১. দেশে যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে সবসময় ক্ষোভের মধ্যে থাকি তার মধ্যে অন্যতম হল ছাত্র রাজনীতি। এই ব্লগে ইনিয়ে, বিনিয়ে ছাত্র রাজনীতি বিষয়ক কোন পোস্ট আসলেই আমি এর বিপক্ষে অবস্থান নেই। আমি রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশী দোষ দেই ’নপুংসক’ উপাচার্যদের। এরা কীভাবে এলাউ করে এটা তাদের ক্যাম্পাসে? কোন যুক্তিতে একজন সমবয়সী ছাত্র তার বন্ধুর গায়ে হাত তোলে? কীভাবে সম্ভব একজন ছাত্র তার শিক্ষকের সাথে চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে, তাঁর কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়?
২. আমার ছোট ভাই পড়ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি সবসময় তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতাম। কারণ, ওখানে শাটল ট্রেনের বগিতে বসা নিয়েও মারামারি হয়। স্বাভাবিকভাবে সেও কোন এক গ্রুপের সাথে মানিয়ে নিয়ে বড় ভাইদের সমীহ করে সমমনাদের সাথে নিয়ে বগিতে চলাফেরা করত। সেটা অনেক আগের কথা। ইদানিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতির কুপ্রভাব আরো বেশী বিস্তার লাভ করেছে...
৩. র্যাগিং যারা করে তারা কী আসলেই মানুষ? আমার মনে হয় না। তারা হল, animal in human's form (এটা আমার এক বড় ভাইয়ের ডায়ালগ)। যে র্যাগিং করছে তার ছোট ভাই বোন না থাকলেও, নিজের সন্তানও তো কখনো এর শিকার হতে পারে। এই বোধ তাদের মধ্যে কেন আসে না? শুধু বহিস্কার করলে শাস্তি হয়ে গেল? জেল, জরিমানা, ছাত্রত্ব বাতিল না হলে এটা কখনোই বন্ধ হবে না...
৪. ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার কথা বলতে গেলেই ব্লগ ও ব্লগের বাইরে তথাকথিত সুশীল সমাজের লোকজন ’গৌরবজ্জ্বল অতীত’ নামের একটা ফালতু বিশেষণ জুড়ে দেয়। মাথা ব্যথার জন্য নাকি মাথা কাটা যাবে না! কী অদ্ভূত! এমন কোন অপকর্ম নেই সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন করে না, অথচ তেনারা এখনো বসে আছেন তাদের সুপথে ফেরানোর জন্য...
৫. বাংলাদেশের দুই পরিবারের রাজনীতি একটা জঘন্য গণতন্ত্রের মধ্যে আছে। এদের সাইজ করতে হলে ‘ঐ পাড়ার’ লোকেরা ছাড়া কেউ পারবে না। আগেও বলেছি, আবারও বলছি - ল্যান্ড ফোনের কার্যকারিতা কমে গিয়ে মোবাইল ফোন চলে এসেছে। ছাত্র রাজনীতি বর্তমান সভ্য সমাজে দরকার নেই। প্রাপ্ত বয়স্করা দলের সদস্য হয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করুক কোন সমস্যা নেই। ছাত্র রাজনীতি নিপাত যাক, র্যাগিং বন্ধ হোক...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫