স্টিভেন স্পিলবার্গের ২০০২ সালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি-ভিত্তিক চলচ্চিত্র মাইনরিটি রিপোর্ট-এ এমন একটি বিশ্ব দেখানো হয়েছিল, যেখানে কম্পিউটার মানুষের মনের কথা বুঝে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করতে পারে। তখন বিষয়টিকে নিছক অলীক কল্পনা মনে হলেও এরই মধ্যে তা বাস্তবতার আরেক ধাপ কাছে পৌঁছে গেছে।
গত মাসের শেষে রবার্ট নাইটের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (বার্কলি) একদল বিজ্ঞানী মস্তিষ্ক তরঙ্গের অর্থ উদ্ধার ও তা ভাষায় রূপান্তর করতে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এর পাঁচ মাস আগে বার্কলির আরেক দল বিজ্ঞানী এ রকম একটি গবেষণা করেছিলেন। ওই বিজ্ঞানীরা তাঁদের সহকর্মীদের একটি চলচ্চিত্রের অংশবিশেষ দেখান এবং কিছু সময় পরে তাঁরা যা দেখেছেন, তা রঙিন চিত্রের মাধ্যমে জানার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
২০০৬ সালের একটি পরীক্ষার চেয়ে এসব পরীক্ষাকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওই সময় একজন ফরাসি বিজ্ঞানী মানুষের মস্তিষ্ক থেকে তাঁর ‘চিন্তার ছবি’ দেখিয়েছিলেন। মোটা দাগের সাদা-কালো ছবিটি ছিল দাবার ছকের মতো কিছু একটা কাঠামোর।
বলা হচ্ছে, এ গবেষণার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সফল হলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তি ‘কথা’ বলতে পারবেন। কোমায় থাকা রোগীর মনের কথা বুঝতে পারবেন চিকিৎসক। রাতে দেখা স্বপ্নগুলো আবারও আইপডে দেখা যাবে। তবে একইভাবে এর মন্দ দিকও আছে। কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর মস্তিষ্ক থেকে তথ্য বের করে নেওয়া সম্ভব হবে।
অবশ্য, সর্বশেষ এই অগ্রগতি সত্ত্বেও স্নায়ুবিজ্ঞানী জ্যাক গ্যালান্ট বলেছেন, মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড ভালো করে বোঝার জন্য বর্তমান প্রযুক্তি এখনো ‘তুলনামূলকভাবে প্রাথমিক’ পর্যায়েই আছে। নিউজউইক থেকে