কাল সারাটা দিন কোথাও বের হওয়া হয়নি। বড় হয়ে গেছি বলেই বোধ হয়,ঈদে নতুন কাপড় কিনবো টাইপের ফ্যাসিনেশানও আজকাল আর হয়না। শুধু সকালের দিকে গিয়েছিলাম গুলশানের দিকে। অবাক বিস্ময়ে ছিলাম। কোন জ্যাম নেই,কোন গাড়ি নেই বললেই চলে। নেই কোন কালো ধোয়ার চোঁখ জ্বালা। ঢাকাকে দেখলাম এক নতুন রুপে। বেশ ভালোই লাগলো। আচ্ছা, ঢাকা শহরের সারা বছরের এই একই রূপ থাকতো, তবে কেমন হতো!
আসলে কাজের জন্য মানুষের ঢাকামূখী এই আসা মূলতই ঢাকার উপর এই ধরণের চাপের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আসলে, এর মূল কারণ কি?
উইকিপেডিয়া সূত্রানুসারে,
বাংলাদশের সর্বমোট জনসংখ্যা: ১৫,০৪,৪৮,০০০
জম্মগ্রহণের হার প্রতি হাজারে ২৪.৬৮
সেই অনুপাতে, মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে মাত্র ৮জন
গড়পরতায়, মানুষের স্বাভাবিক আয়ুস্কাল ৬০.২৫
পুরুষ: ৫৭.৫৭ বছর আর, নারীদের ক্ষেত্রে ৬৩.০৩ বছর।
নিঃসন্দেহে, আমাদের দেশের জন্য এটা খুবই আতংকজনক পরিসংখ্যান।
১৯৬১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যার পরিমাণ হাজার এককে উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে।
আচ্ছা, আমরা তো প্রতিবছর নতুন বছরের শুরুতে সবাই কিছু না কিছু রেজ্যুলেশনে যাই। কেননা, আজও আমাদের এই আনন্দের দিনে আজকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিস্ফোরণে নিজে ও আমাদের আশেপাশের সবাইকে জানাই ও সচেতন করি।
আজকে থেকেই হোক না, ঈদুল ফিতরের পবিত্র এই রেজ্যুলেশন।
ভালো থাকুন।