১. এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে যখন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেয়া হল, তখন দেখা গেল বেশি সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি সেটা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিটি বাস, ট্রাক বা অন্য পরিবহন তেমন একটা যাচ্ছে না। বাস মালিকদের যুক্তি ছিল শুধু ফার্মগেট পর্যন্ত গেলে মাঝপথে তারা যাত্রী পাবে না। এতে নাকি তাদের ব্যবসা লস হবে। যাক, শেষ পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চালু করে এবং পরবর্তীতে ‘ভিআইপি’ নামে আরেকটি বাস এই পথ দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু করে...
২. সাধারণ জনতা মন্তব্য করতে লাগল, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে তো ফার্মগেট গেলাম, কিন্তু তারপর তো সেই কারওয়ান বাজার কিংবা খামার বাড়ির জ্যামে বসে থাকতে হবে! আবার কেউ বলছে, উঠার আগে বিজয় স্মরণীর জ্যাম না কমলে তো সুফল পাওয়া যাবে না। আবার বিশেষ ভাবে অজ্ঞ কেউ বলেছেন, পুরো কাজ শেষ না করে (বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালি) খুলে দেয়া উচিত হয়নি। কারণ, এক্সপ্রেসওয়ের নামার প্রান্তে জ্যামের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। আরেকজন বিশেষ ভাবে অজ্ঞ বললেন, এসব প্রজেক্ট নাকি শুধু ধনীক শ্রেণীর সুবিধার জন্য, মাস পিপলের কথা চিন্তা করা হয় না...
৩. ফেসবুকে এখনও ট্রল হয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নীচে অনেক গাড়ি, উপরে কম গাড়ি -এটা নিয়ে। আমিও এঁদের দলে ছিলাম কিছুদিন আগ পর্যন্ত। কিন্তু যখন নিজে এই পথে চলাচল শুরু করলাম, তখন বুঝতে পারলাম কত বড় সুন্দর একটা উপকারী প্রজেক্ট হয়েছে এটা। সাধারণত, উত্তরা থেকে ফার্মগেট যেতে হলে মহাখালির জ্যাম, বিজয় স্মরণীর জ্যাম মিলে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগত। সেখানে, উত্তরা থেকে মাত্র ২৫/৩০ মিনিটে (মূল এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে সময় লাগে ১০/১২ মিনিট) যদি ফার্মগেট পৌঁছা যায়, তাহলে কার না ভাল লাগবে? ফার্মগেটের আশে পাশের অন্য এলাকায় যাতায়াতের জন্য এই এক্সপ্রেসওয়ে অনেক উপকার করছে। বিশেষ করে, উত্তরা-ফার্মগেট অফিসগামীদের জন্য খুবই সময় বাঁচানো সার্ভিস...
৪. যেসব, বাস, গাড়ি টোল না দেয়ার জন্য নীচ দিয়ে যাচ্ছে, তারা নীচেই থাকুক। কারণ, তারা উপরে উঠে এলে এই স্মুথ সার্ভিসেও জ্যাম ঘটাবে। এক সময় অনেকেই বুঝতে পারবে এই পথের গুরুত্ব। তাই না জেনে, না বুঝে ট্রল করা থেকে বিরত থাকুন…
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪