কাজলা মে’ !
তোমার চোখে পড়েছে আমার চোখ
আমি ছিলেম তাকিয়ে
অপলক তাকাওনি শরমে তুমি
তবুও ডাগর নয়নের পাপড়ি মাঝে
নিবদ্ধ ছিল মোর সলজ্জ দৃষ্টি
ব্রীড়াবতী শোন হে
যবে থেকে দেখেছি তোমায়
আয়েশ করে দু’দণ্ড ঘুমোতে পারি নি।
পারিনে অবধি
সেদিন বিকেলে
উতলা বাতাসে ওড়ছিল তব কাজলা কেশর
কাকের পালককেও আজ হার মানাবে এক গুচ্ছ কৃষ্ণ চুল
তুমি ছিলে প্রধান ফটকের দেয়াল ঠেসে
বোধয় আমার অপেক্ষায়ই করছিলে তুমি
অলক্ষে ঠাহর পাওনি আমার উপস্থিতি
আমায় দেখে আর পারলে না; পারলে না দাঁড়াতে তুমি
লজ্জায় মুখ লুকোলে আঁচলের খুটায়
তোমায় উপেক্ষা করে অন্দর মহলে মোর আগমন
ফের দেখবার আশ্বাসে পেছনে ফেরার ব্যর্থচেষ্টা
তুমি ছিলে না; ছিল তব ছায়ামূর্তি
লিকলিকে এক তরু-লতা, লজ্জাবতী বৃক্ষ
বক্ষ পিঞ্জরের তোরঙ্গে সাজিয়েছিনু যে সিংহাসন
সহসা এ কী তুমি সমাসীন !!!
হৃদয় সম্রাজ্ঞী।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১