১. বিএনপি’র মধ্যে যে কয়েকজন কে স্মার্ট মনে হত তাদের মধ্যে নাজমুল হুদা অন্যতম। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি-তে ১ম স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। জনপ্রিয় ও দাপুটে একজন নেতা হওয়া সত্ত্বেও নিজের ইগো ও পাগলামীর কারণে শেষ বয়সে সমালোচনা নিয়েই মরতে হল। এখন তেনার মৃত্যুতে কোন শোক সভা হবে না, (অপ্রিয় হলেও) পারিবারিক রাজনীতির সুবিধা নিয়ে ভবিষ্যতে কোন সুবিধা করতে পারবে না তেনার মেয়েরা...
২. বহুদলীয় গণতন্ত্রের একটা সমস্যা হল চাইলেই যে কেউ দল গঠন করতে পারে। যেটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য সুখকর নয়। এখন নুরা পাগলার একটা দল আছে, যে প্রতিদিন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ফেলছে। শুনলাম হিরো আলমও দল করতে চায়। (.)দু জনতার জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?
৩. একটা দল করলে যা যা পাওয়ার কথা একজন নেতার তার সবগুলোই পেয়েছেন নাজমুল হুদা (প্রধানমন্ত্রী/প্রেসিডেন্ট ভাগ্যের ব্যপার)। তারপরও তেনার শখ মিটেনি। দলের নীতি অনেকের কাছে ভাল নাও লাগতে পারে। কিন্তু তার সমাধান নতুন দল গঠন করা নয়। তেনার মত বুদ্ধিমান লোক কীসের আশায় বা লোভে বিএনএফ বা তৃণমূল বিএনপি গঠন করেছেন কে জানে?
৪. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মূল দল থেকে বের হয়ে আলাদা দল করে কেউ সাফল্য পায়নি, পাওয়ার কথাও নয়। বি চৌধুরী, অলি আহমদ, কাদের সিদ্দিকী, আন্দালিব রহমান এরা মূল দলে থেকেই সাফল্য পেতে পারতেন। এখন তেনাদের নিজের ১টা আসন নিয়ে খুশী থাকতে হয় আর টক শো-তে চেয়ার গরম করা ছাড়া তেমন ইমপ্যাক্ট নেই তেনাদের...
৫. তৃণমূল বিএনপি নিবন্ধন পেয়েছিল ৩ দিন আগে। অথচ আজ নাজমুল হুদা নেই। এই বিষয়টা আরো একবার মনে করিয়ে দিল জীবন কত অল্প দিনের! এত ইগো, লোভ, উচ্চাকাঙ্খা পুষে না রেখে অবসর জীবনে গেলে কিংবা দলের মধ্যে থেকে গেলেও উনার শেষ পরিণতিটা সুখকর হতে পারত...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২২