কোরআনের বিভিন্ন সূরার রেফারেন্স যোগের মাধ্যমে আপনি আপনার পোস্টের লজিককে সুসংহত করার চেষ্টা করেছেন, তবুও নারীদের হিজাব ব্যবহারের উপর কোন সরাসরি আদেশ কোরআনের আলোকে দেখাতে পারেননি। বরং, আপনি সুন্নাহ অনুযায়ী হিজাব পালনের ছয়টি শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন। আশা করছি, আপনি ভালো করেই সুন্নাহ ও ফরজের মাঝখানে পার্থক্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন।
"খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাদের চোখ যাবে যে কিনা দেখাতে চায় তার দিকে। কার্যত এ ধরনের পোশাক বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ‘ভাষাহীন নিরব আমন্ত্রণ’। যে কারণে বিপরীত লিঙ্গ উত্তেজিত হতে বাধ্য হয়। "
- এখানে হিজাবে পরিহিতার সাথে আপনি সাধারণ ও ভদ্র নারীদের তুলনা করেননি। করেছেন, নগ্নতার বিপরীতে হিজাবের তুলনা। সেই হিসেবে, আমিও একমত ও সবাই একমত হবে। নগ্নতার বিপরীতে অবশ্যই হিজাব ভালো। নগ্নতা যে আধুনিকতা নয়, সেটাও আপনার জানা দরকার। দয়া করে গুলিয়া ফেলবেন না।
"ইসলামের বিধান অনুযায়ী একজন পুরুষ যদি কোনো নারী ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড।"
- আপনি কি জানেন ইসলাম বিধান অনুসারে, ধর্যণের দোষে দোষী কাউকে সাবস্ত্য করা প্রায়ই অসম্ভবের কাছাকাছি।কারণ,
১। ধর্যণের শিকার হওয়া কোন নারীকেই এই আইনের থেকে প্রয়োগ থেকে বাচানোর উপায় নেই। যেই কেউ এতে ব্যাভিচারের আওতায় ফেলে দিতে পারে। কারণ, শরিয়া এই আইনে একজন ধর্ষিতার কথা বিশ্বাস করার বা তার কথা মেনে নেবার কোন অবকাশ নেই।
২। একজন ধর্ষণকারী বা কারীরা নিঃশ্চয় চারজন সাক্ষী রেখে ধর্ষন করে না। অথবা, চারজন ধর্ষণকারী নিশ্চয় ধর্ষণের পরে স্বীকার করবে না।
৩। চারজন ধর্ষণের সাক্ষী নিঃশ্চয়ই ধর্ষণ চেষ্টা চলাকালীন অবস্থায় একজন অবলা নারীকে সাহায্যে এগিয়ে আসবে, যদি কাপুরুষ না হয়।
৪। যদি শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি কেউ ধর্ষনের শিকার হন, তাহলে কিছুই করার নেই। ধরুন, সম্পূর্ণ অপরিচিত কোন মানুষের দ্বারা কোন অন্ধ নারী যদি পাশবিকতার শিকার হন, তাহলে সঠিক বিচার পাওয়া মহিলাটির জন্য কোনভাবেই সম্ভব নয়।
"নারী ধর্ষণের হার আমেরিকায় সর্বোচ্চ"
- কোন তথ্যের উপর বললেন? জানালে বাধিত হতাম। আমি যতদূর জানি, জাকির নায়েক একজন ডাক্তার, কোন রিসার্চার নন।
"ইসলামী শরীয়তের পুর্ণাঙ্গ বিধান কার্যকর হলে ধর্ষনের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই।"
- যদি বাস্তবিকতায় তা প্রমান করা যায়।
ভালো থাকুন