একটি ব্যতিক্রমি প্রেম ও বিয়ের খবর!
প্রেমে মানুষ কত কিইনা করে!
লাইলি মজনু, শিরি ফরহাদ. ইউসুফ জোলেখা, রাধা কৃষ্ণ, চন্ডিদাস রজকিনি!!
ইতিহাসে অসংখ্য প্রেমোপাখ্যান স্থান করে আছে।
সাম্প্রতিক আমাদের বাংলাদেশের বরিশালের ছেলের প্রেম -বিয়ে কাহিনী কম চমকপ্রদ নয়!
প্রেমিক/ বর: সাইদুল আলম রুমান, গ্র্যাজুয়েট
আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম বিভাগ,মেলবোর্ণ, অস্ট্রেলিয়া
প্রেমিকা/কণে:এমিলি রেবেকা পার / এমিলি আলম
গ্র্যাজুয়েট, আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম বিভাগ,মেলবোর্ণ, অস্ট্রেলিয়া
কর্মরত: হিউম্যান সার্ভিস বিভাগ, অস্ট্রেলিয়া।
বাকী টুকু জানুন সংবাদ থেকেই..
ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন প্রেমিকা এমিলি রেবেকা পার। পছন্দের প্রেমিক মুসলিম হওয়ায় খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামেও দীক্ষিত হয়েছেন তিনি। বিয়েটি স্মরণীয় করে রাখতে বরিশালে এসেছেন অস্ট্রেলিয়া সরকারের হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের কর্মচারী এমিলি, তার বাবা-মা, ভাই, খালা-খালু, ফুফু-ফুফাসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য। এমিলি রেবেকার (নতুন নাম এমিলি আলম) সদ্য বিবাহিত স্বামী সাইদুল আলম রুমান নগরীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল আলম গুলজারের ভাতিজা। জানা গেছে, ১৯ জানুয়ারি সপরিবারে বাংলাদেশ আসেন এমিলি ও রুমান। আলেকান্দায় রুমানের নিজ বাড়ি হলেও এমিলির পরিবারের সদস্যদের রাখা হয় গুলজারের মালিকানাধীন এরিনা আবাসিক হোটেলে। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে বায়তুল মেহেদী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল হালিমের কাছে কলমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এমিলি। তার নতুন নাম রাখা হয় এমিলি আলম। এ সময় এমিলির বাবা ব্রুস পার ও মা ভিকি পারসহ তার আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন সন্ধ্যায় রুমানের আলেকান্দার বাসভবনে রুমান ও এমিলির বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাতেই নগরীর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে রুমান-এমিলির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
হোটেল এরিনা থেকে নতুন একটি রিকশা ফুল দিয়ে সাজিয়ে কনে এমিলিকে অনুষ্ঠানে নিয়ে আসেন বর রুমান। বরের রিকশার পেছনেই ছিল দুই পরিবারের সদস্যবাহী রিকশা। বিয়ে উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ান বধূ এবং তার মাসহ পরিবারের নারী সদস্যদের বাঙালির চিরাচরিত শাড়ি-কাপড়ের সাজে অন্য রকম এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অতিথিরা নবদম্পতির শুভ কামনা ও তাদের জন্য দোয়া করেন। আগামীকাল বর-কনে এবং কনে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।
রুমান জানান, ১৬ বছর আগে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যান তিনি। সেখানে আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন। তার স্ত্রী এমিলিও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই পরিচয় হয় এমিলির সঙ্গে। উভয়ে উভয়কে জানাশোনার পর ২০১০ সাল থেকে ভালোবাসায় জড়িয়ে যান। পরে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এক্সপোর্টের ব্যবসা করবেন বলে জানান রুমান।
অভিনন্দন নতুন জুটিকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১