somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত নয়টা। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে জাফরের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। ইচ্ছে হল ঘড়িটা ছুড়ে ফেলে সময়কে থামিয়ে দিতে। সে আধ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। বাসায় ফিরবে, সব বাসে উপচে পড়া ভিড়।আটোরিক্সা পাওয়া বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার।অন্যদিন দশটাকে ডাকলে একটা পাওয়া যায়। আজ তাও নেই।

আজ তার বাসায় ফেরার কথা পাঁচটায়। আর এখন বাজে রাত নয়টা। তার মেয়ের জন্মদিন আজ। মেয়ে গতকাল রাতেই বলে রেখেছে তাড়াতাড়ি ফেরার জন্য। মেয়েটার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠতেই মনটা ভীষণ খারাপ হল। মেয়েটা আশা করে বসে আছে বাবা আজ তাড়াতাড়ি ফিরবে।গতকাল রাতে জাফর মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছিল, “মা তুমি কি চাও?” সে মাথা নেড়ে বুঝালো কিছু চায়না। বাবা তুমি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে এসো। কথাটা বলেই তার খেলায় মনোযোগ দিল।কথাটা শুনে তার চোখে পানি চলে আসেছিল।এসব ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে তাকাল।রাত সাড়ে নয়টা।অফিসে আসার সময় একটা কেক অর্ডার দিয়ে আসেছিল।সেটাও নেয়া হবেনা। রাত আটায় সব বন্ধ হয়ে যায়। বাসায় ফিরবে খালি হাতে ভাবতেই মনের মাঝে খাঁ খাঁ করে উঠল।মনে মনে ভাবছে মেয়েটা কি ঘুমিয়ে পড়বে? নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট পাবে।জাফর জানে তাকে বুঝিয়ে বললে আর কিছু বলবেনা। তবুও মেয়েটা চেয়েছিল আজ বাবা তাড়াতাড়ি ফিরবে।তার মেয়েটা একটু অন্যরকম,নিজের একটা জগত আছে তার। চুপচাপ,কথা বললে মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে কিন্তু উত্তরটা তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।মাথা নেড়েই উত্তর দেয় বেশি।

জাফর প্রায় সব কাজ গুছিয়ে উঠেছিল। হঠাতই এম, ডি স্যার মিটিং ডেকে বসলেন। অবশ্য তাকেও দোষ দেয়া যায়না। মিটিংটা সত্যি দরকার ছিল।মিটিং এ যখন বসেছিল মনে হচ্ছিল অনন্তকাল ধরে চলছে। সে যেন স্থির একটা সময়ের মাঝে বসে আছে।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল সাড়ে দশটা।এবার মিলির কথা মনে হল।মিলি জাফরে স্ত্রী।তাদের বিয়ের বয়স আট বছর।এই আট বছরে কিছুই দিতে পারেনি সে মিলিকে।খুব সাদাসিধে একটা জীবন।প্রতিদিন একই রুটিন বাঁধা জীবন।মিলি দিয়েছে তাকে অনেক। সুন্দর সাজানও একটা সংসার। ফুটফুটে একটা মেয়ে।তার এই এক ঘেয়ে জীবন নিয়ে সে কখনও অভিযোগ করেনি।জাফর কখনও তাদের বিবাহবার্ষিকী মনে রাখতে পারেনি।কাজের চাপে কখনও মনে রাখতে পারেনি।তার চাকরিটা খুব বড় না হলেও কাজ প্রচুর।বেসরকারি চাকরি খাটিয়ে মারে।তাদের প্রতিটি বিবাহবার্ষিকীতে মিলি তার জন্য উপহার কিনে রেখেছে।হয়তো মিলি ধরেই নিয়েছে জাফর মনে রাখবেনা।প্রথম দু একবার মন খারাপ করেছে।তবে তা অতিরক্ত পর্যায়ে যায়নি।দু-তিন বছর আগের কথা।শাহাবাগের মোড়ে জাফর জ্যামে বসে আছে।এক লোক তার কাছে এক তোড়া কদম ফুল নিয়ে এলো।লোকটার একটা হাত নেই।তার মায়া হল। আর ফুলও দামে সস্তা,সে কিনে ফেলল। বাসায় এসে মিলিকে দিল।ফুলগুলো হাতে নিয়ে মিলি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইল।জাফর তার চোখের তাকিয়ে অপ্রস্তুত হয়ে গেল।মিলি চুপ করে দাড়িয়ে আছে,তার চোখ থেকে অঝর ধারায় পানি ঝরছে।তার চোখে অপরিসীম খুশির আবেশ।মিলি তার দিকে একটা গিফটের প্যাকেট বাড়িয়ে দিল।ঠিক সেই মুহূর্তে জাফরের মনে পড়ল আজ তাদের বিবাহবার্ষিকী।এত ছোট কোন ঘটনায় কেউ এত খুশি হতে পাড়ে তার ধারনার বাইরে ছিল।ভাবতে ভাবতে তার চোখের কোণে দু’ফোটা জল এসে গেল।খুব দক্ষ অভিনেতার মত মিলির সামনে টা সামলে নিল।মিলি যদি তা দেখে ফেলত খুব বেশী কি ক্ষতি হত।নাকি তার স্বামীর প্রতি তার ভালবাসা আর প্রগাঢ় হত?আজ হয়ত মিলি তাকে কিছু কঠিন কথা শোনাবে।সে মনে মনে প্রস্ততি নিয়ে নিল।মনে মনে কথা গোছানোর চেষ্টা করল।কিন্তু ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারলনা।হঠাৎই সে খেয়াল করল তার পাশে একটা ছোট ফুটফুটে মেয়ে দাড়িয়ে আছে।পড়নে একটা ছোট্ট জামা, হাতার কাছটায় একটু ছেড়া।মেয়েটার চেহারায় কিসের যেন একটা প্রবল আকর্ষণ।চোখে অপরিসীম মায়া।মেয়েটা আরেকটু কাছে আশে দাড়িয়ে বলল,“ স্যার আমার মাও মইরা গেছে।দাফনের টেকা নাই।বাপ আমাগরে থুয়া গেছেগা।কিছু সায্য করেন স্যার।” সে মেয়েটিকে টাকা দেয়ার জন্য পকেটের দিকে হাত বাড়াল।তার মানিব্যাগ নেই। পকেট কাটা। পকেট মার নিয়ে গেছে। মেয়েটির কথা ভুলে নিজের চিন্তায় হারিয়ে গেল। বাসায় ফিরতে তার আরও রাত হবে।তার মেয়ের সাথে হয়ত রাতে আর আজ দেখা হবেনা। তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বে। জাফরের বুকের মাঝে মোচর দিয়ে উঠল। পাশে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা নেই। তার মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল। এতটুকু একটা মেয়ে মার দাফনের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে।আর উপায় না দেখে বাসার দিকে হাঁটা শুরু করল।

রাত বারটা পঁচিশ সে বাসার গেটের সামনে পৌঁছালো।গেট তালা মারা।সব চিন্তায় সে ভুলে গিয়েছিল বাসার গেট বারটার মাঝে বন্ধ হয়ে যায়।গেটের গায়ে দু’তিন বার টোকা দিতেই দারোয়ান গেটের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখল।গেট খুলে দাড়োয়ান গেটের পাশে দাড়িয়ে আছে।তার মুখ হাসি হাসি।যেন জাফর দেরি করে বাড়ি ফিরেছে এটা খুবই মজার একটা ব্যাপার।তার এই হাসিতে জাফরের মেজাজ আরও খারাপ হয়ে গেল।কিন্তু কিছু বলল না।কারণ সে জানে ছেলেটা ভাল।একটু বেশী কথা বলে।তাই আর কথা না বাড়িয়ে বাসার সিঁড়ির দিকে হাঁটা দিল। বাসার কলিংবেল টিপতেই মিলি দরজা খুলে দিল।যেন সে দরজার পাশেই দাড়িয়ে ছিল।মিলির চোখে মুখে চিন্তার ছাপ।কিন্তু মুখে কিছু বললনা।জাফর ঘরে ঢুকেই দেখল মেয়েটা ড্রইং রুমের সোফায় শুয়ে ঘুমাচ্ছে।তুমি হাত মুখ ধুয়ে এসো, আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।খুব সহজ ভঙ্গিতে মিলি কথাটা বলল।জাফর মনে মনে ভাবলও ঝড়ের সময় প্রকৃতি হঠাৎই শান্ত হয়ে।এটা কি আজ সাংসারিক ঝড়েরই পূর্ব আভাস।

-এত দেরি হল যে?

-শেষ মুহূর্তে একটা মিটিং পরে গেল।আর ওইদিকে মানিব্যাগটাও পকেটমার নিয়ে গেছে।

কথাটি বলে জাফর কিছুটা শান্তি বোধ করল।কারণ যুদ্ধের ময়দানে এখন আর ঝড় ওঠার সম্ভবনা খুবই কম।পশ্চিম রণাঙ্গন এখন নিশ্চূপ।

-এতদূর কি হেঁটে এলে?

-কি আর করার ছিল বল?

-মেয়েটা তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ছোফাটেই ঘুমিয়ে গেছে।তোমার সঙ্গে খাবে বোলে রাতে কিছু খায়নি। আমি বিছানা ঠিক করছি তুমি ওকে নিয়ে এসো।



দিনে সময় হয়না তাই রাতে শোবার পড়ে তারা কিছুটা গল্প করে।তেমন কিছুনা,সারাদিন কেমন কাটল,টুকিটাকি সংসারের কথা।কথার ফাঁকে জাফর রাস্তার ঐ মেয়েটার কথা বলল।মিলি তেমন কোন পাত্তা দিলনা।বলল এসব নতুন নতুন ব্যাবসার ধান্দা।সে মনে মনে ভাবল,হবে হয়তো।মানুষতো টাকার জন্য কতকিছুই করে।খবরের কাগজ খোলা যায়না,খুন,ছিনতাই,অপহরণ লেগেই আছে।মেয়েটির মিথ্যা বোলাটা অস্বাভাবিক কিছুনা।ভাবতে ভাবতে সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।



গভীর রাত।রাস্তায় কোন মানুষ নেই।মাঝে মাঝে একটি দুটি গাড়ি পাশ দিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটে যাচ্ছে।জাফর রাস্তায় দাড়িয়ে। তার পাশে তার মেয়ে

দাড়িয়ে আছে,পড়নে ছেঁড়া জামা।সে বুঝতে পারছেনা এত রাতে তার পাশে কেন তার মেয়ে দাড়িয়ে আছে।আর জাফরই বা কেন এখানে দাড়িয়ে।কিছুক্ষন পর তার মেয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,“ স্যার আমার মাও মইরা গেছে।দাফনের টেকা নাই।বাপ আমাগরে থুয়া গেছেগা।কিছু সায্য করেন স্যার।” জাফর অস্থির হয়ে তার পকেটে টাকা খুজতে লাগল।এমন সময় তার ঘুমটা ভাঙ্গে গেল।ঘেমে শরীর ভিজে গেছে।সে তার পাশে শুয়ে থাকা তার মেয়ের দিকে তাকাল।নিস্পাপ একটা মুখ।গুতুসুতি মেরে ঘুমিয়ে আছে।মিলিও ঘুম থেকে উঠে গেছে।

-কি হয়েছে?এরকম ঘেমে গেছ কেন?শরীর খারাপ লাগছে?

মিলি খাটের পাশে রাখা পানির গ্লাসটা তার দিকে এগিয়ে দিল।

-একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি।কিছুনা শুয়ে পর।

পরদিন জাফর অফিসে গেল।সব কাজের মাঝে স্বপ্নের কথা সব ভুলে গেল।অফিস থেকে ফেরার পথে মেয়ের জন্য অর্ডার দেয়া কেকটা নিয়ে ফিরল।তার সাথে ছোট্ট একাটা টেডি বিয়ার।আজ তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরায় মেয়েটা খুশিতে নাচছে।মিলিও খুশি হয়েছে তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে।রাতে খাবার পর কিছুটা সময় টিভি দেখে আর ,মিলির সাথে গল্প করে ঘুমাতে গেল।



গভীর রাত।রাস্তায় কোন মানুষ নেই।মাঝে মাঝে একটি দুটি গাড়ি পাশ দিয়ে ঝড়ের বেগে ছুতে যাচ্ছে।জাফর রাস্তায় দাড়িয়ে। তার পাশে তার মেয়ে দাড়িয়ে আছে,পড়নে ছেঁড়া জামা।সে বুঝতে পারছেনা এত রাতে তার পাশে কেন তার মেয়ে দাড়িয়ে আছে।আর জাফরই বা কেন এখানে দাড়িয়ে।কিছুক্ষন পর তার মেয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,“ স্যার আমার মাও মইরা গেছে।দাফনের টেকা নাই।বাপ আমাগরে থুয়া গেছেগা।কিছু সায্য করেন স্যার।” জাফর অস্থির হয়ে তার পকেটে টাকা খুজতে লাগল।মিলির ডাকে জাফরের ঘুম ভাঙ্গে গেল।মিলি তারদিকে আতঙ্কিত চোখে তাকিয়ে আছে।

-কি হয়েসে তোমার?

জাফর মিলিকে সপ্নের কথা বলল।মিলি একটু রেগে বলল,তোমার তো শুধু অফিস আর বাসা।পত্রিকাও তো ঠিক মত পরনা।এখন যে মানুষ কত রকম ধান্দা করে। কত কৌশলে যে মানুষকে ঠকিয়ে যায়।এগুলো নিয়ে শুধু শুধু চিন্তা করনা।এমন সময় তাদের মেয়েটা ঘুমের মাঝেই নড়ে উঠল।মিলি তাকে ঘুম পারাতে বাস্ত হয়ে পড়ল।জাফর কখন ঘুমিয়ে পড়ল বুঝতেই পারলনা।একেবারে সকালে ঘুম ভাঙল।



আবার চিরচেনা জীবন।দিনের বেলা সে টার অফিসের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত।দশদিন হতে চলল সে প্রতিরাতে একই স্বপ্ন দেখে।চোখের নিচে কালশিটে পরে গেছে।চেহারায় ক্লান্তির ছাপ।মিলি তাকে সাইক্রিয়েটিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।কিন্তু জাফরের জেতে ইচ্ছে করছেনা।তবুও মিলির জোরাজোরিতে সে গেল।সাধারন চেহারার হাসি খুশি একজন মানুষ।দেখে মনে হচ্ছে খুব আনন্দে আসেন।ঠোঁটের কোণায় পানের রসের লাল দাগ।সব সময় ডান পাটা নাচাচ্ছেন। মাঝে মাঝে আঙ্গুলের ডগা থেকে চুন খাচ্ছেন।তিনি জাফরের কাছ থেকে পুরো ঘটনাটা শুনলেন।এর বাইরেও দু একটা প্রশ্ন করলেন।তারপর খুব সহজ একটা সমাধান দিয়ে দিলেন।জাফরের ওই মেয়ের সমান একটা মেয়ে আছে।তাই ওই মেয়েকে টাকা দিতে না পেরে জাফর অপরাধবোধে ভুগছেন।জাফরকে বললেন কিছুদিন বাইরে থেকে ঘুরে আসতে।পরিবারের সাথে বেশী সময় কাটাতে।আর মেয়েকে বেশী সময় দিতে।

জাফর মনে মনে ভাবল ভালই হয়েছে।অনেক দিন মিলিকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয়না।মেয়েটাও তাকে ঠিক মত পায়না।বাইরে থেকে ঘুরে আসলে মন্দ কি।অফিস থেকে সাতদিনের ছুটি নিল।তারপর কক্সবাজার।এত সুন্দর জায়গা আর সাথে প্রিয় মানুষগুলো।সব মিলিয়ে জাফর সব ভহুলে গেল।মাঝে শুধু একদিন স্বপ্নটা দেখেছিল।তবে স্বপ্নটা একটু ভিন্ন ভাবে।মেয়েটা টার কাছে টাকা চায়নি।শুধু তার মুখের দিকে করুন চোখে তাকিয়ে ছিল।

মাঝে বেশ কিছুদিন কেটে গেছে।জাফর পুরদমে অফিস করছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাসায় ফিরে যায়।মিলি আর মেয়ে সময় দেয়।সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পালতে গেছে।মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করেছে।তার একটা পদন্নতিও হয়েছে।গাড়ি কিনেছে।এখন আর আগের মত বাসের জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়না ।সব মিলিয়ে তার জিবন সুখেই কেটে যাচ্ছে।দেখতে দেখতে তার মেয়ের জন্মদিন চলে এলো।এবার আর আগের মত ভুল করেনি।অফিসের বসকে আগে থেকে বলে রেখেছিল সে চলে আসবে।মনে মনে ভেবে রেখেছে যাওয়ার সময় কেক কিনে নিয়ে যাবে।সব কাজ শেষে জাফর অফিস থেকে বের হল।রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে সে কেক কিনতে গেল।কেক কিনে গারির পাশে এসে তার চোখ ভিরের মাঝে আটকে গেল।ভীরের মাঝ থেকে সেই স্বপ্নের মেয়েটি তার দিকে এগিয়ে আসছে।জাফর তার দিকে তাকিয়ে আছে।তার পুরো শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে।সে বুঝতে পারছেনা এটা কি স্বপ্ন,নাকি বাস্তব।জাফরে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।পৃথিবী দুলে দুলে উঠছে।এই বুঝি সে পড়ে যাবে।সে দাড়িয়ে আছে,আর মানুষের ভিড় ঠেলে মেয়েটি তার দিকে এগিয়ে আসছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×