‘আইসক্রিম’
রেদওয়ান রনি’র পরিচালিত সিনেমা।
আধুনিক যুগের বাস্তব ধর্মী একটি সিনেমা।সচারচর যেসকল সিনেমা হয় সেগুলোর থেকে অনেকটাই ভিন্ন ধরনের কাহিনী।সাধারণত আমাদের সিনেমায় নায়ক-নায়িকার প্রেম হওয়ার কাহিনী দেখানো হয় এবং প্রেম হওয়ার পরে পারিবারিক সমস্যা কিংবা শত্রুদের আক্রমন চলে আসে।কিন্তু একটি সম্পর্কের ভেতর-বাইরে যেসকল কাহিনী ঘটে সেগুলো দেখানো হয় না।আইসক্রিম সিনেমায় সেটা দেখানো হয়েছে।
প্রেমের উত্থান-পতন,গড়া-ভাঙ্গা,মান-অভিমান,শুরু এবং সেই সম্পর্কের শেষটাও দেখানো হয়েছে।অন্য সিনেমায় যেখানে নায়ক-নায়িকার মধুর মিলনে শেষ হয়,এই সিমেনায় সেখানে দুজনের বিচ্ছেদে শেষ হয়েছে এবং সেটা যুক্তিসঙ্গত কারণেই।
একটি সম্পর্কের শুরুর পরে সেই সম্পর্ককে আইসক্রিমের মত যত্ন করা লাগে।যেখানে তাপমাত্রার গড়মিল হলেই সম্পর্ক গলে যায়।
আইসক্রিম সিনেমা দ্বারা সেটাই বোঝানো হয়েছে।
ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যেই যে বার্তা দেওয়া হয়েছে সেটা হলো,
দুজনের মধ্যে কোন কারণে মান-অভিমান হলে,মন ভালো করার জন্য যেন তৃতীয় কাউকে ব্যবহার করা না হয়।যা তিনজনের জীবনকেই শেষ করে দিবে।
মেয়েদের যেটা দূর্বলতা সেটা হচ্ছে তারা ছেলেদের অতি ফ্লাট/লুলামি কিংবা তাদের হাসানোর/মনভালো করে দেওয়ার শক্তিটাকেই ভালোবাসার প্রধান মাধ্যম হিসেবে দেখে।যেটা প্রাথমিক ভাবে ভুল।
একটি সম্পর্ক চলা অবস্থায় অন্য কোন ছেলেকে অতিরিক্ত প্রাধান্য না দেওয়াটাই হচ্ছে উত্তম পন্থা।সে আপনার উপকারে আসতে পারে,কিন্তু প্রেমিকের সাথে রাগারাগি হলে নিশ্চয় অন্য ছেলের সাথে সময় কাটিয়ে মন ভালো করতে পারেন না!প্রেমিককে ফাঁকি দিয়ে সেই ছেলের সাথে ঘুরতে পারেন না!
যেটা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং তার ফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে।যেমনটা ভোগ করেছে প্রিয়তি (সিনেমার নায়িকা চরিত্রের নাম)।
আবার যেসকল ছেলে অন্যের প্রেমিকাকে পটানোর জন্য অতিরিক্ত কিছু করে থাকে সেটাও মারাত্নক অপরাধ!এক্ষেত্রে জেনে শুনে অন্যের সম্পর্ককে নষ্ট করে দেওয়ার মত!
হয়ত অনেকে আপত্তি করতে পারে কিন্তু আমি একটা কথা বিশ্বাস করি,
যেকোন মেয়ের পেছনে যদি পর্যাপ্ত সময় দেওয়া যায় তাহলে সেই মেয়েটি অন্য যেকোন ছেলের প্রতি দূর্বল হতে বাধ্য।এটাকে ভালোবাসা বলবো না,কিন্তু ভালোবাসার চেয়ে কম কিছু নয়!
মেয়েদের এটা প্রকৃতিগত দূর্বলতা বলতে পারেন যা হয়ত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না কিন্তু এটা মারাত্নক ভুল।যে ভুলের মাশুল অনেক বড় ভাবেই দেওয়া লাগে!
এটা হওয়ার কারণ আগেই বলেছি।
মেয়েরা ছেলের ঐ যোগ্যতাকেই বড় করে দেখে,যে যোগ্যতা হচ্ছে মেয়েটিকে অনেক সময় দিতে পারা,সময়-অসময়ে দেখা করা,হাসানো ইত্যাদি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১২