সঞ্জিব দ্রং এর সাক্ষাতকার
সারা দেশের ২৫ টি জাতিগত সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বার প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের জাতীয় সংগঠন 'বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের' সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সরকারের কাছে এ দাবি জানান।
সঞ্জীব দ্রং বলেন, ব্রিটিশ উপনিবেশ আমল থেকে শুরু করে আমরা সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসীরা মার খাচ্ছি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারই আদিবাসীদের অধিকার রায় আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসেনি। আমরা চাই, পটপরিবর্তনের সুযোগে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের এই নতুন দাবিটি মেনে নেবেন।
আগামী ৯ আগস্ট অনুষ্ঠেয় বিশ্ব আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে শিগগিরই তারা সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবি উত্থাপন করবেন জানিয়ে আদিবাসী অধিকারকর্মী ও লেখক সঞ্জীব দ্রং বলেন, সরকার ও আদিবাসী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিশন আদিবাসীদের অধিকার রায় প্রধান সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুধু পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা দেখছে। আর আদিবাসী বিষয়ক কমিশন দেখবে সারা দেশের সকল আদিবাসীর সমস্যা।
সরকারি উদ্যোগে আদিবাসী দিবস পালন করারও দাবি জানান এ আদিবাসী নেতা।
তিনি বলেন, ভূমি সমস্যা আদিবাসীদের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। কিন্তু আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার, মাতৃভাষায় আদিবাসী শিশুর পাঠদান, তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা --ইত্যাদি বিষয়ে কমিশন এখনই বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে পারে। ভূমি সমস্যা সমাধানে পার্বত্য ভূমি কমিশনের আদলে একটি জাতীয় ভূমি কমিশন গঠন করা যায় বলে মত দেন সঞ্জীব দ্রং।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই এ দেশের নাগরিক হিসেবে মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে। এ জন্য আমরা চাই, আমাদের প্রতিটি দাবি- দাওয়ার আন্দোলনে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বৃহত্তর বাঙালি জাতি পাশে এসে দাঁড়াবেন। সক্রিয় সমর্থন দেবেন।
আদিবাসীদের বর্তমান অবস্থা সর্ম্পকে বলতে গিয়ে সঞ্জীব দ্রং বলেন, বরাবরের মতোই সরকারগুলো আদিবাসীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে চলেছে। উন্নয়নের নামে তাদের জীবন- জীবিকার ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করা হয়েছে। আদিবাসীদের কখনোই এ সব কথিত উন্নয়নের অংশীদার করা হয়নি। আদিবাসী -অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রকল্প গ্রহণের আগে নেওয়া হয়নি আদিবাসী নেতাদের মতামত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক শান্তিচুক্তি অনেকটা কাগুজে চুক্তিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় এক দশক পরেও এর মৌলিক শর্তগুলো পূরণ করা হয়নি । পাহাড়ের জীবন বরং অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশী দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অভিযোগ করলেন সঞ্জীব দ্রং।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে দ্রুত একটি বৈঠক দাবি করে সঞ্জীব দ্রং সবশেষে বললেন, আমরা চাই, সরকার পার্বত্য ভূমি কমিশনকে কার্যকর করাসহ শান্তিচুক্তির মৌলিক শর্তগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করবে। আদিবাসীদেরও সত্যিকার অর্থে এদেশের উন্নয়নের অংশীদার করা হবে।
(তথ্যসূত্র:বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?
৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?
মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন