ইসলামভিত্তিক অনুশাসনের ধারা হিসেবে বোরকার ব্যবহারে মোটামুটি সবাই পরিচিত। আরব সমাজে ইসলাম প্রবর্তনের বহু আগেই থেকেই বোরকা বা হিজাবে প্রচলন ছিল। তৎকালীন সম্ভ্রান্ত সমাজে সমস্ত উচ্চবংশীয় নারীদের বোরকা পরিধানের সংস্কৃতি দেখা যেত। পরবর্তিতে, ইসলামের যোদ্ধাদের দ্বারা কুরাইশদের পতন হয়। ইসলামে বোরকার ব্যবহার তারপর থেকেই অন্তর্ভুক্ত।
বোরকা ব্যবহারের একটি অলিখিত মাত্রা রয়েছে। অন্যদের চোঁখে তুলে ধরা এটা মুসলিম নারী ও কুদৃষ্টি দেওয়া নিষেধ। অনেকের জন্য এটা খুব সুবিধাজনক ইঙ্গিত। অমুসলিম নারীদের সাথে অনেক কিছু(!) করাও জায়েজ। কিন্তু, যেসব পুরুষদের আজম্ম নজরই খারাপ, সেইসব চোরা কি আর শুনে ধর্মের কথা! সেইসব নষ্ট মানুষদের জন্যই, আজকাল বোরকা পরিহিতা নারীদের বোরকা-পর্ণ সাইটের বেশ চলন।
সেইদিন, গুলশান হতে গুলিস্থান যেতে তিন জায়গায় চলন্ত বাসের মাঝে তিনবার, আলাদা আলাদা জায়গায় তিনটি লিফলেট পেলাম। বেশ রগরগে এড। টপিকস, দাম্পত্য কলহ দূরীকরণ, স্ত্রী বশীকরণ, লিঙ্গ মোটাতাজাকরন, সেক্স পাওয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি। আসুন, অমুক ফার্মেসী, অমুক রাস্তায়, অমুক রোডে। তিন জায়গাতেই লিফলেট ছুড়ে ছিলো বোরকা পরিহিতা নারী।
রাতের বেলাতেও হুড তুলে রিক্সাতে গুটোসুটি করে অপকর্ম করতে নিজে দেখেছি বোরকা ওয়ালিদের।কারও চেনার উপায় নেই। ধরি মাছ, না ছুঁই পানি। সাবাশ!
ফকিরাপুলে ব্যাংক কলোনির দিকে আমার একজন পাড়াত ভাই 'ডাইল' কিনতে যেত। সেদিন কি দুঃখ তার, ‘ডাইল' পায়নি বলে। “শালার বোরকা ওয়ালি ধরা পড়েছে।“ উনি বোরকার মাঝে লুকিয়ে থাকত 'ডাইলের' বোতল। এটা যদিও বেশ পুরাতন ঘটনা, তবে একদম ভুলিনি।
প্রায়ই সমস্ত পুরুষদেরই নিজের নারীর পাশাপাশি অন্য নারী সদ্ভোগ করার এক সুপ্ত ইচ্ছা থাকে। সেই সুপ্ত অনুভূতির তাড়নায় আড় চোঁখে অন্য নারীদের দিকে ঠিকই তাকায়। সেই অনুভূতিটা হয়ত পুরুষদের নিজেরেই অজানা। সেই সাথে আরেকটি অত্যন্ত গোপন, সুপ্ত ও সবচেয়ে সাধারণ অনুভূতিটাই হলো তার অনিশ্চয়তা। একজন পুরুষ হয়ত নিজে অনেক নারীর সঙ্গ পছন্দ করলেও তার নারীর বেলায় ভীষণ রকম পসেসিভ। আর, তার একান্ত নারীকে অন্য পুরুষদের সেই সুপ্ততা থেকেই বাচানোর (সেইসব পুরুষদের ভাষায়) জন্য তার নারীকে বোরকা ব্যবহারে বাধ্য (সেইসব পুরুষদের ভাষায়, ইসলামি শরিয়া জীবনে অনুপ্রাণিত) করা।
মূলত, বোরকার আদর্শটাই হলো - পুরুষদের ইনসিকিউরিটি।