somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কু-স-ফল!

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আঞ্চলিক,বৈশ্বিক কিংবা নির্দিষ্ট কোন দেশে যেকোন ইস্যুতে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি পরিকল্পনা/প্রকল্প/প্রজেক্ট/পদ্ধতি যখন উদ্দ্যেশ্য অর্জনে কার্যকর হয় তখনই সেটা অন্যকোন দেশে কিংবা অঞ্চলে বা সারা বিশ্বে প্রয়োগ করা হয়।
এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে,
কোন সমস্যা সমাধানে যে পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি,সেটা বাদ দিয়ে নতুন ভাবে সমস্যা সমাধানের চিন্তা করা হয়েছে।নতুন গবেষণা করে অন্য পদ্ধতি বের করা হয়েছে বা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে জঙ্গী হামলা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকানোর জন্য বিশ্বে প্রথম বারের মত পাকিস্থান এই পদ্ধতি গ্রহন করে।এরপরে আফগানিস্থান এবং সৌদিআরবে এই পদ্ধতি চালু করে/আছে।
যে উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছিলো সেসকল দেশ উক্ত উদ্দেশ্য অর্জনে কতটুকু সফল হয়েছে তা প্রতিদিনের পত্রিকা পড়লে বা টিভিতে সংবাদ দেখলেই বোঝা যায়।
বুঝলেন না!!!
এমন কোন দিন রয়েছে,যেদিন পাকিস্থান/আফগানিস্থানে বোমা হামলায়/আত্নঘাতি হামলায় ২,৫,১০জন বা ৫০,১০০জন মারা যায় না!
আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সেইসব দেশ এসব হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করতে পেরেছে এমন কোন সংবাদ পেয়েছেন কোনদিন!

বরং আমরা দেখতে পাই বা শুনতে পাই যে,বিশ্বের যেকোন দেশে এরুপ হামলা হলে সেখানে আফগানিস্থান বা পাকিস্থানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায় এবং সেই দেশের ব্যাক্তিদের হাতের ছাপ আলামত হিসেবে পাওয়া যায়।
কি অদ্ভূত,তাই না!!!
তাহলে কি সারা বিশ্বে একমাত্র পাকিস্থান/আফগানিস্থানের মানুষ বোমা হামলা চালাচ্ছে?কিংবা আরো পরিষ্কার ভাবে বললে,শুধু মুসলমানরাই এরুপ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট?
আপনার কি মনে হয়?

তাহলে এরুপ একটা ব্যার্থ পদ্ধতি আমাদের মাননীয় সরকার মহাদয় সেই একই উদ্দেশ্যে কেন ব্যবহার করছে সেটা জানার কি অধিকার নেই আপনার?নাকি সকল ক্ষমতা আদালতের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিতে বসে আছেন?
যদি তাই করে থাকেন তাহলে আপনার মত প্রকাশের অধিকার বা আপনার নিরাপত্তার অধিকার কোথায়?
এমনিতেই তো আপনার নিরাপত্তা দিতে সরকারের অপারগতা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে!আবার আপনিও যদি এগুলো বিছিন্ন ঘটনা বলে মনে করেন তাহলে বলবো,ভাই আপনি মহান!

প্রশ্ন আসে তাহলে সরকার কেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে?
আসুন এক্ষেত্রে একান্ত আমার কিছু মতামত বলি!
ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সিস্টেম অচিরেই চালু করবে সরকার।আর এই সরকার আপনার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চিন্তা করবে কিনা সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে!যদি আপনি সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো পরিলক্ষিত করে থাকেন তাহলে সরকারের কাছে ভোটারের ভোটের মূল্যায়নটা নিশ্চয় ধরতে পেরেছেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার সমস্যায় পড়ছে দলের ক্যাডারেরা গণহারে ভোটের ছিল মারার কারণে কাস্টিং ভোটের পরিমান বা কত শতাংশ ভোট পড়ছে সেটার হিসেব নিয়ে।যার কারণে পত্রিকায় খবর আসছে ১৯৬% পর্যন্ত ভোট কাস্টিং এর।

আপনার হাতের ছাপ সরকারের কাছে তথা বেসরকারী কোম্পানির হাতে রয়েছে,এখন চিন্তা করেন তো,
আপনি ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই আপনার হাতের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়া হয়ে গেছে এবং সেটা মেশিনে ঠিকঠাক ভাবে হিসেবও করা হয়ে যাচ্ছে।ফলাফল সঠিক হিসেবেই আসছে কারণ ভোটগুলো মেশিনের মাধ্যমে গণনা হয়ে যাবে সাথে সাথেই।ফলে তখন ১৯৬% ভোট কাস্টিং এর মত ব্যাপার ঘটবে না।
ভালো একটা পদ্ধতি,তাই না!!!

আর এই পদ্ধতিতে সীম নিবন্ধনের আড়ালে যে ব্যবসা হচ্ছে সেটার টেন্ডার নিশ্চয় কোন আমজনতা পাননি!তাহলে ব্যবসাটাও ভালোই হচ্ছে তাহলে!

আপনি কি বিশ্বের অন্য কোন দেশের বোমা হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কোন আলামত দেখতে চান,তাহলে বায়োমেট্রিক ভাবে সিম নিবন্ধন করুন।

আহ্‌!
দেশে কত শান্তি!!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×